রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো থামছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ’২৪-এর ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজধানীর মিরপুরে নিহত ‘শহীদ’ পরিবারগুলোর সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এ কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারগুলোর কাছে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন রিজভী। এ সময় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ঠিকই, কিন্তু তার যে টাকার উৎস- এটা এখনো তৃণমূলে অনেকের কাছে নানাভাবে রয়েছে। ওই টাকাগুলোই খরচ করে তারা এলাকার পর এলাকায় অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, চট্টগ্রামে গতকাল (মঙ্গলবার) একজন আইনজীবীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা একটি সংগঠনের অভ্যুদয় দেখছি খুব অল্প কিছুদিন ধরে। এই সংগঠনটি কীভাবে তৈরি করা হলো, কে কে এর নেতৃত্বে আছে? গতকাল (মঙ্গলবার) এই সংগঠনের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; এরা সবাই যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক সেজে এই সংগঠনটির মধ্যে ঢুকে সারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের একজন নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, এই কারণে ভারত থেকে তার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মুক্তি দাবি করা হয়েছে। এগুলো কীসের আলামত?

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে আমাদের প্রায় দুই হাজারের মতো সাধারণ মানুষকে, বাচ্চা ছেলেদের গুলি করা হয়েছে, অনেককে হত্যা করা হয়েছে। কই তখন তো ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর একটা স্টেটমেন্ট দেয়নি? শেখ হাসিনার এই ভয়ংকর নিপীড়নের জন্য, এই রক্তক্ষরণের জন্য একটা স্টেটমেন্ট তো দেননি? সরকার এবং সব মানুষ আজকে বুঝতে পারছে, কোনো একটা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের খেলা চলছে? কোনো কিছু একটা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটাতো সূর্যের আলোর মতো একেবারে পরিষ্কার। এই সংকটটা কৃত্রিমভাবে, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে। হঠাৎ বিভাগীয় শহরগুলোতে নেমে পড়ছেন, দাবি জানাচ্ছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পাশাপাশি শান্তিতে-সহাবস্থানে দীর্ঘদিন বাস করছি। আজকে কেন পরিকল্পিতভাবে বলা হচ্ছে, এখানে হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরাট অংশ এর মধ্যে নেই। তারাও বুঝতে পারছে যে, কোন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। একজন আইনজীবীকে পর্যন্ত হত্যা করার মতো ধৃষ্টতা দেখানো হচ্ছে; এর জন্য ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর তো কোনো বিবৃতি দিল না। অস্থিতিশীলতা তৈরি করার কারণে চিন্ময় ব্রহ্মচারী নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এ জন্য তো বিবৃতি দিল না। সে তো বাংলাদেশের নাগরিক; তার প্রতি যদি সরকার অন্যায় করে, তাহলে তাদের লোকজন এখান থেকে দাবি তুলতে পারেন। কেন বাহিরের একটি দেশ থেকে এই ধরনের প্রতিবাদ আসছে? এগুলো তো সব রহস্যজনক বিষয়। বাংলাদেশকে তারা মনে হয় স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বাস করতে চায় না। তারা মনে করে- দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে, বাংলাদেশ সেভাবে চলবে। এটা ১৮ কোটি মানুষের দেশ, এই দেশ এভাবে চলতে পারে না। পার্শ্ববর্তী দেশের পলিসি মেকাররা এটা যেন ভুলে না যায়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভারতের অনেক ছাত্র সংগঠন সমর্থন দিয়েছে, সহানুভূতি দেখিয়েছে। কিন্তু ভারতের যে শাসকগোষ্ঠী, পৃথিবীর সবচাইতে নিকৃষ্ট সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন ভারত শাসন করছে। এই কারণেই তারা একচোখা নীতি অবলম্বন করে বাংলাদেশকে দেখছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তোরণের যে প্রক্রিয়া চলছে, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যে দেশ যাচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ-সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে- এটাকে মনে হয় অনেকেই সহ্য করতে পারছে না। এই ধরনের পরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা যাবে না। কারণ, দেশের মানুষ অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন ও সংগ্রামী। নিজের জীবন উৎসর্গ করে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে জানে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য ব্যারিস্টার আবু সায়েম, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ, শাকিল আহমেদ, শাহাদত হোসেন, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন

ছবি: সংগৃহীত

ড্রেসকোড ভাঙার কারণে দাবার ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ম্যাগনাস কার্লসেনকে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ৫ বারের র‍্যাপিড এবং ৭ বারের ব্লিটৎজ চ্যাম্পিয়ন এই দাবাড়ু জিন্স পরে খেলায় অংশ নিয়ে ফিদে’র নিয়ম লঙ্ঘন করেন।

র‍্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে সপ্তম রাউন্ডের পর কার্লসেনকে জিন্স পরার জন্য ২০০ ডলার জরিমানা করা হয়। অষ্টম রাউন্ডে জয়ী হওয়ার পর নবম রাউন্ডে তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু কার্লসেন নির্দেশ অমান্য করেন। এর ফলে তাকে নবম রাউন্ড থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং পুরো টুর্নামেন্টের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।

ফিদে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে “ম্যাগনাস কার্লসেন ড্রেসকোড লঙ্ঘন করেছেন। তাকে পোশাক পরিবর্তনের নির্দেশ এবং জরিমানা করা হয়েছিল। তবে তিনি তা মানেননি। এই সিদ্ধান্ত পক্ষপাতহীন এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”

নরওয়েজিয়ান মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কার্লসেন ফিদে’র এই সিদ্ধান্তের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ফিদে’র এই নিয়ম খুবই হাস্যকর। আমি নিয়মটি মানতে পারতাম, কিন্তু তারা আমার কথা শুনতে চায়নি। আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”

ফিদে’র ড্রেসকোড নীতিতে জিন্স নিষিদ্ধ। রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ান নেপোমনিয়াচ্চি একবার এই নিয়ম ভেঙেছিলেন, তবে তিনি পোশাক পরিবর্তন করে খেলায় ফিরে আসেন। কিন্তু কার্লসেন পোশাক পরিবর্তনে অনাগ্রহ দেখান।

কার্লসেনের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের এই ঘটনায় দাবার জগতে শোরগোল উঠেছে। তার ভক্ত এবং সমালোচকরা বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন। অনেকেই ফিদে’র ড্রেসকোডের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আবার কেউ কেউ নিয়ম মানার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছেন।

দাবার মতো ঐতিহ্যবাহী খেলায় ড্রেসকোডের প্রতি সম্মান রাখা জরুরি হলেও, এমন সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের মতামত এবং স্বাধীনতার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত। ম্যাগনাস কার্লসেনের এই ঘটনা ক্রীড়া নীতিমালার প্রতি নতুন করে আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের উপরে রয়েছে। গত ৫ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন। প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা অডিটরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ৪০০ তম শাখা হিসেবে ঘাটাইল শাখার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি রিজার্ভ ব্যাপারে এ বিষয়টি জানান।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে এখন ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পূর্ণ গঠন করতে হলে এই ব্যাংকিং খাতকে পূর্ণ গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্য আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। গত আগস্ট মাসের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থের পাচার কমে গেছে।

এ সময় ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির কাশ্মীর গেটের অটো যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা’ এবং মন্দিরে ‘আক্রমণের’ অভিযোগের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস।

অটোমোটিভ পার্টস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিনয় নারাং বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সব ধরনের রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসব অভিযোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং প্রতিবাদ জানানো তাদের লক্ষ্য।

বিনয় নারাং বলেন, “বাংলাদেশে যা ঘটেছে, আমাদের মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে এবং আমাদের হিন্দু ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এটি খুবই অন্যায়। তাই আমরা ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। গাড়ির যন্ত্রাংশ না পেলে তাদের পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়বে। আমরা চাই, তারা তাদের ভুল বুঝতে পারুক।”

কাশ্মীর গেটের বাজারে প্রায় ২,০০০ দোকান রয়েছে, যা মারুতি, হুন্ডাই, টাটা-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে। বাংলাদেশ এই বাজার থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ যন্ত্রাংশ আমদানি করে থাকে। তবে রপ্তানি স্থগিতের ফলে অর্থপ্রদানে বিলম্ব ঘটছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, “জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি এই কঠিন সময়ে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”

দিল্লির ব্যবসায়ীদের এই সিদ্ধান্ত এবং আন্তর্জাতিক মহলের মানবাধিকার আলোচনা বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই পদক্ষেপ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে।

যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের এই ঘোষণা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক নয়, বরং রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তাও বহন করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশের কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিন্স পরে খেলায় নিষেধাজ্ঞা, টুর্নামেন্ট থেকেই বাদ ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন
অর্থপাচার কমে গেছে, বাংলাদেশে এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে: গভর্নর
বাংলাদেশে গাড়ির যন্ত্রাংশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা ভারতের ব্যবসায়ীদের
অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশি দম্পতি
নগর ভবনে স্থানীয় সরকারের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু কাল থেকে
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
২০২৫ সালে ১০ লাখেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কার না হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ১৯ পাক সেনা নিহত, উত্তেজনা তুঙ্গে
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: মাওলানা মামুনুল হক
ভূঞাপুর থানা ভবন যেনো মরণ ফাঁদ, খসে পড়ছে ভবনের প্লাস্টার
নীতিশের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরলো ভারত  
আগামী নির্বাচনে জনগণ দিনের আলোতে প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন
সিলেট সীমান্তে ভারতীয়র গুলিতে দুদিনে ২ বাংলাদেশি নিহত
১৭ বছর নয়, ১৮ বছরই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল  
৭০ বছর পর বদলে যাচ্ছে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম
সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: জামায়াত আমির
টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে ধাক্কা, সেই বাসচালক গ্রেপ্তার  
বিপিএলে রাজশাহীর সহকারী কোচ হলেন পাকিস্তানের ইফতিখার