শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এর মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছিল।

এর আগে ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। পরে আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৩০ জুন এজাহারে বর্ণিত চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন।

হলফনামায় বাদী বলেছিলেন, তিনি ‘বিশেষ মহলের’ চাপে বাধ্য হয়ে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই, তিনি মামলা পরিচালনা করতে অনিচ্ছুক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলাতেও আজ তাকে খালাস দেন বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। আজ এ মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত উল্লেখ করেন বিচারক। পরে এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

ব্যালন ডি'অর নিয়ে রোনালদোর মক্তব্য, ক্ষেপে গেলেন রদ্রি

ছবি: সংগৃহীত

ব্যালন ডি’অর নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা যেন শেষ হচ্ছে না। ভিনির বদলে রদ্রির ব্যালন ডি’অর জেতায় একপ্রস্থ আলোচনা-সমালোচনা আগেই হয়ে গিয়েছিল। তবে কদিন আগে তাতে নতুন করে ঘি ঢেলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। লিওনেল মেসির পর সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি’অর তিনিই জিতেছেন। এ পুরস্কার মেসি জিতেছেন আটবার, আর রোনালদো পাঁচবার।

এবারের পুরস্কারটা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র জিতবেন তা অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন। তবে ব্রাজিল এবং রিয়াল মাদ্রিদ তারকার বদলে শিরোপা জিতেন স্পেন ও ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রি। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা।

কদিন আগে গ্লোব স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডসে রোনালদোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ভিনির বদলে রদ্রির ব্যালন ডি’অর জেতা নিয়ে। সেখানে রোনালদো বলেছেন, বর্ষসেরার এ পুরস্কার ব্রাজিলিয়ান তারকারই জেতা উচিত ছিল। পর্তুগিজ মহাতারকা বলেন, ‘আমার মতে, সে-ই (ভিনিসিয়ুস) ছিল গোল্ডেন বল (ব্যালন ডি’অর) জয়ের যোগ্য। এখানে সবার সামনে বলছি, অন্যায় করা হয়েছে। তারা এটা রদ্রিকে দিয়েছে, সে-ও জয়ের যোগ্য, কিন্তু এটা ভিনিসিয়ুসকে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, সে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে ও ফাইনালে গোল করেছে।’

এদিকে রোনালদোর এ মন্তব্য ভালোভাবে নেননি রদ্রি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের যুক্তি, রোনালদো ৫ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। তাই এ পুরস্কার কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে দেওয়া হয় তা তিনি বেশ ভালো করেই জানেন।

রদ্রি বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর। সত্যিই। কারণ, পুরস্কারটি কীভাবে দেওয়া হয়, সেটা তিনি অন্য যে কারও চেয়ে ভালো জানেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, যেভাবে বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয়। এ বছর (আসলে ২০২৪ সালে) ভোট দেওয়া সাংবাদিকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পুরস্কারটি আমার জেতা উচিত। সম্ভবত এই একই সাংবাদিকেরা তাঁকেও ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। আমার মনে হয়, তখন তিনি আপত্তি করেননি।’

Header Ad
Header Ad

সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি ও চালের বাজার

ফাইল ছবি

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির দাম দ্রুত কমছে, যা জনমনে স্বস্তি নিয়ে এসেছে। তবে চাল ও মাছের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।

সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতকালীন শাক-সবজির দাম বাজারে দ্রুত কমছে, যা সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। তবে, চাল ও মাছের বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় হতাশ অনেক ভোক্তা। শাক-সবজির দাম কমতে থাকলেও চাল, মাছ এবং অন্যান্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য নতুন আর্থিক চাপ তৈরি করছে। ফলে, তাদের জীবিকার ভার আরও বাড়ছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

পৌষের মাঝপথে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ছে, ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে বাজারে বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ধনেপাতা ৩০ টাকা, নতুন আলু ৪৫ টাকা, ফুলকপি ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ব্রকলি ৩০-৪০ টাকা এবং লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামও কমে, খুচরা পর্যায়ে ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম কমে ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও, মাছের বাজারে দাম এখনও চড়া। ইলিশের দাম এক সপ্তাহে ২০০-৩০০ টাকা বেড়ে ২৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছের দাম অপরিবর্তিত, যেমন রুই ৩৮০-৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৮০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা।

চালের দামও বেড়েছে, মিনিকেট ৭৬-৮০ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা এবং পোলাও চাল ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম কমে ১০ টাকা, ব্রয়লার ২০০-২১০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের বাজার তুলনামূলক স্বাভাবিক, লাল ডিম ১৩৮-১৪০ টাকা এবং সাদা ডিম ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ৫০-১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

মুন্সীগঞ্জে বিয়েতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে সাজা পেলেন যুবক

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার পৌরসভার এক বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে গান বাজানোয় এক ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দিকে শহরের মাঠপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করেন মুন্সীগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান। সেই সঙ্গে তাদের উচ্চশব্দে গান বাজানো বন্ধ করে কম শব্দে গান বাজানোর নির্দেশ দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট শব্দের মাত্রা পরিমাপ করে ১০৪ ডেসিবেল তীব্রতা শনাক্ত করেন যা অনুমোদিত মাত্রার দ্বিগুণেরও বেশি। শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ এর ১৮ বিধি অনুযায়ী এই দণ্ড আরোপ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী জাকির হোসেন বলেন, ‌‌‘‘উচ্চশব্দে গান বাজানোয় পরিবেশের স্পেশাল বিচারক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ব্যক্তিকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে।’’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ব্যালন ডি'অর নিয়ে রোনালদোর মক্তব্য, ক্ষেপে গেলেন রদ্রি
সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও চড়া মাছ-মুরগি ও চালের বাজার
মুন্সীগঞ্জে বিয়েতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে সাজা পেলেন যুবক
যুক্তরাষ্ট্রে ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২ (ভিডিও)
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
চীনে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন প্রাণঘাতী ভাইরাস, নেই কোনো টিকা
খতমে নবুয়াতের মহাসম্মেলন আজ, প্রধান অতিথি আল-আকসার ইমাম
বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, জেঁকে বসেছে শীত
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঝরে গেল ৪ প্রাণ, আহত ২০
মধ্যরাতে ডাকসু নিয়ে উত্তাল ঢাবি, শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরিতে অপচয়ের অভিযোগ, দুদকের অনুসন্ধান শুরু
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি