স্ত্রীর দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৫ দিন ধরে নার্সের অনশন
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের প্রেমিকের বাড়িতে পাঁচদিন ধরে অনশন করছেন জাকিয়া (২৫) নামের এক সেবিকা (নার্স)।
জাকিয়া পার্শ্ববর্তী বরগুনা থানার সাহেবেরহাওলা গ্রামের সোবাহান গাজীর মেয়ে। তিনি ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে সেবিকা হিসেবে কর্মরত।
অপরদিকে, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মকুমা গ্রামে হাওলাদার বাড়ির মিজানুর রহমানের (লাল মিয়া) ছেলে মো. মেহেদী হাসান।
ভুক্তভোগী জাকিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমি ঢাকায় থাকি এবং একটি চাকরি করি। দীর্ঘ তিন বছর ধরে মেহেদী হাসানের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৯ সালের ৮ মার্চ ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিয়ে হয়।
মেহেদী হাসানের বাড়িতে আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমাদের দু’জনের মধ্যে একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তাই আমি এই বাড়িতে চলে আসছি।
বিয়ের প্রমাণ বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারিনি।
মেহেদী হাসানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি আগে তার আপন খালাতো বোনকে বিয়ে করেন। তার শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ কাকড়াবুনিয়া গ্রামে।
এদিকে মেহেদীর বর্তমান স্ত্রী জানান, ২০১৯ সালের ১৩ আগস্ট শরিয়ত মোতাবেক ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন তালুকদার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, শুনে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে ওই মেয়ের কাছে বিবাহের কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় শহিদ মাস্টারসহ কয়েকজনের কাছে মেয়েটিকে রেখে আসছি।
মো. শহিদ এ বিষয়ে বলেন, গতকাল মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আমাদের কাছে মেয়েটিকে রেখে গেছে। আমি এই মেয়ে কোথায় রাখবো? অনেক চিন্তা-ভাবনা করে ছেলের বাড়িতেই রেখে আসছি। এ বিষয়ে মিমাংসার কথা চলছে।
এমএসপি