সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, একে-অপরকে দুষলেন দুই চেয়ারম্যান
বরগুনার আমতলীতে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে একে-অপরকে দুষছেন গুলিশাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. নুরুল ইসলাম ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচ এম মনিরুল ইসলাম। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলার পর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তারা।
সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুল ইসলাম ৪০ দিনের কর্মসূচিতে ভূয়া শ্রমিকের নাম দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার যথাযথ প্রমাণ আমার কাছে আছে। এ ছাড়া তার বড় ভাই পিরোজপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস ছত্তারের প্রভাবে এলাকায় নানা ভাবে জোড় জুলুম এবং দুর্নীতি করে আসছেন। এসবের প্রতিবাদ করায় আমাকে তারা মামলা ও নানাভাবে হয়রানি করছে।
অপরদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুল ইসলামের অভিযোগ, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ওই ইউনিয়নে দুই মেয়াদে চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে রাস্তা, মসজিদ ও ব্রিজ নির্মাণ, স্কুলের মাঠ ভরাটসহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ না করিয়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় দোকান বরাদ্ধ দিয়ে নিজেই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। অথচ এর দুর্নামও তিনি আমাকে দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সাবেক চেয়ারম্যানের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। যে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি আমি নিজেও।
তিনি দাবি করেন, এমনকি সাবেক চেয়ারম্যান তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করে আসছিল। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর প্রশাসনের সহায়তায় ওই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে তার অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। এসব কারণে তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নানা ভাবে হয়রানি করছেন। এমনকি আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে এলজিইডিতে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। অথচ শত্রুতামূলকভাবে নুরুল ইসলাম আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধেও নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. নুরুল ইসলাম ও ২ এপ্রিল সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. নুরুল ইসলাম উভয়কে দোষারোপ করে বরগুনার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে দুটি মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনও করেছেন তারা।
এসআইএইচ