তীব্র গরমে অতিষ্ঠ ভোলার জনজীবন, ক্রেতাশূন্য ঈদ বাজার
ভোলায় গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে জেলার দৈনিক মজুরিতে কাজ করা সাধারণ মানুষরা। একইসঙ্গে আগাম ঈদের কেনাকাটার দোকানগুলো ছিল ক্রেতাশূন্য।
জেলার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোলায় গত দুই সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ এবং সর্বনিম্ন ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকে ভোলার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের এ তীব্র তাপদাহ বেশি প্রভাব ফেলেছে দিনমজুর, রিকশাচালক তথা খেটে খাওয়া মানুষদের উপর।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ভোলা শহরে আগের তুলনায় অনেক কম মানুষ চলাফেরা করতে দেখা গেছে। আগাম ঈদের কেনাকাটার দোকানগুলোতেও দেখা গেছে ক্রেতা শূন্যতা।
রিকশাচালক মসজিদুল বলেন, রোজা রেখে তীব্র গরম সহ্য করে রিকশা চালাতে হচ্ছে। প্রচণ্ড গরম পড়েছে, তবুও কিছু করার নেই। এক-দুইটা ভাড়া মারলেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। গত তিন-চার দিন ধরে একই অবস্থা। রোদ বেশি হওয়ায় আজকে রাস্তায় যাত্রীও কম।
কৃষক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ২৮ শতাংশ জমিতে ইরি ধান চাষ করেছি। গত এক সপ্তাহের তীব্র গরমে খেতের কাছে যেতে পারিনি। আজ এসেছি পানি তুলতে।
দোকানিরা বলেন, ঈদ উপলক্ষে দোকানে ভিড় থাকার কথা। কিন্তু অধিক গরমের কারণে ক্রেতারা তেমন একটা আসছেন না। একটু বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা ঠান্ডা থাকলে ক্রেতার দেখা মিলবে। না হলে এবারের ঈদ বাজার মন্দা যাবে।
রাজাপুর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর আলম বলেন, গত ১ সপ্তাহ ধরে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে করে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে। বিশেষ করে টমেটো, সয়াবিন, পানের বরজ বেশি নষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে। তবে দুই একদিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে তেমন ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না কৃষকদের।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র অবজারভার মাহাবুবুর রহমান জানান, গত দুই সপ্তাহ যে তাপমাত্রা ছিল আগামী দিনে তার চেয়ে বেশি হতে পারে। আরও এক সপ্তাহ এ তাপমাত্রা বৃদ্ধিমান থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
এসজি