প্রচারণা নেই, ঝিমিয়ে পড়ছে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা
বরগুনার আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে বৈকালিক চিকিৎসা কেন্দ্র। কিন্তু প্রচারণার অভাবে সেবা গ্রহীতারা অতিরিক্ত টাকা খরচ করে সেবা নিচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতালে। পুরো উপজেলাজুড়ে এ বিষয়ে কমপক্ষে মাইকিং করে জানানো উচিত বলে মনে করছেন বেসরকারি হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা।
কম মূল্যে চিকিৎসার জন্য গত ৩০ মার্চ দেশের জেলা পর্যায়ে ১২টি হাসপাতালে এবং উপজেলা পর্যায়ে
৩৯টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবার উদ্বোধন হয়। আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকেও এই সেবা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত মূল্যে চিকিৎসা ও রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ খোলা থাকার কথা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে রোগীদের ভিড় থাকলেও উদ্বোধনের ১২ দিন পেরিয়েও প্রচার-প্রচারণার অভাবে তেমন একটা রোগীই আসছে না আমতলীর এই বৈকালিক চিকিৎসা কেন্দ্রে।
বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র সময় মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন সজিব আহম্মেদ বলেন, আমি কলাগাছিয়া থেকে এসেছি। অসুস্থ বোনকে সময় মেডিকেলে ডাক্তার দেখিয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবার বিষয় আমার জানা নেই। আপনাদের মাধ্যমেই জানলাম। আগে জানলে চিকিৎসা খরচ অনেকটা কম লাগত।
আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বৈকালিক চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক মীনহাজুল রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রতিদিন ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত আমরা বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তবে যথাযথ প্রচার না হওয়ায় রোগীর সংখ্যা অনেক কম। ধারণা করছি, আস্তে আস্তে রোগী বৃদ্ধি পাবে।
এ ব্যাপারে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, এই সেবার বিষয় আস্তে আস্তে সবাই জেনে যাবে। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে কেউ যেন ফিরে না যায় সেটি নিশ্চিত করব।
এসআইএইচ