ছাত্রলীগের কমিটিতে ধর্ষণ মামলার আসামি
বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পেয়েছেন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার এক আসামি। অভিযুক্ত মো. শেখ রাসেল বামনার জাফ্রাখালী গ্রামের শুক্কুর হাজীর ছেলে। তিনি সদ্যঘোষিত বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন।
রবিবার (৯ এপ্রিল) রাতে বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত ওই কমিটির সহ-সভাপতির পদ পান মো. শেখ রাসেল।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বামনার জাফ্রাখালী গ্রামের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রী মায়ের চাকরির সুবাদে ঢাকায় এলে সেখানে এসে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে সদ্যঘোষিত বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ পাওয়া শেখ রাসেল। এতে স্কুলছাত্রী গর্ভবতী হয় এবং ঢাকার একটি হাসপাতালে সন্তান প্রসব করে। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মো. জাকির হোসেন জানান, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাসেলসহ ৫ জনকে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে।
এদিকে একজন ধর্ষণ মামলার আসামি কীভাবে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ পেল তা নিয়ে পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ত্যাগীরা কমিটিতে জায়গা পায় না। কিন্ত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে করা হয় সহ-সভাপতি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয় বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. হারুন অর রশীদ বলেন, অভিযুক্ত ছেলেকে চিনি না। তিনি এর আগে ছাত্রলীগ করেছেন কি না তাও জানা নেই। তবে তার বাবা শুক্কুর হাজী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন এটা সবাই জানে। এই ছেলের বিরুদ্ধে যদি ধর্ষণ মামলা থাকে, ছাত্রলীগের সভাপতি তো দূরের কথা তবে তাকে দলের সদস্য পদেও রাখা উচিত হবে না।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু ওই ছেলের নাম প্রস্তাব করেন। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মামলার কথা জানা ছিল না। এ বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এসজি