বঙ্গোপসাগরে এখনো নিখোঁজ ৭ ট্রলারসহ ১৩৩ জেলে

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ২৭টি ট্রলারের ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া হদিস মেলেনি ৭টি ট্রলার এবং ট্রেলারগুলোতে থাকা ১২৪ জেলের। এখন এসব জেলের পরিবারে চলছে আহাজারি। সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলীপুর-কুয়াকাটা ও মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতি।
এদিকে গত দুই দিনে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপদগ্রস্থ ৩ শতাধিক জেলেকে। মৎস্য মালিক সমিতির উদ্ধারকারী ট্রলার ও কোষ্টগার্ডে সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে সুন্দরবন ও সাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় এসব জেলেদের উদ্ধার করেন।
এদিকে নিখোঁজ জেলে পরিবারকে শান্তনা দিতে রোববার রাতে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন পটুয়াখালী-৪ আসেনর সাংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব।
এসময় মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লা ও কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, আমাদের আলীপুরের এখনো ৬টি ট্রলারসহ ১১২ জেলের হদিস মিলেনি। এছাড়া সাগরে নিমজ্জিত হওয়া ১২টি ট্রলারের ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। প্রতি বছরই ঘূর্নিঝড় ও সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে আমাদের এখানে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। মূলত আমাদের এখানে কোনো উদ্ধারকারী নৌযান নেই।
তিনি আরো বলেন, রবিবার রাতে সংসদ সদস্য আমাদের এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এখানে দুর্যোগ সহনশীল একটি উদ্ধারকারী নৌযান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মহিপুর আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, আমাদের এখানে ১২ জেলেসহ এফবি মা বাবার দোয়া নামের একটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। তবে ডুবে যাওয়া ১৫ ট্রলারের সব জেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। অনেক জেলে ভারতে উদ্ধার হয়েছে। আশা করছি এসব জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার সহযোগিতা করবে।
পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, নিখোঁজ জেলে পরিবারে আহাজারি চলছে। আমিসহ নেতাকর্মীরা মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। জেলেদের খোঁজ খবর নিয়েছি। তারা এখানে একটি দুর্যোগ সহনশীল উদ্ধারকারী নৌ-যানের দাবি জানিয়েছে। আমি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবো এবং জাতীয় সংসদে বিষয়টি উপস্থাপন করবো।
এএজেড
