১০ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বির্পযস্ত জনজীবন

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বরিশাল বিভাগের ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরদিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে। এ ছাড়া গত তিন দিন ধরে লাগামহীন বৃষ্টিপাত লেগে আছে এ অঞ্চলে। ফলে বরিশাল নগরী সহ বিভাগের অন্যান্য জেলায় মানুষের জনজীবন বির্পযস্ত। নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটার গেজ রিডিংয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহীত হচ্ছে।
অন্যদিকে বিভাগের অন্যান্য নদীর মধ্যে ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার, দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার, ভোলা তজুমদ্দিন পয়েন্টের (সুরমা-মেঘনা) অঞ্চলে ১.০৭ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ সংলগ্ন বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার, বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টে ০৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, একই নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে ৮৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি ০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং পিরোজপুরের কঁচা নদীর পানি ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে বরিশাল ও এর উপকূলে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময়ে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ২ থেকে সর্বোচ্চ ৪ ফুট উচ্চতায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই সময়ে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানান যায়।
এএজেড
