বিপৎসীমার উপরে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে নিরাপদে কূলে আশ্রয় নিয়েছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। উপকূলে বহাল রয়েছে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত। এদিকে লঘুচাপের কারনে মঙ্গলবার থেকে বরগুনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জেলার প্রধান তিনটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরের জোয়ারের পানি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের মানুষেরা। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে রয়েছে অনেক মানুষ।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার জেলার প্রধান তিনিটি নদী পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বরে জোয়ারের পানি ৩ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে। যা বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার ওপরে।
এছাড়াও মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে বুধবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, লঘুচাপের সংকেত পাওয়ার পর মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বরগুনার রেডিও অপারেটর গোলাম মাহমুদ জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরগুনায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে এটি মৌসুমী লঘুচাপ হওয়ায় বৃষ্টিপাত কতদিন থাকবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। লঘুচাপটি আস্তে আস্তে দুর্বল হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এএজেড
