বঙ্গোপসাগরে ১০ ট্রলার ডাকাতি, মাছ ও মালামাল লুট
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জেলে বহরে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্তত ১০টি ট্রলার থেকে কোটি টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাগর থেকে ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত ১১টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্বে ও সোনার চর থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে এ সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতি হওয়া পাথরঘাটার আবদুল্লাহর মালিকানাধীন এফবি জুনায়েদ ও আলম মোল্লার এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের নাম পাওয়া গেছে।
এফবি জুনায়েদ ট্রলারের মাঝি শাহজাহান ও মালিক আবদুল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সাগরে মাছ শিকার করে কূলে আসার পথে ৩০ জনের অস্ত্রধারি ডাকাত দল ট্রলারে উঠে জেলেদের জিম্মি করে। পরে ট্রলারে ৮ লাখ টাকার মাছ, ২টি মটার, ২টি সেল্প, ৩টি বেটারি, ১ হাজার লিটার তেলসহ জেলেদের মোবাইল নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন পিটিয়ে ভেঙ্গে বিকল করে।
তারা আরও জানান, লুটের সময় ডাকাতদের বাঁধা দিতে গেলে জেলেদের পিটিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর মিরাজ, খোকন, মন্টু ও শাহজাহানকে শুক্রবার দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারের মালিক আলম মোল্লা জানান, আমার ট্রলারে অস্ত্রধারি ডাকাতরা অন্তত ১২ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় মাঝি সহ জেলেরা বাঁধা দিলে মাঝি হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে। তার মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলে সাগর থেকে জেলেরা জানিয়েছে। ট্রলার এখনো ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বঙ্গোপসাগরে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতিতে এখন পর্যন্ত ২টি ট্রলারের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ফিরে আসা জেলেরা জানিয়েছেন অন্তত ১০টি ট্রলার ডাকাতি করে মাছ ও মালামাল লুট হয়েছে। তিনি আরও জানান, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ বিষয় র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশকে জানানো হয়েছে। কোস্টগার্ড পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. মোমিন জানান, ডাকাতির বিস্তারিত তথ্য এখনও পাইনি। নৌ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
এএজেড