শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রানী


-‘এতো ভাব নিচ্ছস কেন?’
-‘যেদিকে তাকাই, সব জায়গাতেই গোলাপ আর গোলাপ। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। নিজেকে মনে হচ্ছে গোলাপের রানি।’
-‘ও, বুঝসি। সেজন্য ভাব নিচ্ছস’?
-‘হু হু হু। তুই নে। এই ফুলের মাঝে অনুভূতিই অন্যরকম।’
-‘হ রে! তর মনে বসন্ত এসে গেছে। প্রেম করবি?’
-‘কী? কী বললি? প্রেম? হইছে- আমার কখনো প্রেম-টেম হবে না। টের পাচ্ছস? দেখ, সুমধুর সুগন্ধ ভেসে আসছে।’
-‘এটা মাধবীলতা ফুলের গন্ধ।’
-‘মাধবীলতা?’
-‘হ, মাধবীলতার ফুল ছোট আর ঘিয়ে রঙের। অত্যন্ত সুগন্ধময় ও দুর্লভ গাছ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাধবীলতা নিয়ে কী বলেছেন জানস?’
-‘আমি কবিতা খুব কম বুঝি। পড়িও কম। কালেভ্রদ্রে দু-একটা পড়ি। তুই বল কী বলেছেন।’
-‘তিনি বলেছেন-‘‘বসন্তের মাধবী মঞ্জরী মিলনের স্বর্ণপাত্রে সুধা দিল ভরি।’’
-‘বাহ! অসাধরণ। তবে বসন্তে মেয়েরা করবী ফুল খোঁপায় দেয়। চল সামনে হাঁটি.. করবী পেলে তরে কিনে দিচ্ছি।’

রানী আর মাসউদ হাঁটছে। কাল বসন্ত দিন। রঙিন বসনে, ফুল্ল সাজে বসন্তের প্রথম দিন কখনো কাটানো হয়নি রানীর। আজ অনেকে সেজেছে সে। মেরুন রংয়ের থ্রিপিস পড়েছে। চুলের একপাশে সিঁথি করেছে। চুল বেণি করে ক্লিপ দিয়ে আটকে রেখেছে। কিছুটা রোমাঞ্চের পরশ দিচ্ছে মাসউদকে। সাদুল্লাহপুর গোলাপ বাগান।এই বাগানে এর আগে কখনো আসেনি রানী। পত্র-পত্রিকা আর টেলিভিশনে অনেক খবর দেখেছে এই বাগান নিয়ে।বিশেষ করে প্রতি বছর ফাল্পুন এলেই খবরের কেন্দ্রবিন্দু এই গোলাপ বাগান।

ওরা হাঁটছে। মোটামুটি আজ ভালোই ভিড়ভাট্টা। কারও মাথায় গোলাপের রিং, কারও খোঁপায় গোঁজা গোলাপ। অনেকে মালা করে গলায় পরেছেন গোলাপ। কেউবা হাঁটু গেড়ে প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিচ্ছেন গোলাপ। এ যেন গোলাপের ভুবন। সর্বত্রই গোলাপ, গোলাপ। মাসউদ বলল, অন্য ফুলও আছে। হলুদ গাঁদা, জারবেরা, ক্যালেন্ডিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানান জাতের ফুলের চাষ হয় এখানে। রানী বলল, দারুণ প্রকৃতি। প্রতিদিন যদি এখানে আসতে পারতাম।
-‘রানী, তরে একটা কথা বলতে চাই।’
-‘কী কথা?’
-‘ইদানীং আমার একটা প্রেম করতে ইচ্ছে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে ইউটিউবে প্রচুর রোমান্টিক নাটক দেখছিলাম, গান শুনছিলাম।’
-‘গুড। তো প্রেম কর। ইচ্ছে হইছে কর, না করছে কে।’
-‘ইচ্ছে হলেই তো আর প্রেমে পড়া হয় না। কে করবে প্রেম, কে আমাকে সময় দেবে? এই প্রযুক্তির যুগে সবাই ডিজিটাল প্রেমে ব্যস্ত। আমার আবার এসব ভাল্লাগে না। আমার ইচ্ছে-যেই প্রেমে পড়–ক, ভার্চুয়ালি নয়, সরাসরি প্রেম হবে। একসাথে ঘুরব। পার্কে যাব। বাগানে প্রকৃতি দেখব। মাঠে যাব, ঘাসের উপর শুয়ে থাকব। পাশে বসে থাকবে প্রেমিকা। ঘাসের পাতা ছিঁড়ে আমার নাকে ধরবে- এরকম প্রেমিকা চাই। দেখ, আজ তুই আর আমি এই গোলাপ বাগানে ঘুরতেছি। কী অদ্ভুত অনুভূতি, মজাই আলাদা।’
-‘তা ঠিক বলছস। বাট!’।
-‘বাট কী?’
-‘এই নগরীর যা অবস্থা, তাতে ডিজিটাল ছাড়া উপায় কী বল। জ্যাম, যান্ত্রিক জীবন, করোনাকাল। দম বন্ধ জীবন। সেই আগিলা যুগের প্রেম কেউ করতে চায় না। সময়ও ম্যাচ করে না। বুঝলি তো।’

বিকেল শেষ হয়ে আসছে। সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছে। রানী আর মাসউদ গোলাপের বাগানে ভেতর ডুবে আছে নিঃশব্দের মতো।

কিছুটা ক্লান্ত দেহ। বাসায় এসেই ঘুমিয়ে পড়ে মাসউদ। মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যায়। বিছানা থেকে উঠে মুখটা ধুয়ে নিলো। ড্রয়িং রুমে গিয়ে টিভিটা অন করে স্পোর্টস চ্যানেলে খেলার খবরটা দেখছে। হঠাৎ গোলাপ বাগানের কথা মনে পড়ে গেলো। বিশেষ করে রানীর কথা। মেয়েটা এত সরল সোজা, বাট প্রেমটাই বুঝে না। কখনো বলল না, ‘মাসউদ, তোমায় ভালোবাসি’। মাসউদও তাকে সরাসরি কখনো বলেনি ভালোলাগার কথা।

গত বছর পহেলা বৈশাখে রমনায় তাদের প্রথম দেখা। পথম যেদিন রানীকে দেখেছিল, তখনই ভালো লেগেছিল তাকে। দেখতে বেশ সুন্দরী। লাল ফর্সা চেহারা। হাত, পা ধবধবে সাদা। হাত পায়ের দিকে তাকালে আর চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না। বেশ সুন্দর। সে সময়ই রানীকে বলেছিল, চলো বন্ধু হই। হাসিমুখে উওর দিয়ে তখন রানী বলেছিল, ধন্যবাদ। এরপর সময় পেলেই দুজনে মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে যায়। হাতে সেলফোনটা নিয়ে রানীকে ফোন দিলো-
-‘হ্যালো, ধুর! তুমি যে কী, ফোন দিবা না?’
-‘কেনো?’
-‘ঠিকমতো পৌঁছাইছো কিনা জানাব না।’
-‘ধুর, এসে দিছি একটা ঘুম।’
-‘ভালো তো। কাল তো ফাগুনের দিন। চলো ঢাকার বাইরে কোনো গ্রামে যাই। ঘুরে আসি।’
-‘সম্ভব না’, বলেই ফোনটা কেটে দিলো।

টেলিভিশন বন্ধ করে দিলো। মোবাইলটা রেখে জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়ালো মাসউদ। বাইরে তাকিয়ে দেখে মধ্যরাত। আবারও বিছানায় এলো। একবার বসছে, আবার শুয়ে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে ভাবছে। রাত বাড়ছে। পায়চারি করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো মাসউদ।

রানীকে কালকের ওই কথাটা বলার আগে আরও কবার ভাবা উচিত ছিলো। কিন্তু কি করার, গোলাপের বাগানে গোলাপের মাঝে নিজেকে সামলে নিতে পারেনি মাসউদ। ভাবনা বাদ দিয়ে ফোন দিলো রানীকে।
-‘হ্যালো, তুমি কই?’
-‘আমি.. বাসায়। কেনো?’
-‘বিকেলে দেখা করতে পারবা?’
-‘ওকে। টেক্সট দিয়ে রাখ। আমি চলে আসবনি।’
-‘ওকে। রাখছি।’

ফোনটা রেখে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকল। নাহ! আজ সব খুলে বলতেই হবে। দুইদিন পর ফ্লাইট। একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি হয়েছে। কোম্পানিতে চলে যেতে হবে। যেতে হবে কানাডায়। ছাড়তে হবে ঢাকা। বিছানা থেকে উঠে গোছল সেওে কাপড় চোপড় পওে রেডি হলো। আজ নীল রঙের জিন্স প্যান্টের সঙ্গে হালকা আকাশি রঙের ফুল শার্ট পরেছে। বের হলো মাসউদ। ভিসা সেন্টারে কিছু কাজ আছে। এরপর হোটেলে লাঞ্চ সেরে বিকেলে যাবে আশুলিয়ায়। ওখানে রানীকে আসার জন্য বার্তা দিয়ে রেখেছে মাসউদ।

আবহাওয়াটা চমৎকার। বেশি শীত নেই। রোদ আছে। আকাশে কাক উড়ছে। মাসউদ চলে আসল আশুলিয়ায়। ঢাকার দূষিত বায়ু ছেড়ে বাঁচতে মাঝে মাঝেই এখানে আসে সে। আজ একটু অন্যরকম। দুুদিন পর এই আলো বাতাস ছেড়ে চলে যাবে দূরপরবাসে। এ কথা ভাবতেই শরীর শিউরে উঠে মাসউদের। রানী চলে আসল। মাসউদ বলল,
-‘কী খবর? তোমাকে তোমাকে দারুণ লাগছে।’ মাসউদের কথা শুনে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে রানী। কোন কথা নেই মুখে।
-‘কী ব্যাপার কথা বলছ না কেন? তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। হয় তো আজই তোমার সঙ্গে শেষ দেখা। ফ্লাইট ঠিক হয়ে গেছে। নতুন চাকরি হয়েছে। যেতে হবে কানাডায়।’

মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো রানীর। মনটা বিষন্ন।চোখের কোনায় জল আসছে। কিছুক্ষণ মাসউদের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকল। বলল,
-‘তার মানে চলে যাচ্ছ।’
মাথা নিচু করে বসে আছে মাসউদ। তিন মাস পর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা রানীর। পরীক্ষা শেষে কয়েকদিনের জন্য মাসউদকে নিয়ে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল রানী। মাকেও রাজি করিয়েছিল। মাসউদের কথা মাকে অনেক বলেছে। রানী বলল,
-‘অভিনন্দন। নতুন জীবন শুভ হোক।’
-‘তোমায় অনেক মিস করব।’
-‘পরীক্ষার পর তোমাকে নিয়ে ঘুরার প্ল্যান করেছিলাম। মাকেও রাজি করিয়েছিলাম।’
মাাসউদ রানীর হাতটা ধরে একটা হাসি দিল। কিছুক্ষণ বসার পর রানী বলল,
-‘চলো। সামনে হাঁটি।’

ঠিক সন্ধার আগে। হঠাৎ আকাশ মেঘলা হয়ে গেলো। ওরা হাঁটছে। কিছুদূর যাওয়ার পর ছোট্ট একটা ব্রিজে দাঁড়ালো। এরই মধ্যে হালকা বৃষ্টি শুরু হলো। রানী মাসউদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল। বলল,
-‘চাকরির খবর কখনো বলোনি কেন? ওখানে গিয়ে কতদিন থাকবে? ঢাকায় তো আর মনে হয় দুই-তিন বছরের মধ্যে আসা হবে না। ততদিনে বাবা হয়তো বিয়ের ব্যবস্থা করবে। বাট আমি..।’ কথা বলতে পারছে না রানী। চোখ থেকে জল পড়ছে। মাসউদও কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখলো।

বৃষ্টি থেমে গেছে। মাগরিবের আজান শোনা যাচ্ছে। ওরা হেঁটে হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে আসল। রানী বাসে উঠবে। হাতটা ধরে মাসউদ বলল,‘মিস ইউ। ভালো থেকো।’

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পল্টন মোড়ে।

সাবেক ওই আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে। এর আগে তিনি বগুড়া শহর যুবলীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা ইউনিয়নের সরদারপাড়া গ্রামে একটি ইসলামি মাহফিলের আয়োজনে অতিথি করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার পল্টন মোড়ে জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় সাঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন।

পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা ও জেলা বিএনপির সদস্য কামরুজ্জামান সোহাগ বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপিতে যোগদান করা সাবেক যুবলীগ নেতা নাহিদুজ্জামান নিশাদকে একটি ইসলামি মাহফিলে অতিথি করেন জামায়াতের আয়োজকরা। সেখানে উপজেলা বিএনপির প্রকৃত কোনও নেতাকে অতিথির তালিকায় রাখা হয়নি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপকে মারপিট ও মাথায় আঘাত করা হয়। পরে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে জেলা বিএনপির নেতারা থানায় আসেন বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম জানান, একটি ইসলামি মাহফিলকে কেন্দ্র করে মূলত জামায়াত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ৮ থেকে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বৃটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর দ্য ইকোনমিস্টের ২০২৪ সালের বর্ষসেরা খেতাব জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারটি নেয় বৃটিশ সাময়িকীটি।

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আশ্বস্ত করছি যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণেরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু একটি দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি তার একটি উদাহরণ যে, তরুণরা কত শক্তিশালী।

২০২৫ সালে নির্বাচন আয়োজনের পর কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। আমি প্যারিসে ছিলাম, সেখান থেকে আমাকে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব, যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি। আর তরুণরাও এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আবার সেখানে ফিরে যাব যেটা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া উচিত যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে এবং সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ বর্তমানে আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। এই তরুণেরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।

Header Ad
Header Ad

সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং

শাহরুখ খান ও হানি সিং। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনায় দাবি করা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানের সময় হোটেল রুমে পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী হানি সিংয়ের ওপর চড়াও হয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান।

সেই সময় গুঞ্জন ছিল, শাহরুখ খান এত জোরে চড় মারেন যে হানি সিং গুরুতর আহত হন। এমনকি তাঁর কপাল ফেটে রক্তক্ষরণ হয়, এবং সে কারণেই তিনি সেদিন মঞ্চে পারফর্ম করতে পারেননি। বলিউড মহলে ঘটনাটি নিয়ে তখন বেশ আলোচনা হয়েছিল।

তবে, দীর্ঘ ৯ বছর পর, অবশেষে হানি সিং নিজেই ভাঙলেন নীরবতা। সম্প্রতি ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া তাঁর জীবনকাহিনিভিত্তিক একটি তথ্যচিত্রে গায়ক এই বিতর্কিত ঘটনার আসল সত্য তুলে ধরেছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, আসলে সেদিন কী ঘটেছিল এবং কীভাবে সেই সময়কার গুজব বাস্তবতাকে মিথ্যে রূপে উপস্থাপন করেছিল।

হানি সিং বলেন, বলিউড কিং খান কখনই আমার গায়ে হাত তুলবেন না। উনি এমন মানুষই নন। আমাকে খুবই ভালোবাসেন বাদশাহ। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক। তাই শাহরুখ আমাকে মেরেছে, সেটি একেবারেই মিথ্যা কথা।

এ গায়ক বলেন, আসলে সেদিন আমার মঞ্চে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল— মঞ্চে উঠলেই মরে যাব। তাই প্রথমে হোটেলের রুমে ঢুকে মাথার সব চুল কেটে ফেললাম। তারপর নিজের মাথায় একটা কফি মাগ ভাঙলাম। এতেই আহত হই। এসব করেই সেদিনের শো আটকে ছিলাম।

হানি সিংয়ের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন তার বোনও। তিনি বলেন, এ ঘটনার পরই মাথায় রক্ত নিয়ে ফোন করে হানি। আমরা তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এর নেপথ্যে শাহরুখের কোনো দোষ নেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু