শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

রানী


-‘এতো ভাব নিচ্ছস কেন?’
-‘যেদিকে তাকাই, সব জায়গাতেই গোলাপ আর গোলাপ। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। নিজেকে মনে হচ্ছে গোলাপের রানি।’
-‘ও, বুঝসি। সেজন্য ভাব নিচ্ছস’?
-‘হু হু হু। তুই নে। এই ফুলের মাঝে অনুভূতিই অন্যরকম।’
-‘হ রে! তর মনে বসন্ত এসে গেছে। প্রেম করবি?’
-‘কী? কী বললি? প্রেম? হইছে- আমার কখনো প্রেম-টেম হবে না। টের পাচ্ছস? দেখ, সুমধুর সুগন্ধ ভেসে আসছে।’
-‘এটা মাধবীলতা ফুলের গন্ধ।’
-‘মাধবীলতা?’
-‘হ, মাধবীলতার ফুল ছোট আর ঘিয়ে রঙের। অত্যন্ত সুগন্ধময় ও দুর্লভ গাছ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাধবীলতা নিয়ে কী বলেছেন জানস?’
-‘আমি কবিতা খুব কম বুঝি। পড়িও কম। কালেভ্রদ্রে দু-একটা পড়ি। তুই বল কী বলেছেন।’
-‘তিনি বলেছেন-‘‘বসন্তের মাধবী মঞ্জরী মিলনের স্বর্ণপাত্রে সুধা দিল ভরি।’’
-‘বাহ! অসাধরণ। তবে বসন্তে মেয়েরা করবী ফুল খোঁপায় দেয়। চল সামনে হাঁটি.. করবী পেলে তরে কিনে দিচ্ছি।’

রানী আর মাসউদ হাঁটছে। কাল বসন্ত দিন। রঙিন বসনে, ফুল্ল সাজে বসন্তের প্রথম দিন কখনো কাটানো হয়নি রানীর। আজ অনেকে সেজেছে সে। মেরুন রংয়ের থ্রিপিস পড়েছে। চুলের একপাশে সিঁথি করেছে। চুল বেণি করে ক্লিপ দিয়ে আটকে রেখেছে। কিছুটা রোমাঞ্চের পরশ দিচ্ছে মাসউদকে। সাদুল্লাহপুর গোলাপ বাগান।এই বাগানে এর আগে কখনো আসেনি রানী। পত্র-পত্রিকা আর টেলিভিশনে অনেক খবর দেখেছে এই বাগান নিয়ে।বিশেষ করে প্রতি বছর ফাল্পুন এলেই খবরের কেন্দ্রবিন্দু এই গোলাপ বাগান।

ওরা হাঁটছে। মোটামুটি আজ ভালোই ভিড়ভাট্টা। কারও মাথায় গোলাপের রিং, কারও খোঁপায় গোঁজা গোলাপ। অনেকে মালা করে গলায় পরেছেন গোলাপ। কেউবা হাঁটু গেড়ে প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিচ্ছেন গোলাপ। এ যেন গোলাপের ভুবন। সর্বত্রই গোলাপ, গোলাপ। মাসউদ বলল, অন্য ফুলও আছে। হলুদ গাঁদা, জারবেরা, ক্যালেন্ডিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানান জাতের ফুলের চাষ হয় এখানে। রানী বলল, দারুণ প্রকৃতি। প্রতিদিন যদি এখানে আসতে পারতাম।
-‘রানী, তরে একটা কথা বলতে চাই।’
-‘কী কথা?’
-‘ইদানীং আমার একটা প্রেম করতে ইচ্ছে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে ইউটিউবে প্রচুর রোমান্টিক নাটক দেখছিলাম, গান শুনছিলাম।’
-‘গুড। তো প্রেম কর। ইচ্ছে হইছে কর, না করছে কে।’
-‘ইচ্ছে হলেই তো আর প্রেমে পড়া হয় না। কে করবে প্রেম, কে আমাকে সময় দেবে? এই প্রযুক্তির যুগে সবাই ডিজিটাল প্রেমে ব্যস্ত। আমার আবার এসব ভাল্লাগে না। আমার ইচ্ছে-যেই প্রেমে পড়–ক, ভার্চুয়ালি নয়, সরাসরি প্রেম হবে। একসাথে ঘুরব। পার্কে যাব। বাগানে প্রকৃতি দেখব। মাঠে যাব, ঘাসের উপর শুয়ে থাকব। পাশে বসে থাকবে প্রেমিকা। ঘাসের পাতা ছিঁড়ে আমার নাকে ধরবে- এরকম প্রেমিকা চাই। দেখ, আজ তুই আর আমি এই গোলাপ বাগানে ঘুরতেছি। কী অদ্ভুত অনুভূতি, মজাই আলাদা।’
-‘তা ঠিক বলছস। বাট!’।
-‘বাট কী?’
-‘এই নগরীর যা অবস্থা, তাতে ডিজিটাল ছাড়া উপায় কী বল। জ্যাম, যান্ত্রিক জীবন, করোনাকাল। দম বন্ধ জীবন। সেই আগিলা যুগের প্রেম কেউ করতে চায় না। সময়ও ম্যাচ করে না। বুঝলি তো।’

বিকেল শেষ হয়ে আসছে। সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছে। রানী আর মাসউদ গোলাপের বাগানে ভেতর ডুবে আছে নিঃশব্দের মতো।

কিছুটা ক্লান্ত দেহ। বাসায় এসেই ঘুমিয়ে পড়ে মাসউদ। মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যায়। বিছানা থেকে উঠে মুখটা ধুয়ে নিলো। ড্রয়িং রুমে গিয়ে টিভিটা অন করে স্পোর্টস চ্যানেলে খেলার খবরটা দেখছে। হঠাৎ গোলাপ বাগানের কথা মনে পড়ে গেলো। বিশেষ করে রানীর কথা। মেয়েটা এত সরল সোজা, বাট প্রেমটাই বুঝে না। কখনো বলল না, ‘মাসউদ, তোমায় ভালোবাসি’। মাসউদও তাকে সরাসরি কখনো বলেনি ভালোলাগার কথা।

গত বছর পহেলা বৈশাখে রমনায় তাদের প্রথম দেখা। পথম যেদিন রানীকে দেখেছিল, তখনই ভালো লেগেছিল তাকে। দেখতে বেশ সুন্দরী। লাল ফর্সা চেহারা। হাত, পা ধবধবে সাদা। হাত পায়ের দিকে তাকালে আর চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না। বেশ সুন্দর। সে সময়ই রানীকে বলেছিল, চলো বন্ধু হই। হাসিমুখে উওর দিয়ে তখন রানী বলেছিল, ধন্যবাদ। এরপর সময় পেলেই দুজনে মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে যায়। হাতে সেলফোনটা নিয়ে রানীকে ফোন দিলো-
-‘হ্যালো, ধুর! তুমি যে কী, ফোন দিবা না?’
-‘কেনো?’
-‘ঠিকমতো পৌঁছাইছো কিনা জানাব না।’
-‘ধুর, এসে দিছি একটা ঘুম।’
-‘ভালো তো। কাল তো ফাগুনের দিন। চলো ঢাকার বাইরে কোনো গ্রামে যাই। ঘুরে আসি।’
-‘সম্ভব না’, বলেই ফোনটা কেটে দিলো।

টেলিভিশন বন্ধ করে দিলো। মোবাইলটা রেখে জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়ালো মাসউদ। বাইরে তাকিয়ে দেখে মধ্যরাত। আবারও বিছানায় এলো। একবার বসছে, আবার শুয়ে ফ্যানের দিকে তাকিয়ে ভাবছে। রাত বাড়ছে। পায়চারি করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো মাসউদ।

রানীকে কালকের ওই কথাটা বলার আগে আরও কবার ভাবা উচিত ছিলো। কিন্তু কি করার, গোলাপের বাগানে গোলাপের মাঝে নিজেকে সামলে নিতে পারেনি মাসউদ। ভাবনা বাদ দিয়ে ফোন দিলো রানীকে।
-‘হ্যালো, তুমি কই?’
-‘আমি.. বাসায়। কেনো?’
-‘বিকেলে দেখা করতে পারবা?’
-‘ওকে। টেক্সট দিয়ে রাখ। আমি চলে আসবনি।’
-‘ওকে। রাখছি।’

ফোনটা রেখে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকল। নাহ! আজ সব খুলে বলতেই হবে। দুইদিন পর ফ্লাইট। একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি হয়েছে। কোম্পানিতে চলে যেতে হবে। যেতে হবে কানাডায়। ছাড়তে হবে ঢাকা। বিছানা থেকে উঠে গোছল সেওে কাপড় চোপড় পওে রেডি হলো। আজ নীল রঙের জিন্স প্যান্টের সঙ্গে হালকা আকাশি রঙের ফুল শার্ট পরেছে। বের হলো মাসউদ। ভিসা সেন্টারে কিছু কাজ আছে। এরপর হোটেলে লাঞ্চ সেরে বিকেলে যাবে আশুলিয়ায়। ওখানে রানীকে আসার জন্য বার্তা দিয়ে রেখেছে মাসউদ।

আবহাওয়াটা চমৎকার। বেশি শীত নেই। রোদ আছে। আকাশে কাক উড়ছে। মাসউদ চলে আসল আশুলিয়ায়। ঢাকার দূষিত বায়ু ছেড়ে বাঁচতে মাঝে মাঝেই এখানে আসে সে। আজ একটু অন্যরকম। দুুদিন পর এই আলো বাতাস ছেড়ে চলে যাবে দূরপরবাসে। এ কথা ভাবতেই শরীর শিউরে উঠে মাসউদের। রানী চলে আসল। মাসউদ বলল,
-‘কী খবর? তোমাকে তোমাকে দারুণ লাগছে।’ মাসউদের কথা শুনে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে রানী। কোন কথা নেই মুখে।
-‘কী ব্যাপার কথা বলছ না কেন? তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। হয় তো আজই তোমার সঙ্গে শেষ দেখা। ফ্লাইট ঠিক হয়ে গেছে। নতুন চাকরি হয়েছে। যেতে হবে কানাডায়।’

মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো রানীর। মনটা বিষন্ন।চোখের কোনায় জল আসছে। কিছুক্ষণ মাসউদের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকল। বলল,
-‘তার মানে চলে যাচ্ছ।’
মাথা নিচু করে বসে আছে মাসউদ। তিন মাস পর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা রানীর। পরীক্ষা শেষে কয়েকদিনের জন্য মাসউদকে নিয়ে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল রানী। মাকেও রাজি করিয়েছিল। মাসউদের কথা মাকে অনেক বলেছে। রানী বলল,
-‘অভিনন্দন। নতুন জীবন শুভ হোক।’
-‘তোমায় অনেক মিস করব।’
-‘পরীক্ষার পর তোমাকে নিয়ে ঘুরার প্ল্যান করেছিলাম। মাকেও রাজি করিয়েছিলাম।’
মাাসউদ রানীর হাতটা ধরে একটা হাসি দিল। কিছুক্ষণ বসার পর রানী বলল,
-‘চলো। সামনে হাঁটি।’

ঠিক সন্ধার আগে। হঠাৎ আকাশ মেঘলা হয়ে গেলো। ওরা হাঁটছে। কিছুদূর যাওয়ার পর ছোট্ট একটা ব্রিজে দাঁড়ালো। এরই মধ্যে হালকা বৃষ্টি শুরু হলো। রানী মাসউদকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল। বলল,
-‘চাকরির খবর কখনো বলোনি কেন? ওখানে গিয়ে কতদিন থাকবে? ঢাকায় তো আর মনে হয় দুই-তিন বছরের মধ্যে আসা হবে না। ততদিনে বাবা হয়তো বিয়ের ব্যবস্থা করবে। বাট আমি..।’ কথা বলতে পারছে না রানী। চোখ থেকে জল পড়ছে। মাসউদও কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখলো।

বৃষ্টি থেমে গেছে। মাগরিবের আজান শোনা যাচ্ছে। ওরা হেঁটে হেঁটে বাসস্ট্যান্ডে আসল। রানী বাসে উঠবে। হাতটা ধরে মাসউদ বলল,‘মিস ইউ। ভালো থেকো।’

 

ডিএসএস/ 

Header Ad
Header Ad

ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ভারত-পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের সংগ্রামী সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশকে সামনে রেখে, জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করব। পেছনের ইতিহাস পেরিয়ে আমরা সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথা বলতে চাই।"

তিনি আরও বলেন, "আজকের মঞ্চ থেকে আমরা শপথ নিচ্ছি—বাংলাদেশকে বিভাজিত হতে দেব না।" এরপর তিনি দলের লিখিত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়—জুলাই ২০২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর জনগণের অধিকারভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও পরিবারতন্ত্রের কোনো স্থান থাকবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা, সম্পদের সুষম পুনর্বণ্টন ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

পরিশেষে, নাহিদ ইসলাম বলেন, "এখনই সময় নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন পথচলার, এবং একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার।"

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান সংকট নিরসনে জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদু বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি নেতাদের নামে যেসব মামলা হয়েছে, সরকার সেগুলো এখনো প্রত্যাহার করেনি।"

নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বিএনপির সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সরকারের কাছে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাই। এছাড়া, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রিয়তা হারাবে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার আমলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, গুম, খুনসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ লাখ মামলা হয়েছে।"

দুদু সরকারের উদ্দেশে বলেন, "দেশের জনগণ সরকারের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্থন দেখিয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ না করলে তারা সেই সমর্থন মুহূর্তেই প্রত্যাহার করতে পারে। তাই সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।"

Header Ad
Header Ad

খালেদা জিয়ার মতো সাজলেন কিশোরী, ছবি তুলতে উৎসুক জনতার ভিড়!

খালেদা জিয়ার মতো সাজে কিশোরী জৌতি খাতুন। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা মতো সাজলেন এক কিশোরী। তার সঙ্গে ছবি ও সেলফি উঠতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সদ্য কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টুকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওই কিশোরীকে খালেদা জিয়ার মতো সাজে দেখা যায়।

খালেদা জিয়ার মতো সাজে ওই কিশোরীর নাম জৌতি খাতুন। তিনি উপজেলার ফলদা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খানের কন্যা। জৌতি খাতুন অর্জুনা ইউনিয়নের বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

জানা যায়, শুক্রবার বিকালে ভূঞাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী সদ্য কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টুর গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। খালেদা জিয়ার মতো সাজে ওই কিশোরী উপস্থিত সকলের নজর কাড়ে। এ সময় তার সাথে উপস্থিত উৎসুক লোকজন ছবি, সেলফি ও ভিডিও করতে ভিড় করেন।

কিশোরী জৌতি খাতুন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো করে সাজে সাজতে পেরে ভালো লাগছে।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সংবর্ধিত অতিথি- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী সদ্য কারামুক্ত অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম পিন্টু।

এছাড়াও অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুর হক নাসির, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ। এ সময় জেলা ও উপজেলার সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারত-পাকিস্তানপন্থীর কোনো ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে পারছে না : দুদু
খালেদা জিয়ার মতো সাজলেন কিশোরী, ছবি তুলতে উৎসুক জনতার ভিড়!
ম্যানসিটিতে যোগ দিলেন নতুন মেসি
একটি দল বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে বলে সতর্ক করেছেন তারেক রহমান
অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ
নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই নেতা
সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা
টাঙ্গাইলে প্রথমবার ‘বই বিনিময়’ সংগ্রহ করা যাচ্ছে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই
বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয়: ড. কামাল হোসেন
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ ১০টি পদ চূড়ান্ত, থাকছেন যারা
দলে দলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আসছেন ছাত্র-জনতা
সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ, ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে থাকবে না বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিতে চায় চীন
ভারতে পাচারকালে চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল ইসলামসহ ৪ পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও জাপা বাদে সব দল আমন্ত্রিত
চুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি সাগরময় আচার্য আটক
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেন জেদনী
বিধ্বস্ত গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭ লাশ উদ্ধার