মিতব্যয়ী প্রেমিক
প্রেম মানেই বাড়তি খরচ। ভাবছি আসছে ভালোবাসা দিবসে মনের মানুষটাকে কি উপহার দিয়ে ভালোবাসা নিবেদন করা যায়। দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি তাতে প্রেম ধরে রাখতেও হিমশিম খেতে হবে। গোলাপের দামও এখন বাড়তি।কিছুতেই টাকা অপচায় করা যাবে না।কিন্তু ফুল তো দিতেই হবে না হলে যে প্রেমের বারোটা বেজে যাবে!
ভাবতে ভাবতে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো,দুপুর গড়িয়ে রাত হলো। অতঃপর একটা জুতসই আইডিয়া খুজে পেলাম।ফুল আমাকে দিতেই হবে সেটা হোক গোলাপ ফুল কিংবা জংলা ফুল। খুশিতে কুটিকুটি হয়ে রাতেই বাজারে চলে গেলাম আর আস্ত একটা ফুলকপি নিয়ে ফিরলাম। দাম মাত্র ১৫ টাকা! আমি ঠকতে পারি না। কিছুতেই না।অনেক দর কষাকষি করে ১৫ টাকায় পেয়েছি। দামে কম মানে ভালো। সুস্বাদু, পুষ্টিকর।
কাল যেভাবেই হোক প্রমাকে মনের কথা বলতেই হবে। ও যদি আমার প্রতি পজিটিভ হয়ে থাকে তাহলে ফুলকপির নিবেদন কিছুতেই ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আর যদি ও আমাকে ভালোবেসে থাকে তাহলে এই ফুলকপি ওর কাছে পারিজাত ছাড়া আর কিছুই মনে হবে না!
দুর্ভাগ্যবশত যদি ফিরিয়ে ও দেয় তাহলেও খুব একটা লস হবে না। ভাজি করে খেয়ে ফেলবো। এত দামি গোলাপ দিলাম যদি ফিরিয়ে দেয় তাহলে তো সেটা আর ভাজি করে খাওয়া যাবে না।
আমি মিতব্যয়ী মানুষ তাই বলে কি আমার ভালোবাসা থাকতে পারে না? ভালোবাসার আকাল পড়া পৃথিবীতে এক ছোটাক ভালোবাসা পাবো না?
ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা পাওয়ার একটা চেষ্টা তো করা-ই যেতে পারে!
এলার্ম বাজছে! একি সাড়ে ৯ টা বেজে গেছে। এতক্ষণে প্রমা হয়তো ক্যাম্পাসে চলে এসেছে।
ফুলকপিটা কোথায় যে রাখলাম,,,,
যাহঃবাবা, আমি এখনও স্বপ্নের মধ্যেই আছি। ভাগ্যিস আগেরদিন ক্যাম্পাসের বাগান থেকে ফুল তুলে এনে ভিজিয়ে রেখেছিলাম! না হলে তো সত্যিই ফুলকপি নিয়েই যেতে হতো!
শিক্ষার্থী: ইডেন মহিলা কলেজ,ঢাকা
ডিএসএস/