বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গবেষণা ক্ষেত্র

আমি সবসময় একটা জিনিস ভীষণভাবে খেয়াল করি যে, প্রেমিক প্রেমিকারা একে অপরের হাতটা সবসময় ধরে রাখে। আচ্ছা এটা কেন? হাত না ধরে রাখলে কি ছেলেটা পালাবে নাকি মেয়েটাকে কেউ তুলে নিয়ে যাবে? প্রশ্ন গুলো মাথার মধ্যে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে কারণ প্রশ্নের উত্তর যদি সঙ্গে সঙ্গে মিটিয়ে না ফেলি তাহলে সেখান থেকে আরেক প্রশ্নের উদ্ভব হবে আমার মস্তিষ্কে। তাই ঠিক করলাম আজ পার্কে প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে আর প্রেমিকার সামনে প্রেমিককে জিজ্ঞাসা করবো, এক অপরের হাত তারা কেন ধরে? খুঁজতে খুঁজতে অনেক কষ্টে একটা যুগল দেখলাম। সেখানে মেয়েটা ছেলেটার হাতটাকে এমন ভাবে শক্ত করে ধরেছে মনে হয় ছেলেটা হিলিয়াম গ্যাসে তৈরী, যেকোনো সময় উড়ে যেতে পারে। আমি দৌড়ে গিয়ে তাদের সামনে দাঁড়ালাম।

-আপনাদের সঙ্গে একটু কথা বলতে পারি? ছেলেটা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল-
-জ্বী বলুন।
-আসলে প্রশ্নটা আপুর কাছে। আপু আপনি ভাইয়ার হাতটা এত শক্ত করে ধরেছেন কেন? উনার হাঁটার অসুবিধাও তো হতে পারে? আর তা ছাড়া উনিও তো আপনাকে ভালই বাসে। আপনাকে রেখে তো আর চলে যাবে না।
আমার কথাটা শুনে প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনেই বড় বড় চোখে তাকিয়ে ফেলল। মেয়েটা রেগে গিয়ে বলল-
-ও আমার বিএফ। ওর হাত আমি যেভাবে ইচ্ছা ধরব। আপনি বলার কে? এই তুমিও কিছু বলছো না কেন?
-আরে রাগ করো না। ভাই মনে হয় সিঙ্গেল। তাই এভাবে হাঁটার শান্তি সম্পর্কে জ্ঞান নাই। ভাই আপনি কি সিঙ্গেল? আমি তাদের দু’জনের কথা শুনে একটু ভেবে বললাম-
-আমি তো একাই আছি। আমার কোন ভাই বোন নেই।
-আরে ভাই আমি বলতেছি যে আপনি প্রেম করেন না?
-ওহ! না।
-তাহলে আপনি এই শান্তি থেকে দূরে আছেন।
এটা বলেই তারা চলে গেল। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। মেয়েটা ছেলেটার হাতটা এখন আর ধরছে না। কিন্ত দুজনেই বার বার হাসি দিয়ে তাকাচ্ছে পিছনের দিকে। আমার শরীর কেমন যেন কাঁপছে। কেন কাঁপছে? এটা ভাবতেছি এমন সময় চা ওয়ালা তালেব মিয়া এসে বলল-
-ভাই আপনের ফোনে রিং অইতাছে। কল টা ধরেন।
আমি খেয়াল করলাম ফোনের ভাইব্রেশনের কারণেই আমার মনে হচ্ছিল শরীর কাপঁছে। ফোন রিসিভ করে বললাম-
-কে বলছেন?
-আমি তোর মামা বলছি। তোর ফোনে আমার নাম্বার সেভ করা নেই?
-আসলে কলটা কেটে যেত তাই খেয়াল না করেই রিসিভ করেছি।
-কোথায় তুই?
-আমি তো এখন পার্কে।
-এরকম দুপুরবেলা পার্কে কি তোর?
- একটা গবেষণার কাজে এসেছি।
- থাক আর গবেষণা করতে হবে না। আমার বাসায় আয়।
-আমার গবেষণাতো এখনো শেষ হয়নি মামা।
-আমি আসতে বলেছি আয়।

মামা ফোন রেখে দিল। আমি কিছুই বললাম না। আমার গবেষণা শেষ না হলে আমি কোথাও যেতে পারব না। তাই আবার গেলাম অন্য একটা যুগলের কাছে। বাড়িতে এসে দেখি সবাই গোমড়া মুখে বসে আছে। চারদিকে ভাল করে খেয়াল করে দেখলাম মামাও এসেছে। আমি তেমন ভ্রুক্ষেপ না করে আমার রুমের দিকে পা বাড়ালাম।
-দাঁড়া এখানে। মামার ডাক শুনে দাঁড়ালাম। তারপর বললাম-
-জ্বী মামা।
-তোর আমার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল।
-আসলে একটা কাজে আটকে গেছিলাম।
-কাল তুই সারাদিন বাড়িতে থাকবি। কোথাও যাবি না।
-আমার একটা জরুরি কাজ আছে। কথাটা শুনে মামা কিছুক্ষণ চুপ থেকে আম্মুকে বলল-
-আপা আপনার ছেলেকে কাল তালা দিয়ে হলেও আটকে রাখবেন।
আমি রুমে চলে গেলাম। মামা আমার রুমে এসে ঘুম থেকে উঠাল। বলল রেডি হতে। আমি ঘুমো চোখ নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটা টি-শার্ট পরলাম। আর একটা কালো প্যান্ট। মামা আমাকে দেখে বলল-
-এসব কি পরেছিস? তোকে নিবোই না আমি। আমি মামাকে বললাম-
-ধন্যবাদ মামা। আমি ঘুমাতে যাই। উনি রেগে ধমক দিয়ে বলল-
-থাপ্পড় দিয়ে কান গরম করে ফেলব। ভাল জামা কাপড় পরে আয়।

আমি চুপচাপ ওয়াশ রুমে গিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখলাম। অনেক দিন পর এত মনোযোগ দিয়ে নিজের মুখটা দেখছি। তারপর একটা সাদা কালারের শার্ট পরে নিলাম। নিজেকে তখন সাদাকালো টেলিভিশন মনে হচ্ছিল। তারপর মামার সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই উনি একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললেন। এ রকম দীর্ঘশ্বাস ফেলার কারণ বিরক্তি প্রকাশ। এরকমভাবেই মানুষ নীরব বিরক্তি প্রকাশ করে থাকে। তারপর বললেন-
-চল। আমি একটা বিশাল বাড়িতে প্রবেশ করলাম। মামা আমাকে ফিসফিস করে বললেন-
-এটা খুব ধনী ব্যক্তির বাড়ি।

সত্যিই এটা খুব বড় লোক মানুষের বাসা। চারদিকে অনেক কর্মচারী ঘর গুছানোর কাজে মহাব্যস্ত। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এই বাড়ির মালিকের কাছে আমরা আসিনি। মামা নিশ্চয়ই এখানকার কোনো কর্মচারীর কাছে এসেছেন। মনের সংশয় কাটানোটাই এখন আমার কাছে সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই মামাকে বলেই ফেললাম-
-মামা আমরা এখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করতে এখানে আসলাম কেন? কর্মচারীদের নিজের বাসায় গেলেই পারতাম।
-মামা আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকালো। আর সঙ্গে সঙ্গে এক জন ভদ্রলোক এসে বলল-
-আরে আলমগীর। তুমি এসেছো তাহলে?

মামা আমার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে লোকটার সঙ্গে কুশল বিনিময় করল। তারপর আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল। আমরা গিয়ে সোফাতে বসলাম। মামা আমার পাশেই বসেছে। হঠাৎ মামা লোকটাকে বলল-
-শরীফ তোমার বাড়িটা কিন্তু খুব ভাল করেই সাজিয়েছো। শুনেই আমি মামার দিকে তাকালাম। তারপর ঐ লোকটার দিকে। মনেই হচ্ছে না মামার বন্ধুর বাড়ি এটা।
-তোমার মেয়েকে ডাকো। মামার কথা শুনে লোকটা ভিতরে গিয়ে একটা মেয়েকে নিয়ে আসলো। মেয়েটা সুন্দরী। কিন্তু আমাদের সামনে এভাবে আসার কারণটা জানতে মামাকে বললাম-
-মামা মেয়েটা এভাবে আমাদের সামনে বসে আছে কেন? মামা আমার কানের সামনে ফিসফিস করে বলল-
-তোর বিয়ে এ মেয়ের সঙ্গে হবে।
-বিয়ে?
-হুম। বিয়ে। যদি কিছু জানার ইচ্ছা থাকে জিজ্ঞাসা কর।
আমি মেয়েটার দিকে তাকালাম। মেয়েটা হাতের আঙ্গুল মোচড়াচ্ছিল। এ রকম করার কারণ হলো অস্বস্তি। আমি মেয়েটাকে সরাসরি বললাম-
-আপনি কি এই বিয়েতে রাজি না? কথাটা শুনে মেয়েটা আমার দিকে তাকাল আমিও তাকালাম। আর তখনি মেয়েটার বাবা বলল-
-আমার মেয়ে আমার কথা কখনো অমান্য করে না বাবা। মেয়েটা ব্যক্ত করতে না পারলেও ওর ভাবভঙ্গী দেখেই আমি বুঝতে পারছি ও রাজি না। কিন্তু আমি এমন ভাব করলাম যেন কিছুই বুঝিনি। আমি মামাকে বললাম-
-মেয়ে আমার পছন্দ হয়েছে। মামা খুশি হয়ে বলল-
-আলহামদুলিল্লাহ। সামনের সপ্তাহে তাহলে দিন তারিখ ঠিক করা হবে। আমরা তারপর বাসায় চলে আসলাম।
রাত বারোটা বেজে ছত্রিশ মিনিট। জানালার পাশে বসে আছি। হাতে একটা জ্বলন্ত সিগারেট। এই পর্যন্ত সাতটা সিগারেট শেষ করলাম। কিন্তু একটাতেও টান দেইনি। আমি সিগারেট খাই না। খেতে পারি না। কিন্তু চিন্তা করার সময় আমি হাতে সিগারেট রাখি। এটা হাতে থাকলে চিন্তায় গভীর ভাবে আচ্ছন্ন থাকতে পারি। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। একটা অচেনা নাম্বার। রিসিভ করলাম। কানে দিয়ে বললাম-
-খুব দোটানায় ছিলেন। ফোন করবেন কি না ঠিক করতে পারছিলেন না। তাই না?
-চিনতে পারলেন কি করে?
-সিমটা আজই নিয়েছি। আর নাম্বারটা আপনার বাবার কাছে ছাড়া আর কারো কাছে নেই। এত রাতে নিশ্চয়ই আপনার বাবা আমাকে কল দিবেন না।
-বিরক্ত করলাম?
-যদি বলি বিরক্ত হওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম?
-একটু কথা ছিল আপনার সঙ্গে।
-জানি। কলটা আপনি কথা বলার জন্যই করেছেন।
-কথাটা খুব জরুরি।
-বিয়েটা করব না আমি। ভয় পাবেন না।
-আপনি জানলেন কীভাবে আমি এটার জন্য কল দিয়েছি?
-আপনার আচরণ দেখে আমি তখনি বুঝতে পেরেছিলাম।
-তাহলে বললেন কেন আমাকে পছন্দ হয়েছে?
-সেটাই তো। বলেন তো কেন বলেছি?
-টাকা পয়সার জন্য।
-নাহ। একটা গবেষণা করার জন্য।
-গবেষণা?
-হুম।
-শুনেছি আপনি কিছুই করেন না। তাহলে কিসের গবেষণা করেন আপনি? আর কিছু করছেন না কেন?
-নিজেকে বাচাচ্ছি।
-মানে?
-চাকরি কারা করে বলুন তো?
-যাদের টাকা দরকার।
-আমার বাবার সে টাকা আছে। আর আমি ছাড়া আর কেউ সে টাকার ভাগ নিতে আসবে না।তাই শুধু শুধু কষ্ট করে লাভ কী?
-হাহাহা।
-হাসছেন যে?
-না এমনি। কতদিন আপনার গবেষণা চলবে?
-সাতদিন। এই সাতদিন আপনি আমার প্রেমিকা হয়ে থাকবেন।
-গবেষণাগার কোথায়?
-আপাতত ধানমন্ডি লেকে।
-আচ্ছা কাল দেখা হচ্ছে।

প্রথম দিন-
ফোনে রিং হচ্ছে। আমি ঘুম থেকে উঠে রিসিভ করে বললাম-
-কে?
-আমি।
-ওহ। সরি আজ আমার এক জায়গায় যেতে হবে। আজ আপনার সঙ্গে দেখা করতে পারব না।
-কোথায় যাবেন?
-আমি বাতাসের মতো। কখন কোথায় যাই ঠিক নেই। রাখছি। ফোন রেখে দিলাম। আমি ঘুমাব এখন। ঘুম আমার কাছে এখন সব চেয়ে বেশি ইম্পর্টেন্ট।

দ্বিতীয় দিন-
-কেমন আছেন ভাই?
-আরে তালেব মিয়া। কেমন আছো?
-আমাগো আর থাহা। আছি আর কি। চা খাইবেন না?
-হুম। দাও দাও।
ও একটা কাপ ধুয়ে ফ্লাক্স থেকে চা বের করতে ব্যস্ত হয়ে গেল। আর আমি অপেক্ষা করছি একটা মেয়ের জন্য। লোকটা চায়ের কাপ এগিয়ে দিল। আমি চায়ে চুমুক দিচ্ছি আর ভাবছি আজ প্রথম আমি কোন মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছি। চা শেষ করতেই মেয়েটা এসে সামনে দাঁড়াল।
-কাল আসলেন না কেন?
-কারণটা কাল বলেছিলাম।
-কেমন আছেন?
-ঘোলা!! চা খাবেন?
-খেতে পারি।
-তালেব মিয়া ওনাকে একটা চা দাও। তালেব মিয়া ওনাকে এক কাপ চা দিল। আমি বললাম-
-বসে খান। উনি চায়ে একটা চুমুক দিয়ে বলল-
-এটাই আপনার গবেষণাগার?
-হুম। পুরো পার্কটাই আমার জন্য গবেষণাগার।
-আপনি আমার নাম জানেন না?
-প্রয়োজন হয়নি তাই জানার চেষ্টা করিনি।
-মানে?
-আমার প্রয়োজনীয় ছাড়া তেমন কিছু আমার মস্তিষ্কে রাখি না। যেমন আমার যদি কোনো তথ্য এখন দরকার পরে তাহলে সেটা জানার আগ্রহ থাকে। আর আমি সেটা জানতে চাই তখন। প্রয়োজনীয়তা ফুরালে আমি সেটা আর দ্বিতীয় বার ভাবি না। আস্তে আস্তে সেটা আমার মাথা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে আপনার নামটা আমার দরকার পরবে এখন। বলুন।
-আমি ময়ুরী।
-ওহ আচ্ছা। আর আমি হলাম কথাটা শেষ না করতেই ময়ুরী বলল-
-আপনি পোলেন। আমি জানি।
আমি একটা হাসি দিলাম। তারপর দেখলাম যে ময়ুরীর চা শেষ। তাই আমি তালেব মিয়া কে খুঁজতে চারদিকে একবার মাথাটা ঘুরালাম। দেখলাম দূরে তালেব মিয়া চা বিক্রি করছে। কাপটা নিতে ভুলে গেল। আমি উচ্চ স্বরে ডাকলাম-
-তালেব মিয়া!!! তালেব মিয়া আমার ডাক শুনে বলল-
-ভাইসাব আইতাছি। ময়ুরী বলল-
-ওনাকে চিনেন কীভাবে?
-ওর ছেলেকে আমি পড়াই। সেই কারণেই পরিচয়। আমার কাছে টাকাও নেয় না।
-কিন্তু আজ তো আমাকেও খাইয়েছে। টাকা দেব আমি।
-দিবেন? দিন তাহলে। তালেব মিয়া চায়ের কাপ নিয়ে চলে যাচ্ছিল। আমি বললাম-
-দাঁড়াও। টাকাটা নিয়ে যাও।
-না না। আমি টাকা নিমু না।
-আরে মেমসাহেব খুব ধনী। সমস্যা নেই। নাও। ময়ুরী একটা পাঁচশো টাকার নোট বের করে দিল। তালেব মিয়া একটা হাসি দিয়ে বলল-
-আমার কাছে খুচরা নাই। আমি বললাম-
-রেখে দাও পুরোটা।
তালেব মিয়া পান খেয়ে দাঁতগুলো লাল করে ফেলেছে। আর সেই দাঁত গুলো বের করে একটা হাসি দিল আর আমার কানের কাছে এসে বলল-
-ভাইজান ভাবীটা কিন্তু মাশা আল্লাহ। অনেক সুন্দর।
-হাহাহা। যাও। তালেব মিয়া চলে যাবার পর ময়ুরী বলল-
-কী বলল লোকটা?
-আপনার নাকটা যদি বোঁচা না হতো তাহলে নাকি আপনাকে অনেক সুন্দর লাগতো।
-মানে? আমি সুন্দর না?
-ও তো সেটা বলেনি। ময়ুরী রাগে নাক ফুলিয়ে বলল-
-ওকে পাঁচশো টাকা দেওয়াটাই ভুল হইছে।
-আমার কাছে আপনাকে অনেক সুন্দর লাগে। যে কেউ প্রেমে পড়ে যাবে।
এটা শুনে ওর মুখে হাসি চলে আসলো। খুব খুশি হয়েছে তা বুঝা যাচ্ছে। মেয়েরা এরকমই। প্রশংসা করে তাদের মনে জায়গা করতে বিশাল এক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। তারপর আমি বললাম-
-পাঁচশো টাকা দিন তো।
-কেন?
-আপনার প্রশংসা করলাম। তালেব মিয়া প্রশংসা না করায় টাকা দেওয়াটাই ভুল মনে হচ্ছে আপনার। আর আমি প্রশংসা করলাম তাই আমাকে পাঁচশো টাকা দিলে নিশ্চয়ই খুব একটা খারাপ লাগবে না। তাই না?
এবার ময়ুরী হেসে ফেলল। খুব জোরে জোরে হাসল। আমিও হাসলাম ওর হাসি দেখে তবে দাঁত দেখিয়ে নয়। মুচকি হাসি যেটাকে বলে।

তৃতীয় দিন-
-আপনার গবেষণা কতটুকু এগোল?
-থেমে আছে।
-প্রেমিক প্রেমিকাদের হাত ধরা নিয়ে এত টেনশন করার কি আছে?
-আপনি জানলেন কি করে আমি হাত ধরা নিয়ে টেনশন করছি?
-মনে করে দেখেন তো আমাকে চিনতে পারছেন কি না?
-নাহ চিনি নাই।
-কিছুদিন আগে আপনি আমাকে আমার বিএফকে লেইকে প্রশ্ন করেছিলেন। আমি কেন তার হাত ধরে রেখেছি। দুদিন ইচ্ছা করেই বলিনি। ভাবছিলাম আমাকে চিনতে পারবেন। কিন্তু না।
-ওহ। হুম। মনে পরেছে। আপনার বিএফ কেমন আছে?
-ভাল। আচ্ছা আপনি আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন না কেন? আমি কি দেখতে খারাপ?
-আগে বলুন আপনার কাছে বিয়ে মানে কী?
-বিয়ে মানে এমন একটা সম্পর্ক যেটা আজীবন থাকে। সুখে দুঃখে একে অপরের পাশে থেকে এগিয়ে চলা। ভালোবাসায় ভরিয়ে রাখা দুজন দুজনকে।
-তাহলে আপনি দেখতে খারাপ অথবা সুন্দর হলেই বা কী? আপনার কথায় তো সুন্দর হওয়ার ব্যাপারটা বললেন না।
-আপনি কি জানেন আপনি খুব বেশি ভালো মানুষ?
-আজ জানলাম। আচ্ছা আপনার বিএফ জানে আপনি আমার সঙ্গে আছেন? আর সাতদিনের জন্য যে আমার প্রেমিকা হয়েছেন?
-সেটা না হয় পরেই বলব। আগে বলুন কেমন মেয়ে পছন্দ আপনার? আমি মাথাটা একটু চুলকাতে চুলকাতে বললাম-
-যে মেয়ে পার্কে আমার হাত ধরে হাঁটবে। আমি মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই ওর হাত থেকে ছুটে দৌড়ে লুকিয়ে যাব। ও আমাকে খুঁজে বের করে আমার হাতটা আরও শক্ত করে ধরবে যেন আমি পালাতে না পারি। কিন্তু আমি আবার পালাব। ময়ুরী হাসতে হাসতে বললৃ
-আর কেমন কেমন গুণ থাকতে হবে?
-রান্না ভাল জানতে হবে। যে আমাকে আমার পছন্দের রান্না করে খাওয়াবে। তবে তা খুউউব অল্প হতে হবে।
-অল্প কেন?
-মজাদার খাবার অল্প খেতে হয় তাহলে বেশ সুস্বাদু লাগে।
-আর কী কী?
-যে আমাকে রাগাতে পারবে।

চতুর্থ দিন-
আমি আর ময়ুরী হাঁটছি। হঠাৎ ময়ুরী আমার হাতটা ধরল। আমি হাতটা ছাড়িয়ে নিলাম। ময়ুরী বলল-হাতটা ছেড়ে দিলেন কেন?
-আপনার বিএফ যদি দেখে রাগ করবে।
-আপনি তো এখন আমার বিএফ। অন্তত সাতদিনের জন্য।
ময়ুরী আবার আমার হাতটা ধরল। খুব শক্ত করে ধরল। আমার ইচ্ছা হচ্ছে হাতটা ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে কোথাও লুকাতে। কিন্তু হাতটা ছাড়তে পারছি না। এটা কেমন যেন এক আকর্ষণ। ঠিক এই কারণেই প্রেমিক প্রেমিকারা হাত ধরে রাখে বুঝতে পারলাম।

পঞ্চম দিন-
আজ ময়ুরীর হাতে একটা ছোট বক্স। এতটাই ছোট যে যেগুলো দিয়ে বাচ্চারা হাড়ি পাতিল খেলে। আমি বললাম
-এটাতে কী?
-এটাতে বিরিয়ানি। আপনার জন্য।
-এত ছোট বক্সে করে বিরিয়ানি কেন?
-আপনিই তো বললেন আপনার ভালবাসার মানুষের আপনার পছন্দের খাবার অল্প করে খাওয়াবে।
-কিন্তু আপনি তো কথাটা না শুনেই ময়ুরী একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল
-আমিতো আপনার প্রেমিকা।
-ধন্যবাদ।
-প্রেমিকা হওয়ার জন্য?
-না বিরিয়ানির জন্য।

ষষ্ঠ দিন-
আজ অনেকক্ষণ হলো পার্কে ময়ুরীর জন্য অপেক্ষা করছি। ওর আসার কোনো খবরই নাই। ফোনে চার্জ আছে কিন্তু টাকা নাই। তাই কল দিতে পারছি না। কেমন যেন রাগ হচ্ছে আমার। আমি কারও উপর খুব সহজে রাগ করি না। কিন্তু ময়ুরীর উপর রাগ হলো। কিন্তু কেন? মানুষের তো সমস্যা থাকতেই পারে। এটা ঠিক ও আসবে বলেছে। কিন্তু আসেনি। এতে আমার এত রাগ হচ্ছে কেন? কি হচ্ছে এসব? এসব ভাবতেই দেখলাম কে যেন পিছন থেকে ডাকছে-
-পোলেন সাহেব। আমি মাথা ঘুরিয়ে দেখি ময়ুরী। তারপর ও বলল-
-রাগাতে পারলাম, তাই না? আমি একটা হাসি দিয়ে মাথা নাড়ালাম।

সপ্তম দিন-
ময়ুরীর সঙ্গে একটা ছেলে এসেছে। ওর বিএফ। আমাকে দেখে লোকটা বলল-
-আপনার গবেষণা কেমন চলল? আমি একটা হাসি দিয়ে বললাম-
-গবেষণা শেষ হয়নি এখনো! তবে আপনার প্রেমিকা হেল্প করাতেই অনেকটা হয়েছে। ময়ুরী তারপর বলল-
-ও আমার বন্ধু। বিএফ না।
-মানে? আমার মানে শুনে ময়ুরীর সঙ্গের ছেলেটা বলল-
-জ্বী ভাই। ও আমার ফ্রেন্ড। খুব ভালো ফ্রেন্ড। ওইদিন ও এমনিতেই আমার হাতটা ধরেছিল আর তখনি আপনি এসে বললেন আমার প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলবেন। তাই ও ফাজলামো করেছিল।
-ওহ। আচ্ছা ময়ুরী আমি যাই। আর কাল এঙ্গেজমেন্টে আমি যাব না। আপনার সঙ্গে আর কথা হবে না মনে হয়।
-চলে যাবেন?
-হুম।
এটাই বলেই চলে আসলাম। ভাবতেই অবাক লাগছে ওর সঙ্গে কাটানো ছয়টা দিন কতই মধুর ছিলো। এখন নিজের উপর রাগ হচ্ছে কেন যে প্রথমদিন ওর সঙ্গে দেখা করলাম না? আজ সকাল ভোরেই আমি বাসা থেকে চলে এসেছি। আমার গবেষণাগারে। আজকে আমি যদি ময়ুরীদের বাড়িতে না যাই তাহলে বিয়েটা ভেঙে যাবে। কিন্তু আমার খারাপ লাগছে কেন? আমি যেরকম মেয়ে পছন্দ করি ময়ুরী সেই গুণ গুলোর অধিকারী। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছি। এটাই কি ভালবাসা? না না। আমার এসব ভাবলে হবে না। এখন আমার মস্তিষ্ক কোন চিন্তাতে ব্যস্ত রাখতে হবে। যেমন, গাছের পাতা গুলো যদি ডালার মতো হতো আর ডালা গুলো যদি পাতার মতো হতো তাহলে কেমন হতো? এসব ভাবতে ভাবতেই দেখলামকে যেন আসছে। দূর থেকে মুখটা বুঝা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে ময়ুরী। এটাই হ্যালোসিনেশন। ময়ুরী আর আসবে না এখানে। কিন্তু একটু পর খেয়াল করে দেখলাম এটা ময়ুরীই। ও আমার সামনে এসে বলল-
-এখানে বসে বসে সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে দেখলেই গবেষণার নামে কথা বলতে চান। তাই না?
-মানে? কি বলছেন এসব? আবোলতাবোল বলবেন না।
-উঠুন। আপনাকে আমিই বিয়ে করব। তারপর আপনাকে গবেষণা করে দেখব আপনার আসল মতলব কী। উঠুন।
ও আমার হাত ধরে হাটছে। হাতটা খুব শক্ত করে ধরেছে। ছুটে যেতে চাইলেও পারব না। এটাই গবেষণার ফলাফল। কি হচ্ছে এসব কিছুই বুঝতে পারছিনা। ময়ুরীর মুখে কেমন যেন দুষ্টুমির হাসি। আচ্ছা এ হাসি দিয়ে ও কী বুঝাচ্ছে?

আরএ/

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর