তোমাকে হারানোর এক বছর
এক বছর আগেও তুমি আমার ছিলে৷ আজ তুমি কতদুরে? তোমার সাথে নিয়ম করে কথা বলা, হাতে হাত রেখে পথ চলা,মাঝে মাঝে তুমি থেকে তুই বলা, আজ শুধু স্মৃতি। জীবন থেকে হারিয়ে গেলে, আর ফিরে এলে না। কখনও আর ফিরে তাকাও নি কেমন আছি। জানো! আমি বেশ ভাল আছি। তোমাকে ছাড়া যেভাবে ভালো থাকা যায়। আমি সেটা মানিয়ে নিয়েছি ।
তোমাকে প্রশ্ন করবো না, তুমি কেমন আছো। জানি, তুমি ভালো আছো। আমাকে ছাড়া যদি ভালো থাকো, সেটাই যে বড় ভালো থাকা আমার। বিয়ের এক বছর দুমদাম করে পার করলে। শুনলাম তোমার জামাই নামিদামি চাকরি করে। বেতনও ভালই। সাথে তিনটা বোনাস। তাকে দেখতে নাকি রাজপুত্র, তোমার সাথে বেশ মানিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে কোন কিছু তেমন মনে হয়নি। এটাই স্বাভাবিক। তোমার পাশে কাউকে আমি ছাড়া বড় বেমানান লাগে। আর পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত মানুষ মনে হয়। লেখাটা পড়ছো আর আমার উপর রাগান্বিত হচ্ছো, তাই না। এটাই স্বাভাবিক। তুমি তো এটা ভালো ভাবেই জানো, তোমার দিকে কেউ অন্য ভাবে তাকালেও সহ্য হয় না। আর এখন পৃথিবীর নিয়মানুবর্তির কাছে আমি হেরে গেয়েছি। সব কিছু মেনে নিতে হচ্ছে। ও আচ্ছা তুমি নাকি প্রেগনেন্ট/ মা হতে চলেছো, এটা শোনার পরে সত্যি আমি অনেক আনন্দিত।
চোখের কোণে হঠাৎ পানি চলে এলো। পৃথিবীর সবচেয়ে যদি খুশির সংবাদ থাকে তাহলে সেটা হলো মা হওয়া। তুমিও হয়তো এর ব্যতিক্রম না। আমিও আনন্দিত তবে শিহরিত যেখানে বাবা হবার কথা ছিল, সেখানে মামা। তবে আফসোস করি না। হয়তো এটাই ছিল আমার কপালে। তবে তুমি যাই ভাবও আমি এখনও তোমায় ভালোবাসি। সত্যি অনেক ভালোবাসি প্রিয়তমা। জানো আমি এখনও তোমার মিষ্টি সুরের যন্ত্রহীন বাজনার গান রোজ শুনি। তোমার গাওয়া দুইটি গান আজ বড় প্রিয়। তুমি যখন ছিলে পাশে গানটা তেমন ভালো লাগতো না। তবে ঘুমানের আগে এখন রোজ শুনি। নিরব যন্ত্রণা পুষে রেখেছি এই বুকের মধ্যে। হাজারো কষ্ট নিয়ে জীবনহীন মানুষ হয়ে ভবঘুরে ঘুরছি প্রতিনিয়ত যে।
লেখক: সাংবাদিক ও তরুণ লেখক