আশার আলোয়
কুয়াশার মাঝে নিজেরে খুঁজে দেখো, তুমি হিম ফোঁটা হয়ে টপটপ করে পড়ছো আমার পৃথিবীর সবুজ ঘাসে। প্রভাতে পথ চলে দেখবে, তোমারই প্রতি ছায়া লেগে আছে শিশির ভেজা ঘাঁসে, আর আমি তোমার সৌন্দর্যের পূজারি হয়ে জানু পেতে বসে তুমিময় শিশির ফোঁটা আঙ্গুল দিয়ে তুলে আমার ঠোঁটে লেপটে নিচ্ছি, চুব্বনে চুম্বনে আমার ঠোঁটের দুটি পাতা হলো রঙিন ভেজা।
রাত জেগে বসে থাকা শুধু এক মিষ্ট রমনীর অপেক্ষায়। রমণীর দৃষ্টিনন্দিত হাসি, যেন পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়লো একফালি সুখ। সুখের থার্মোমিটারে সর্বোচ্চ রেখা স্পর্শ করে যায় আমার হেলেপড়া জীবন শুধু তোমাকে ঘিরে।
নিরাশার সাগরে হাবুডুবু খেয়ে যখন ছটফট করছি, অনুভব করে দেখি একখানি জীবন কাঠ আমার চারপাশে ঘুরছে, চেয়ে দেখি কাঠের উপর আমার জীবন বসে আছে, আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ক্লান্ত আমি জীবন কাঠটি জাপটে ধরলাম, অলস দেহ মন ঘুমে আচ্ছন্ন হলো। অনেকক্ষণ পর আঁখি মেলে দেখি, কোথায় জীবন কাঠ? কোথায় আমার ক্লান্ত তনু? মোবাইলের আলো দিয়ে খুঁজতে লাগলাম জীবন কাঠ কিন্তু সেই আলোয় ভেসে উঠলো বারবার তোমারি মুখশ্রী। জীবন কাঠতো তুমি, তুমিই আমার সহায়।
আশার আলোয় দ্বীপ জেলে যাই কিন্তু হতাশার বাতাসে দ্বীপ আমার নিভু নিভু, তাই তোমার আলোয় আলোকিত হয়ে নিজের আলোকে উজ্জীবিত করতে চাই। থমকে পড়া জীবন আমার কাম্য নয়। মাঝে মাঝে আমার চোখ লেগে আসে, আমার পৃথিবীর সীমারেখা আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসে। ঈশ্বর আমায় তাঁর সান্নিধ্যে নিতে চায় কিন্তু আমার আত্মার অর্ধেকটা তোমার কাছে পড়ে তাইতো মরা দেহে প্রাণ নিয়ে তোমার কাছে আবার পুনরায় নব আগমন।
লেখক: মাঈন উদ্দীন, কুষ্টিয়া