শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দরকার টেকসই সামাজিক পরিবেশ

অধ্যাপক রাজীব হোসেন,বিভাগীয় প্রধান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ ৫ জুন। বিশ্বব্যাপী কর্মোদ্যোগ, জনঅংশগ্রহণ ও গণমাধ্যমের কার্যক্রম এবং জনসচেতনতার মাধ্যমে পালিত হয়। বিশেষ এই দিনে জাতিসংঘের পরিবেশ কনফারেন্স শুরু হয়েছিল। তাদের অনেক, অনেক কাজ আছে পরিবেশ উন্নয়ন ও বাঁচাতে। পরিবেশ কনফারেন্সের প্রথম তারিখ হলো-১৯৭২ সালের ৫ থেকে ১৬ জুন। মোট ১১ দিনের বিরাট, বিপুল ও বিশ্বনন্দিত আয়োজন। এই কনফারেন্স কার্যক্রম প্রতিবছরই করছে জাতিসংঘ। তখন থেকে প্রতি বৎসর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। আলাদা, আলাদা প্রয়োজনীয় শ্লোগান ও সার্বজনীন কার্যক্রমে।
গত বছরের কর্মসূচি ‘বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ চলবে টানা ২০৩০ সাল। পুরো এক দশকের অতি প্রয়োজনীয় কর্মযজ্ঞ। বাস্তুসংস্থান অদৃশ্য, দৃশ্যমান দুই ধরনের সুবিধাই আমাদের দিয়ে থাকে। জীবনদায়ী অক্সিজেন, হাজার প্রাণপ্রকৃতির বসবাস, জীবনধারণের জন্য জল, খাবার, মসলা, কাপড়, উপকরণ, আশ্রয়স্থল, ওষুধ সবই আনে পরিবেশ। এই বিশ্বের সব মানুষ ও বিশ্ব প্রকৃতির পুরোটায় অবলম্বন করে পরিবেশকে। সবকিছুর মূলে রয়েছে সবার আলাদা, অপরিহার্য এবং কার্যকর বাস্তুতন্ত্র।
বাংলাদেশে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, নগরায়ণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের ফলে আমাদের প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রগুলো কমে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, সারা বিশ্বেই জাতীয় এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধারে আমরা কম গুরুত্ব দিয়ে চলেছি। ফলে পৃথিবী ত্রিমুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দিন, দিন-জলবায়ু পরিবর্তনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বাসস্থানের অপরিসীম ক্ষতি হচ্ছে। তাতে প্রায় ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ প্রাণ বিলুপ্তিতে। সারা দুনিয়াতে পানি, বায়ু পুরোপুরি দূষণে। বৈশ্বিক এই দুটিসহ পরিবেশের সব সমস্যা ও উত্তোরণ এবং সমাধানের জন্য কাজ করে চলেছেন সবাই। তবে সামগ্রিক সমাধান প্রয়োজন। টুকরো, টুকরো সমাধান পৃথিবীতে এসব সমস্যা অনেক কাটিয়েছে। তবে টেকসই জীবনযাপনের জন্য সামগ্রিক সমাধান করতে হবে। পরিবেশ সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য করণীয় হলো-১. শুধুমাত্র সরকার পারে ক্রস-সেক্টরাল ট্রান্সফরমেটিভ সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে। তাতে অনেক উপকার হবে। আঞ্চলিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক সব স্তরেই সরকারই স্থায়িত্ব কার্যক্রমের মূল চালক। তাদের যৌথ ধারাবাহিক নীতি, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেতৃত্ব পরিবেশের উন্নয়নে অপরিসীম অবদান রাখে। ২. প্রাকৃতিক অবক্ষয় রোধ ও বন্ধ করতে কাজ করতে হবে। ৩. স্থল ও সাগরের বাস্তুতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনতে সরকারদের জাতীয় ও বৈশ্বিক, বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী পদক্ষেপগুলো নিতে হবে। ৪. অতীতের লক্ষ্যমাত্রাগুলো মিস করা হয়েছে বলে নতুন লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে শক্তিশালী কর্মপরিকল্পনা, আর্থিক সহায়তা ও কার্যক্রমে সম্পন্ন করতে হবে। ৫. জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে ও গ্রিন হাউস ইফেক্ট রোধে প্যারিস চুক্তি অনুসারে দেশগুলোর সরকারদের তাদের প্রতিশ্রুতিগুলো সম্পন্ন করতে হবে। ৬. বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি শহরে বাস করেন। শহরগুলোকে অতিরিক্ত মানুষের ধাক্কা সহ্য করতে হয়। সরকারকে তাই সামাজিক টেকসই পরিবেশ কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করতে হবে। ৭. এই শহুরে বাস্ততন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জীববৈচিত্র্যপূর্ণ বাসস্থান, সহনীয় তাপপ্রবাহ, বন্যা, খরা, বায়ু দূষণ মোকাবেলার জন্য জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তাদের কাজের কোনো সীমা নেই। শহরগুলোতে জলাভূমি সৃষ্টি, সবুজ করিডোর তৈরি টেকসই প্রাকৃতিক উন্নয়নের অপরিহায শর্ত। যেকোনো স্থায়ীত্বের জন্য জন্য অর্থ বিরাট নিয়ামক। বাংলাদেশের শিল্পকারখানাগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, সৌরবিদুৎ, দূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রকৃতি ও তার বসবাসকারীদের বাঁচনোর কাজ করতে হবে। বিনিয়োগ অবশ্যই এমন কার্যকলাপে প্রবাহিত করতে হবে, যাতে প্রকৃতি বাঁচে ও পরিবেশের ক্ষতি না হয়। সবার সমৃদ্ধি আসে। উন্নয়নশীল দেশলোকে আরো দীর্ঘমেয়াদের অনুদান দিতে হবে এ খাতে। তাতে তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা, পরিসেবা, অবকাঠামো ও মানব মূলধন তৈরি করতে পারবেন। ব্যবসায়ী নেতাদের এজন্য আগ্রহী হতে হবে, উদ্যোগ থাকতে হবে। বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা স্কয়ারের এমন কার্যক্রম রয়েছে। বসুন্ধরার আহমেদ আকবর সোবহান, যমুনার নূরুল ইসলাম, হারুনার রশীদ মুন্নু, কুমুদিনী, অঞ্জন চৌধুরীর অবদান সুবিদিত। টেকসই পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে আমরা আমাদের সমাজ, অর্থনীতির পরিবর্তন করতে পারবো না, যদি না ওপরের কাজগুলো সম্পন্ন করতে না পারি। আগামী প্রজন্মকে ইতিবাচক পরিবর্তনগুলোতে কাজ করতে সাহায্য করে যেতে হবে। জ্ঞান, সরঞ্জাম, কর্ম উদ্যোগ থাকতে হবে। এই কারণেও আমাদের অর্থনীতি ও সমাজের পরিবর্তনের প্রচেষ্টায় বিজ্ঞানের দরকার। এই শিক্ষা ও জ্ঞান অপরিহার্য।

ছবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মায়া হরিণ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সৌজন্যে।

ওএস।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি