বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘খেলা হবে-এর প্রকাশ এই অভিযান’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের জোরপূর্বক ঢুকে পুলিশ অভিযান পরিচালনাকে পৈশাচিক ও সংবিধান বিরোধী বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফুটপাতে বসে থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘এটা একটা বর্বরোচিত পৈশাচিক, নারকীয় ও মর্মান্তিক ঘটনা। আমি মনে করি যে, কোনো সভ্য দেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। এখানে একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল তার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এইভাবে রেইট করা এটা কোনোভাবে গ্রহনযোগ্য না। এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে, আমাদের অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। এটা গণতন্ত্রকে ধবংস করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন করার শামীল। এটা গণতন্ত্রের প্রতি আঘাত। এর থেকে খারাপ কাজ কিছু হতে পারে না। আমার ভাষা নাই বলার। আই্ অ্যাম শক লাইক এনিথিং টুডে।’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘একটা শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বানচাল করার জন্যে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে। আপনি কি সারারাত থাকবেন এখানে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইটস ডিপেন্ড তারা কখন এই অভিযান শেষ করে তার ওপর…।’

বিকাল ৫টায় বিএনপি অফিসের প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। কলাপসেবল গেইট বন্ধ করে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এই অভিযান শুরু করে।

মির্জা ফখরুল একাধিকবার পুলিশ কর্মকর্তাদের শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে তাকে তার অফিসে প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য বললেও তারা বিএনপি মহাসচিবে কথা কর্ণপাত করেননি।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, ‘এটা ক্রাইম জোন। স্যার একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি উপরের সাথে কথা বলে নেই।’

বিএনপি মহাসচিব কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আমি পুলিশ কমিশনারের সাথে বলে এসেছি। আপনি কথা বলুন। আমাকে যেতে দিন। পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে বলেন, ‘স্যার দেখছি স্যার।’

এই পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে থেকে পুলিশ শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে্ আটক করে বের করে নিয়ে আসে ।মহাসচিব পুলিশ কর্মকর্তাদের বলতে গেলে মহাসচিবের কথা কর্ণপাত না করে শিমুল বিশ্বাসকে নিয়ে যায়। পরে বিএনপি মহাসচিব ফুটপাতে বসে পড়েন।

এই পর্যায়ে পুলিশ ভ্যান এসে নেতা-কর্মীদের লাইন দাঁড় করায় এবং কর্মীদেরকে পুলিশ ‘হাত উচু’ করে পুলিশ ভ্যানে তুলতে থাকে। রাত ৭টা পর্যন্ত দুই ভ্যানে করে পর্যায়ক্রমে চার দফায় নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

দলীয় কার্যালয়ের নিচতলায় নেতা-কর্মীদের লাইন করে দাঁড় করিয়ে রাখে।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনাদের কত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মোর দেন দুই হান্ডেড। সিনিয়র লিডারস রয়েছেন। মহানগর নেতাদের নিয়ে গেছে। অফিসে রেইট করে বিস্ফোরন রেখে দিয়ে উল্টো অভিযোগ দেবে …। আমান উল্লাহ আমান, আবদুল সালাম, রুহুল কবির রিজভী, শহিদউদ্দিন চৌধুরী, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ সবাই নিয়ে গেছে শুনেছি। কত জন গ্রেপ্তার করেছে সেটা আমি তো পারফেক্টলি বলতে পারব না।’ 

’আহত হয়েছে শতাধিক’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যেভাবে রেইট হলো সেটা আগেরটার সেইম কেইস। আগে যারা অভিযানে ছিলেন আজকেও তাদেরকে দেখা গেছে। সেই গ্রুপই ছিলেন।’

‘ফখরুল আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেন’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ভয়াবহ নির্যাতন, অসহায় গণতান্ত্রিকামী মানুষগুলো আজকে দেখছেন কিভাবে নিয়ে যাচ্ছে (আবেগপ্রবণ কন্ঠে)। এটা কি বলব। এটার জন্য আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম?’

পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা এই অসহায় মানুষগুলোকে এভাবে ধরবেন না। এটা ঠিক নয়। দিস ইজ টু মাচ। ইন মাই প্রেজেন্টস আপনারা এ করম ঠিক করছেন না।’

এই সময়ে পুলিশ কর্মকর্তা কর্মীদের হাত উঁচু করে নিয়ে যাওয়া থামায়নি।

এই পর্যায়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্লিজ আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। আমাকে অফিসে যেতে দিন।’

পুলিশ কর্মকর্তাদের বলেন, ‘দেশটা আমাদের সকলে। এভাবে আপনারা রেইট করতে পারেন না। পলিটিক্যাল পার্টি অফিসে এভাবে রেট কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।’

‘পুলিশই এই ঘটনা ঘটিয়েছে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেলা তিনটা দিকে পুলিশ রাবার বুলেট দিয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে আমাদের অফিস আক্রমণ চালায়। আর এরপরে আমি যখন এখানে আসে প্রবেশ করতে চাই, আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমাকে এখানে আটকিয়ে রাখা হয়।’

তারা ভেতরে ঢুকে ব্যাগ নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত ২ জন ছাত্র নেতা শহীদ হয়েছেন। পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।’

রাতে সাড়ে ৭টা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের অভিযান চলছিল এবং বিএনপি মহাসচিব ফুটপাতে বসে থাকেন।

তিনি বলেন, ‘আমি সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। আই টক টু ডিএমপি কমিশনার, আই টক টুক হোম মিনিস্টার। কোনো লাভ নেই। ইনফ্যাক্ট এখানে দেওয়ার ইজ নো গর্ভামেন্ট, দেয়ার ইজ নো স্টেট হিয়ার।’

নেতাদের গ্রেপ্তার সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘এভাবে গ্রেপ্তার জঘন্য। এভাবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করা যায় না। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। নিন্দার ভাষাও নেই আমার।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ নেতারা বিএনপি মহাসচিব উদ্দেশে নয়া পল্টনে মোড়ে আসার পর পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে তারা ফিরিয়ে দেন।

রাত ৮টায় দলীয় কার্যালয়ের গেইটের ফুটপাতে থেকে উঠে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি সভায় যোগ দিতে গুলশানের অফিসের উদ্দেশে নিজের গাড়িতে উঠেন।

কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশের তাণ্ডবের অভিযোগ’

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়েছে। তারা সবচেয়ে হীন কাজটা করেছে যে, তারা নিজেরা এখানে ব্যাগে করে কিছু কিছু বিস্ফোরক নিয়ে এসেছে এবং সেটা ভেতরে রেখেছে। আমরা যেটা খবর পেয়েছি তারা এখন বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

আমরা পরিস্কারভবে বলতে চাই, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে এবং শান্তিপর্ণ উপায়ে কর্মসূচি আমরা পালন করে আসছি। আপনারা জানেন যে, আমরা বিভিন্ন দাবিতে ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। শত বাধা-বিপত্তি সত্বেও উসকানির পরেও জনগণ শান্তিপূর্ণণভা্বে এই সমাবেশগুলো করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের মন্ত্রীরা উসকানিমূলক বক্তব্য রাখতে শুরু করে।তাদের সাধারণ সম্পাদক পরিষ্কার করে বলেন, খেলা হবে।

আারেকজন মন্ত্রী বলেন যে, হেফাজতের মতো সাফ করে দেওয়া হবে। এই যে ভয়াবহ সমস্ত উক্তি, সমস্ত কথা তখন থেকে যেটা আশঙ্কা করেছিলাম যে ২০১৩/১৪/১৫ ‘র মতো নীলনকশা করছে জনগণের ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আবারও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দমন করে দিতে চায়।

‘খেলা হবে’ এর প্রকাশ এই অভিযান’

ফখরুল বলেন, ‘এই অভিযান শুধু বিএনপিকে ক্ষতি করে নাই, সমস্ত বাংলাদেশে মানুষের বুকে আঘাত হেনেছে। একইসঙ্গে তারা গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে। যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সরিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য সেই ব্যবস্থাকে তারা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তারা পরিকল্পিাতভাবে কাজ করছে।’

আমরা আজকে দেখেছি যে, কারা কারা এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কোন কোন বাহিনী এখানে এসছে। কীভাবে পাশবিকভাব নারকীয় তাণ্ডব তারা চালিয়েছে তা বর্ণনা করা যায় না। সেই ভাষা আমার নেই। এটা আমি একমাত্র মনে করতে পারি একাত্তর সালে হানাদার বাহিনী যেভাবে মানুষের অত্যাচার করেছিল সেই অত্যাচারের নমুনা আমরা দেখেছি।

ফখরুল বলেন, এখানে আমি আমার সামনে যেটা দেখলাম আমাদের অফিসে সমস্ত কম্পিউটার, যতরকম ডকুমেন্ট সব তারা নিয়ে গেছে। সমস্ত সিসি ক্যামেরাগুলো তারা ভেঙে দিয়েছে। বিদ্যুতের লাইট ভেঙে দিয়েছে যাতে করে কোনো এভিডেন্স না থাকে।

তিনি বলেন, এটা কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করতে পারে এটা আমাদের ধারণার বাইরে। সবচেয়ে দূঃখজনক ব্যাপা্র সরকার কাজ করছে কি না সন্দেহ আছে। আমরা বার বার তাদেরকে অনুরোধ করেছি এখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হচ্ছে, কোনো ঝামেলা করবেন না। কিন্তু তারা কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি।

এমএমএ/

Header Ad

বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল

বক্তব্য রাখছেন এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। ছবি: সংগৃহীত

একুশ শতকের স্পেশাল বৈষয়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নতি করাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি বলেন, মহড়ার মূল উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা যাচাই করা এবং এর মাধ্যমে আমরা আমাদের অনেক বিষয় নির্ণয় করে সে মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুর বিমানবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে বার্ষিক গোলা বর্ষণ মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, বিমানবাহিনীর প্রধান ভূমিকা হচ্ছে দিগন্ত, স্থলে ও জলে যে কোন আঘাত প্রতিহত করা। এছাড়াও দেশের যে কোন প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টা, ৭ দিন সবসময় আমরা প্রস্তুত থাকি।

এদিকে, মহড়ায় শুরুতেই দেখানো হয় দুর্ঘটনা কবলিত পাইলটকে উদ্ধারে কমান্ডো অভিযান। এতে দুটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ও একটি রেসকিউ হেলিকপ্টার অংশ নেয়। এরপর মহড়ায় যোগ দেয় এফ সেভেন বিজিআই ও  মিগ ২৯সহ পাঁচটি যুদ্ধ বিমান।

এসময় গোলাবর্ষণ ও রকেট নিক্ষেপ করে প্রদর্শন করে নানা যুদ্ধ কৌশল। পরে মিগ ২৯ যুদ্ধ বিমান বিমানবাহিনী প্রধানকে সালামের মাধ্যমে মহড়ার কার্যক্রম শেষ করে। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি

দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় দুই সমন্বয়ক অক্ষত রয়েছেন।

লোহাগাড়া থানার দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলিম দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। জিডির প্রক্রিয়া চলছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেননি এএসআই আলিম।

এদিকে, ফেসবুকে ভাঙা গাড়ির ছবি আপলোড করে বিষয়টি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসুদ।

পোস্টে তিনি লিখেন, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অতীতে ভারতীয় কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।

Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ নিহতের ঘটনায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) গায়েবানা জানাজা পড়া হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর বারোটার দিকে কুবি কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেছেন কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী।

এর আগে সকাল ১১ টার দিকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের পর বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় কাফেটেরিয়া হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়।

এ ব্যাপারে জানাজায় অংশগ্রহণকারী হান্নান রহিম বলেন , 'সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন কর্তৃক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন এর আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ পরবর্তী গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচি থেকে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধ এবং সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসকনের সকল কার্যক্রম বন্ধের দাবি ও উগ্রবাদী স্বপ্নীল মুখার্জির দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো হয়।'

জানাজার ইমাম ও কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ইসলাহী বলেন, 'আমরা মানববন্ধনের পর মিছিল নিয়ে সেন্ট্রাল মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম, তখন কয়েকজন প্রস্তাব জানায় গায়েবানা জানাজা করার জন্য। তাই আমরা জানাজা করার সিদ্ধান্ত নিই। এছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গায়েবানা জানাজা হয়েছে। আমরা জানাজার মাধ্যমে সাইফুল ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।'

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বাংলাদেশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তির দাবিতে ইসকন সমর্থকদের হামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলার এ ঘটনায় আহত ৭-৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিম্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিমান বাহিনীকে পঞ্চম জেনারেশনে উন্নীত করাই প্রধান লক্ষ্য: এয়ার চিফ মার্শাল
দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, দুমড়ে-মুচড়ে গেল গাড়ি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনজীবী সাইফুলের গায়েবানা জানাজা
দুই দফা কমার পর আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: বিজি প্রেসের দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার
সাত কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন মির্জা ফখরুল
ফ্যাসিবাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত: রিজভী
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য, বিচারককে ডিম ছুড়লেন আইনজীবীরা
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ
নিরবের পরকীয়ার অভিযোগ ফিরিয়ে নিলেন স্ত্রী, চাইলেন ক্ষমা
মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন
স্ত্রী হত্যা মামলায় জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল চট্টগ্রাম, নেতৃত্বে হাসনাত-সারজিস
চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
পাবনার আটঘরিয়ায় দিনে-দুপুরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর