শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৭ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ক্ষমতার থাকার খায়েশ থাকলে পদ ছেড়ে নির্বাচনে আসুন: মির্জা ফখরুল

যশোর টাউন হল ময়দানে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন মির্জা ফখরুল। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপদেষ্টা পরিষদকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘ক্ষমতার খায়েস থাকলে পদত্যাগ করে দল করে নির্বাচন করুন।

আমাদের কোন‌কিছু লুকোছাপা নেই। জনগণ আমাদের সাথে আছে। এ দেশের মানুষ সংস্কার কি বুঝে না। তারা শান্তি ও সুশাসন চায়।’

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি‌ সহনীয় পর্যায়ে রাখা, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, ‘জাতীয় সরকার নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিলে আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। প্রবলেম শুরু হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’

সভায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সংস্কারের নাম করে মানুষের অধিকার পিছিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়ায় মানুষ অন্য কিছুর গন্ধ পায়। সংস্কার করবে জনগণ ও তাদের প্রতিনিধিরা। নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার দরকার সেটা করে নির্বাচন দিন।’

তিনি ড. ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি দায়িত্ব নেয়ায় আশ্বস্ত হয়েছিলাম। আমরা আশাবাদী আপনি দ্রুত নির্বাচন দেবেন। যত দ্রুত নির্বাচন দেবেন, তত দ্রুত দেশে শান্তি ফিরে আসবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যশোর খুলনা অঞ্চলে পাটকল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা বড় সমস্যা নিরসন করা হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এর স্থায়ী সমাধান করা হবে।’

সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য টিএস আইয়ুব, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

 

Header Ad
Header Ad

মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে: চসিক মেয়র

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গু ও কিউলেক্স থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে মশা নিয়ন্ত্রণে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে কার্যকর ভূমিকা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রয়োজনে মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ক্রয়, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ এবং নতুন কৌশল খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র জানান, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অভিযান চালানোর ফলে নগরীর পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গতি এসেছে। তবে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১০০টি ফগার মেশিন এবং ১২০টি স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বেশ কিছু ব্যাংক চসিককে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় অত্যাধুনিক ফগার মেশিন উপহার দিয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

জলাবদ্ধতা নিরসনে চসিক ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ব্যাকহোলোডার গাড়ি সংগ্রহ করেছে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, “জনগণ যেন মশার কামড়ে হসপিটালে যেতে না হয় কিংবা মৃত্যু ঝুঁকিতে না পড়ে, এজন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

মশা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ সরবরাহ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “মশার ওষুধের কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। তাই প্রয়োজনে নতুন ওষুধের সন্ধান করতে হবে। যদি কোনো কোম্পানি ভালো ওষুধ সরবরাহ করতে পারে, তা সংগ্রহ করা হবে। মশা নিয়ন্ত্রণে আমরা কোনো আপস করবো না।”

তিনি আরও বলেন, “কিছু বিকল্প পদ্ধতি ভাবা হচ্ছে, যেমন মশার লার্ভা খেয়ে ফেলা এমন মাছ বা কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে।”

জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মেয়র বলেন, “নগরবাসীর সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা জোরদার করতে হবে। নালা, ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার রাখা জরুরি। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ করছি, এটি আরও বাড়াতে হবে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে।”

মশার স্প্রে কার্যক্রমে গাফিলতির বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র বলেন, “যেসব পরিচ্ছন্ন কর্মী ফাঁকি দিচ্ছে, তাদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে। সুপারভাইজারদের দায়িত্ব নিতে হবে। কেউ গাফিলতি করলে তা লুকানোর চেষ্টা না করে আমাদের জানাবেন। প্রয়োজনে নতুন লোক নিয়োগ দিয়ে কাজ করানো হবে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরু পরাজয়ে

ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হতাশার দিন কাটাল বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ ‘এ’-তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২২৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও ৬ উইকেটে হেরে গেল টাইগাররা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে একাই লড়লেন তাওহীদ হৃদয়। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার।

টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভয়াবহ। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। পরের ওভারেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও শূন্য রানে ফিরে গেলে দল চাপে পড়ে যায়। ৬ ওভারের মধ্যেই স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৬ রান তুলতে গিয়ে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রান করে বিদায় নিলে আরও বিপর্যয়ে পড়ে দল। তানজিদ হাসানের ২৫ রানের ইনিংস কিছুটা স্থিতিশীলতা আনলেও সেট হয়ে যাওয়ার পর তিনিও উইকেট দিয়ে আসেন। ৩৫ রানের মাথায় অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আউট হলে বাংলাদেশের ইনিংস আরও গভীর সংকটে পড়ে।

এই ধসের মধ্যে এক প্রান্ত ধরে রেখে ব্যাট চালিয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় দুর্দান্ত ১০০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন জাকের আলী, যিনি ৬৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। তবে দলীয় ১৮৯ রানের মাথায় জাকেরের বিদায়ের পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ১৮ রান ছাড়া কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি, ফলে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের মূল কারণ ছিলেন মোহাম্মদ শামি। ভারতীয় এই পেসার একাই ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন। একইসঙ্গে ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলে ২০০ উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েন তিনি। বিশেষ করে, পাওয়ারপ্লেতে সৌম্য ও মিরাজকে ফিরিয়ে শুরুতেই বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দেন তিনি। এরপর জাকের, তানজিম এবং তাসকিনের উইকেট নিয়ে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন শামি।

২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল ভারত। রোহিত শর্মা ৩৬ বলে ৪১ রান করেন, তবে তাকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। এরপর বিরাট কোহলি (২২) ও শ্রেয়াস আইয়ার (১৫) দ্রুত ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ সেঞ্চুরি করেন শুভমান গিল। ১২৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন কেএল রাহুল, যিনি ৪৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন রিশাদ হোসেন, যিনি ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন। তবে মোস্তাফিজ ও তাসকিন ১টি করে উইকেট পেলেও ব্যাটসম্যানদের দেওয়া কম রানের লক্ষ্য রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

এই পরাজয়ের ফলে বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার সমীকরণ কঠিন হয়ে গেল। গ্রুপ পর্বে তাদের পরবর্তী ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, যেখানে জয়ের বিকল্প নেই। তাওহীদ হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি দলের জন্য কিছুটা আশার আলো জাগালেও, ব্যাটিং লাইনআপের ব্যর্থতা এবং বোলিং আক্রমণের ধার কম থাকা দলকে বিপদে ফেলেছে।

Header Ad
Header Ad

এমসি কলেজে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ, দায় চাপানোর প্রতিবাদ ছাত্রশিবিরের

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের এমসি কলেজের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রিয়াদের (৩০) ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। অপরদিকে, এমসি কলেজে বুধবার রাতে ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাবির টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ভিসি চত্বর ঘুরে আবার টিএসসি এসে মিছিলটি শেষ হয়। এ সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা "রগকাটার রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না", "শিবিরের সন্ত্রাস রুখে দাও ছাত্রসমাজ", "সিলেটে রগ কাটে, প্রশাসন কী করে"- এমন নানা স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘর্ষ, আহত ২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশচন্দ্র রায় সাহস বলেন, "ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে ছাত্রলীগ গেস্টরুম-গণরুম করে মিছিল করতে বাধ্য করতো, এখন আর কেউ সেই সুযোগ পাবে না।" তিনি অভিযোগ করেন, সিলেটে এমসি কলেজের এক শিক্ষার্থী গণতান্ত্রিক পরিবেশের পক্ষে স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে ছাত্রশিবির তাকে মারধর করেছে।

তিনি আরও বলেন, "তারা যৌক্তিক সমালোচনাকে গ্রহণ না করে বরং রগ কাটার মতো অপরাধ করছে। যখনই এই গুপ্ত সংগঠন অবাধে চলাচলের সুযোগ পায়, তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে ট্রমার মধ্যে রাখে।"

ছাত্রদল শিবিরকে উদ্দেশ করে বলেন, "আপনাদের উচিৎ ছিল ৫ আগস্টের ঘটনার পর জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করা। কিন্তু আপনারা আধিপত্য বিস্তারের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে।"

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, "একটি গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রদলের বহু নেতা জীবন দিয়েছেন, অনেকে গুম হয়েছেন। কিন্তু এখন একটি গুপ্ত সংগঠন সেই চেতনাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।"

ছাত্রদল নেতারা আরও বলেন, "মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের আড়ালে কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও আহত করে।"

এদিকে, সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে বুধবার রাতে সংঘটিত একটি ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, "এমসি কলেজে তিন দিনব্যাপী বইমেলা চলছিল, যেখানে ২৪-এর ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে শহিদ রুদ্র সেনের নামে ছাত্রশিবিরের একটি প্রকাশনা স্টল ছিল। সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারাদিন এবং মধ্যরাত পর্যন্ত এ আয়োজন নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু কলেজে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনায় ছাত্রশিবিরের নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালানো হচ্ছে।"

ছাত্রশিবির নেতারা জানান, "ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী এবং বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া কর্মীদের মধ্যে বিরোধ থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কিন্তু কোনো পক্ষই ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অভিযোগ করেনি। তবু ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।"

তারা আরও বলেন, "যে ব্যক্তি আহত হয়ে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, তিনি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং কলেজ হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল যে তিনি ছাত্রলীগকে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করতেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ হয় এবং দুজন আহত হন।"

ছাত্রশিবিরের নেতারা অভিযোগ করেন, "ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে কিছু মহল আগে থেকেই বিরোধিতা করে আসছে। এখন রাজনৈতিক স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। এমনকি সিলেটের একটি পীরতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যারা আগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিল, তারাও ছাত্রশিবিরকে দোষী দেখিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।"

নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানান এবং যেসব গণমাধ্যম তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করেছে, তাদের প্রকৃত সত্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।

 

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমসি কলেজে মিজানুর রহমান রিয়াদের ওপর হামলা হয়। এই ঘটনার জেরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকে প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে: চসিক মেয়র
বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান শুরু পরাজয়ে
এমসি কলেজে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ, দায় চাপানোর প্রতিবাদ ছাত্রশিবিরের
জুলাইয়ে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ চিকিৎসার জন্য রাশিয়া যাচ্ছেন
সামনে কঠিন সময়, বিএনপির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: আমান উল্লাহ
ছাত্রলীগের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘর্ষ, আহত ২
‘বিদেশী ষড়যন্ত্র ও হাসিনার রেখে যাওয়া আমলাতন্ত্র ইউনুস সরকারকে ভুল পথে পরিচালনা করছে’
ছাত্রলীগ নেতা এখন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি!
বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেনা-গোয়েন্দা আছে: দাবি ভারতীয় সেনাপ্রধানের
দ্রুত নির্বাচন দিয়ে অস্থিরতা দূর করুন: মির্জা ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে সংস্কার চায় না জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
হৃদয়ের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২২৮ রানের লড়াকু পুঁজি পেল বাংলাদেশ
ভাষা আন্দোলন জাতীয়তাবাদ ও ঐক্যের অনুভূতি জাগ্রত করে: তারেক রহমান
নিজেকে গ্রেফতারের আহ্বান জানালেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান
উত্তরায় চীনা নাগরিককে হত্যার পর বিদেশ পালালেন সহকর্মীরা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর
ভারতের ২১ মিলিয়ন ডলার অনুদান বাতিল নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য
বিয়ে নয়, প্রেমে পড়তে চাই: শ্রীলেখা মিত্র
স্ত্রী ও দুই কন্যাসহ সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নতুন আইফোনের ঘোষণা দিল অ্যাপল, জানা গেল দাম