শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

আসন ভাগাভাগিতে বাড়ছে ক্ষোভ, দীর্ঘ হচ্ছে ভোট বর্জনের তালিকা

ফাইল ছবি

নানা নাটকীয়তার পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর মাত্র তিন দিন পরেই আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোট গ্রহন। আর এর আগেই একে একে ঘোষণা দিয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছেন বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ১৬টি আসনে জাপার প্রার্থীরা ভোটের লড়াই থেকে সরে গেছেন। আরও অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বলে জানা গেছে । ভোটের আগে মাঠ থেকে প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোয় আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভবনাও বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দর কষাকষির পর এবারের নির্বাচনেও গতবারের সমপরিমাণ ২৬টি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে এর মধ্যে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন অন্তত ১৬টি আসনে, যারা আওয়ামী লীগের নেতা। ক্ষমতাসীন দল নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ভোটের মাঠ থেকে সরালেও তাদের ব্যাপারে কোনো দায়িত্ব নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে দলটি। এতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে আসা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৬টি আসনের মধ্যে কতটিতে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের মুখ দেখা সম্ভব হবে সেটা নিয়ে পার্টির মধ্যে রয়েছে সংশয়।

এদিকে ২৬টি আসনে সমঝোতা হলেও বাকি আসনে কোনো সমঝোতা হয়নি। কয়েকটি বাদে দেশের প্রায় সব আসনেই লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়নও দিয়েছে জাতীয় পার্টি। তবে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের দাবি, ২৬টিতে সমঝোতা হলে আমাদের কী দোষ। আমরা এই তালিকায় নেই কেন। এছাড়া দলীয় কোনো নির্দেশনা না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। তারা বলছেন, শীর্ষ নেতারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত, তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না।

ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো জাপার প্রার্থীদের বেশির ভাগেরই অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।

নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার শঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন তারা। কারো অভিযোগ, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া ২৬টি আসনের বাইরে জাপার যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বা করছিলেন—দল তাদের খোঁজ রাখেনি, দলীয়ভাবে আর্থিক সহযোগিতাও করা হয়নি। এতে তারা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। নিজ নিজ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের এবং আওয়ামী লীগের পদধারী ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী ও তাদের কর্মীদের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ এনে তারা বলেছেন, এতে ভোটের মাঠে থাকাকে তারা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। এমনকি, নির্বাচনে নিজেদের থাকা না থাকার মধ্যে কোনো তফাতও দেখছেন না সরে যাওয়া এই প্রার্থীরা।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঠের বাইরে চলে যাওয়া জাপার প্রার্থীদের অনেকে এমনও বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার ২৬টি আসনে ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থীদের অনেকেই নিজেদের পোস্টার-লিফলেটে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ বলে উল্লেখ করেছেন, কেউ কেউ পোস্টার-লিফলেটে নিজেদেরকে ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সমর্থিত’ প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আবার ঐ ২৬টি আসনে জাপার প্রার্থীদের কেউ কেউ পোস্টার-লিফলেটে দলীয় প্রধান জিএম কাদের ছাড়াও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ব্যবহার করেছেন। এমন অভিযোগ তুলে তারা বলেছেন, ‘তাহলে আমরা কারা? আমরা আমাদের পোস্টারে কী লিখব?’

নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ালেন যারা

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনিত বরিশাল জেলার দুই আসন এবং বরগুনার একটি আসনের প্রার্থীরা। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন- বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) ও বরিশাল-৫ (সদর) আসনের প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস এবং বরগুনা-১ (আমতলী-তালতলী) আসনের প্রার্থী খলিলুর রহমান।

ভোটের মাঠ থেকে সরে যাওযার ঘোষণা দেন বরিশাল জেলার দুই আসন এবং বরগুনার একটি আসনের প্রার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে বদ্ধপরিকর মুখে বললেও তাদের আচরণে মনে হচ্ছে তারা সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। সরকার কিছু রাজনৈতিক দলকে দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে চাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যে নির্বাচনে সাধারণ মানুষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। নির্বাচনে রয়েছে একটি দল আর সেই দলের লেজুড়ভিত্তিক কিছু মানুষ, তারাই এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তাই সার্বিক বিবেচনায় আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

একই অভিযোগ এনে একই মঞ্চে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বরগুনা-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিলুর রহমান।

 

১ জানুয়ারি (সোমবার) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির আরও দুইজন প্রার্থী। তারা হলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন এবং হবিগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী শংকর পাল।

সোহরাব হোসেন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিন প্রার্থী কোটি কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তারা ভোটের মাঠে কোটি কোটি টাকা ছড়াচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আামি পেরে দিচ্ছি না। প্রতিদিন নির্বাচনী এলাকায় যখন প্রচারে নামি আমার কমপক্ষে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি কোথায় পাব এত টাকা। আমাদের নেতারা কোনো খোঁজখবর রাখেন না। মজিবুল হক চুন্নু ও জিএম কাদের মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। তারা তাদের নিজ নিজ স্বার্থে বিভোর। আমাদের বা দলের কথা তারা ভাবছেন না। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। একই সঙ্গে রাজনীতিও আর করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

জাপার মনোনিত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন । ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির প্রার্থী বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ ও তার গড়া জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসি বলে এখনও দল করি। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমর্থিত পোস্টার ছাপিয়ে ভোট চাওয়ার লোক আমি নই। তাহলে দলের অবস্থান কোথায় থাকলো? আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোট পাওয়া যাবে না।

জাপার নেতা বলেন, গত নির্বাচনে আমার এজেন্টকে নানাভাবে নাজেহাল করা হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই দোকান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এর জবাব আজও পাইনি। এবারের নির্বাচনেও যে তা হবে না এর নিশ্চিয়তা কোথায়?

গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে জাপার প্রার্থী সামসুদ্দিন খান গতকাল কাপাসিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্বাচনে প্রচার চালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থাতে নেই। তাছাড়া আমি অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় পড়েছি।’

ছয় দিন আগে গত রবিবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) ও গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর একাংশ) আসনে জাপার প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সরকারের একতরফা নির্বাচন, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছি। মূলত আমি আর পারছি না, যার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।’

সর্বশেষ গতকাল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের জাপার প্রার্থী মো. সামসুদ্দিন খান এবং দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের মাহবুব আলম। হবিগঞ্জ-২ আসনের (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) জাপার প্রার্থী শংকর পাল এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন। ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) ও গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর একাংশ) আসনে জাপার প্রার্থী ও সাবেক সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন। একই দিন সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বরিশাল ৫ (সদর) ও বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস এবং বরগুনা-১ (তালতলী-আমতলী) আসনের খলিলুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান জাপার মো. শাহানুল করিম। এর আগে ১৭ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে জাপার প্রার্থী ছালাউদ্দিন খোকা সরে দাঁড়ান।

 

ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে যা বললেন জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের । ছবি: সংগৃহীত

জাপার প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘কয়েকটি আসনে জাপার কয়েকজন প্রার্থীর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া ঠিক হয়নি। এতে দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। তবে, আমাদের দলের প্রার্থীদের আর্থিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা দলীয়ভাবে প্রার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেবো, সে সামর্থ্য আমাদের নেই। তাছাড়াও প্রার্থীদের নানান হুমকি-ধমকিসহ আরও অনেক সমস্যা আছে।’

বহু নাটকীয়তা শেষে গত ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানিয়েছিলেন—২৮৩টি আসনে দলের প্রার্থীরা ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে, ঢাকা-৬ আসনে দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ঢাকা-১৩ ও ১৪ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ ২৬ জন ঐদিনই নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বাস্তবে জাপার প্রার্থী ছিল ২৫৭টিতে। এই ২৫৭ জনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন-সমঝোতায় জাপার যেই ২৬ জন প্রার্থীর আসনে ‘নৌকা’র প্রার্থী নেই—তারা নিজ এলাকায় ভোটের মাঠে পুরোদমে সক্রিয়। অবশিষ্ট ২৩১ জনের মধ্যে আট-দশ জন নিজ আসনে ‘নৌকা’র বিপরীতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে জোর প্রচারণায় নামলেও বাকিরা আছেন নামেমাত্র।

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার