‘সরকার বুঝতে ব্যর্থ হলে সংকট মারাত্মক হবে’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, একটি স্বাধীন দেশে দুর্ভিক্ষের পুর্বাভাশ শোনা, ব্যাংকখাতে হরিলুট হতে দেখা, নির্বাচন কেন্দ্রীয় যুদ্ধাবস্থা দেখার মতো দুভার্গ্য আর কিছু হতে পারে না। দুঃখজনক সত্য হলো, স্বাধীনতার ৫১তম বছরে এসে আজকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যার একমাত্র কারণ বিগত শাসক গোষ্ঠীর অনুসৃত ভুলনীতি, অসৎ চরিত্র, ক্ষমতার লিপ্সা, অদক্ষতা। এই পরিস্তিতি চলতে দেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জাতিকে এই দুরাবস্থায় ফেলতে দেবে না। সেজন্য আগামী ২ জানুয়ারি দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ। উক্ত সম্মেলন থেকেই আগামী নেতৃত্ব গঠন করা হবে এবং ২০২০ এর জাতীয় নির্বাচনের চুড়ান্ত রূপ রেখা ঘোষণা করা হবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যারয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন রেজাউল করীম।
দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে একটি জাতীয় সরকারের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা সরকার বুঝতে ব্যর্থ হলে দেশে সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেন চরমোনাই পীর।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লা মাদানী, নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক: মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ লতিফ, মাওলানা শোয়াইব আহমাদ, জি এম রুহুল আমীন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব মো. হারুন অর রশীদ, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল আমিন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ মনির হোসেন, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, মাওলানা নেছার উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. লুৎফর রহমান শেখ, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মুক্তিযোদ্ধ আলহাজ্ব আবুল কাশেম, অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মকবুল হোসাইন প্রমুখ।
এদিকে ২ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য দলের জাতীয় সম্মেলন সফলে ইতোমধ্যে সারাদেশের ৬৫২টি থানা শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারীদের নিয়ে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে থানা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক থানা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচ/এমএমএ/