এখনো জোট ছাড়ার সময় আসেনি: জামায়াত
বিএনপির জোটের অন্যতম ভোট শরিক জামায়াতে ইসলামী। দীর্ঘদিন ধরে দলটির সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না বিএনপির। বিশেষ করে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আলোচনা শুরু হওয়ার পর তা প্রকট আকার ধারণ করে। সরকার বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে সংলাপে জামায়াতের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
এদিকে জামায়াতের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামনের নির্বাচনে তাদের ২০ দলীয় জোটে না থাকার বিষয় নিয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ভাঙার ঘোষণার কথা বলায় সময় আসেনি।
জামায়াত নেতারা মনে করেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যে অবমূল্যায়ন হচ্ছে, তা আরও গাঢ় হলে বিভাজনটা স্পষ্ট করা সহজ হবে।
জানতে চাইলে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়েনি জামায়াতে ইসলামী। দলের আমীরের বক্তব্য সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি । জামায়াতে ইসলামী বিএনপি জোটের সঙ্গে আছে, জোট ছাড়েনি। হয়তো জোটের যে গুরুত্ব এবং তাৎপর্য বিএনপি সেটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর তার মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামি বিএনপি জোটে ছিল এখনো আছে তবে জোটের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে মাত্র।
রবিবার (২৮ আগস্ট) জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানের একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার বিষয়ে জানতে চাওয়ার পর তিনি এই কথা জানান।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ছেড়েছে জামায়াত প্রসঙ্গে কথা বলতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জামায়াতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমি মতামত দিতে পারি না। জোটে থাকা না থাকা এটা সম্পূর্ণ তাদের দলের ব্যাপার।
এদিকে তিন মাস পূর্বে বলা হয়েছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি পালন করা হবে না। এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘ ২২ বছরের জোটসঙ্গী জামায়াতকেও। বিএনপির উচ্চপর্যায়ের এক নেতা দলের সিদ্ধান্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, যে তারা জোটবদ্ধভাবে আর কোনো কর্মসূচি পালন করবেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জোটবদ্ধভাবে কর্মসূচি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের। এই সিদ্ধান্ত জামায়াতকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় ‘অনাপত্তি’ দিয়েছিল জামায়াত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের একজন দায়িত্বশীল নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, 'রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে জোট করা। আবার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই জোট ভাঙতে পারে। জামায়াত যে উদ্দেশে জোট করেছিল, তা থেকে জোটের অন্য শরিক দলগেুলো বহু দূরে সরে গেছে।’
এমএইচ/এমএমএ/