সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

একসঙ্গে এত শিক্ষক নিয়োগ ঐতিহাসিক ও ইতিবাচক

আমাদের শিক্ষার দৈন্যদশার মধ্যেও মাঝে মাঝে কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটে, যেগুলো সেভাবে মিডিয়া কাভারেজ পায় না। অথচ শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরতে বিষয়গুলো সবার দৃষ্টিতে আনা প্রয়োজন। কয়েকদিন আগে আমরা দেখলাম যে, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা আগেই সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষক পদে সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া ২ হাজার ৬৫ জন প্রার্থীকে ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এনটিআরসির মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার ৭৩টি পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ৬৫ জন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩ জন।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৮ হাজার ১৯৯ জন ও নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ১০৫ জন নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। পরে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রাথমিকভাবে নির্বচিত হন, যাদের ৩৪ হাজার ৭৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন। বেসরকারিদের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার ৯০৪ জন ও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৬৯ জন নিয়োগ পেয়েছেন। সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ২হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৪জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন সুপারিশ করে। স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২ হাজার ৬৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ধরনের আনুষ্ঠানিকতা একটি নতুন উদ্যোগ। এটি নিশ্চয়ই একটি উৎসাহব্যঞ্জক এবং কার্যকরী পদক্ষেপ। তবে মিডিয়ায় বিষয়টি সেভাবে আসেনি।

২৪ জানুয়ারি (২০২২) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারি স্কুলে নিয়োগ পাওয়া দুই হাজারের বেশি প্রার্থীর নিয়োগপত্র ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার প্রার্থীর সুপারিশপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “শিক্ষক সংকট থাকায় ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ প্রতিবেদন না নিয়েই নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন চলমান রয়েছে। যেহেতু প্রয়োজনীয়তা আছে, শূন্যপদ পূরণ করা প্রয়োজন–সেজন্য ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বিরূপ কিছু থাকলে তাদের বাদ দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার মতো দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার মানে যে পরিবর্তন আনতে চাচিছ তার জন্য নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে; কিন্তু এ কারিকুলাম বাস্তবায়নের সব থেকে বড় ভূমিকা শিক্ষকদের। শিক্ষকদের মানসম্মত হতে হবে, যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতা শিক্ষকদের থাকতে হবে। তাই বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন আমাদের দেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের প্রযুক্তিকে কাজের হাতিয়ার করে নিতে হবে, তাহলে আরও ভাল হবে।’ এখানকার অনেকগুলো বিষয়ের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। সবচেয়ে মূল্যবান কথাটি হচ্ছে, ‘শিক্ষকদের মানসম্মত হতে হবে, যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।’

শিক্ষকদের এখন শুধু দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা মিছিল করলে চলবে না। নিজেদের উন্নয়নের জন্য, নিজেদেরকে এই যুগের উপযোগী শিক্ষক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। বিভিন্ন সোর্স থেকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে, শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে হবে। রাষ্ট্রের আশায় শুধু তাকিয়ে থাকলে হবেনা, রাষ্ট্র কখন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে তখন প্রশিক্ষন নিয়ে কিছু নতুন বিষয় তারা জানবেন। এই যুগে শিক্ষা উন্নয়নের, পেশাগত উন্নয়নের বহু প্লাটফর্ম আছে, শিক্ষকদের সেগুলোর সাথে যুক্ত হতে হবে। শিক্ষক সংগঠনগুলোকেও শুধুমাত্র দাবি-দাওয়া আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, পেশাগত উন্নয়নের প্ল্যাটফর্মেও কাজ করতে হবে।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও জানা যায় যে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও যে ৪ হাজার ১৯৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি, তাদের প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া গেলে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এ ছাড়া নিয়োগ পাওয়া কোনো শিক্ষক চাকরিতে যোগ না দিলে সেই পদে মেধাক্রমের পরবর্তী ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার ২২৫টি পদে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। এসব শূন্য পদে নিয়োগ দিতে আবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। যেখানে আবেদন পাওয়া যায়নি, সেখানে প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার কিছু ভুল তথ্য ছিল। যেমন–নারীদের প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা পদে পুরুষ প্রার্থী এসেছিল, তাদের সুপারিশ করা হয়নি। কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি হয়ে গেছে, সেখানেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অর্থনীতিতে একটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিদ্যালয়ে স্বশরীরে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজ যেসব শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পাচ্ছেন, এই যোগ্য শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ন্যূনতম মান নির্ধারিত হবে বলে আমি মনে করি।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পাঠক্রমের মধ্যে আটকে রাখলে হবে না; বরং গতানুগতিকতার বাইরে এসে শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে। ‘তাদের উন্নত মানসিকতার দর্শন শেখাতে হবে। দক্ষ হতে হবে এবং টেকসইভাবে গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া, তাদের প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং করা, তাদের আগামী জীবনের জন্য তাদের পরামর্শ দেওযার দায়িত্ব শিক্ষকদের। আজ যারা নিয়োগ পাবেন তারা সবাই এসব বিষয় মাথায় রাখবেন বলে আমি আশা করি।’ তবে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে শর্তসাপেক্ষে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

তবে অবশ্যই প্রত্যেককে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিতে হবে। নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচছতা ও নিরপেক্ষতা যাতে পালন করা হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। আমরা শুনেছি এবং অনেকেই জানি যে, ‘পুলিশ ফেরিকেশনের’ নামে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা সামনে এনে প্রার্থীদের হয়রানি করা হয়। সেটি যাতে না হয়। এদেশের নাগরিক হিসেবে উপযুক্ত প্রার্থীরা যাতে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পায সে ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে। সরকারীকরন হয়ে যাওয়া, মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে কয়েকজন নিয়োগ পাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থী নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়নি। তাদেরও অন্য পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এটিও একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত।

একসঙ্গে এত সংখ্যক শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক, এমপিও ও নন-এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে একত্রে নিয়োগ দেওয়া, নিয়োগপত্র শিক্ষামন্ত্রী কর্তৃক প্রদান এবং একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা–এই চারটি বিষয়ই নতুন, চারটি বিষয়ই অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং শিক্ষকদের জন্য একটি বিরাট অরিয়েন্টেশন। এসব বিষয় আমি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এবং অত্যন্ত মূল্যবান বিষয় হিসেবে দেখছি। শিক্ষকদের জন্য এটি দরকার। কোথায় কিভাবে নিয়োগ হয়, কেউ কোনো খবর রাখে না। নিরানন্দভাবে নিয়োগ; কিন্তু এভাবে একত্রে শিক্ষক নিয়োগদানে একটি নতুন ধরনের অধ্যায় সৃষ্টি করলো। অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বিষয়। নতুন শিক্ষকগন দুই শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবের সাথে অন্তত ছবিতে, অনলাইনে যুক্ত হতে পেরেছেন এটি সত্যিই একটি আনন্দের বিষয় এবং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিক। আরও এক দুজন শিক্ষাবিদকে এখানে যুক্ত করে তাদের কিছু মতামত প্রদান করার সুযোগ দিলে হয়তো আরও ভালো হতো। তারপরও যা হয়েছে এটি আমি বলব একটি ঐতিহাসিক বিষয়। ধন্যবাদ শিক্ষামন্ত্রণালয়কে, ধন্যবাদ শিক্ষামন্ত্রীকে।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

এই মুহুর্তে কোন স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আহমেদ আযম খান

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিএনপির রোডম্যাপ কর্মসূচি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন- এই মুহুর্তে কোন স্থানীয় নির্বাচন নয়, কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন নয়। কোন নির্বাচন দেশের জনগণ এই মুহুর্তে চায় না। আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচিত সরকার স্থানীয় নির্বাচনগুলো করবে।

আযম খান বলেন- সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে অত্যাবশ্যকীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন ও কোর্টের ভূমিকা রয়েছে। এই প্রয়োজনীয় সংস্কার আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব। এগুলোর সংস্কার করেই নির্বাচনে যাওয়া উচিত অন্তর্বতী সরকারের। প্রধান উপদেষ্টা খুব দ্রুতই নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন বলে বিশ্বাস করি। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন- এই সরকার রাষ্ট্র মেরামতে এখনও সফলতা দেখাতে পারেনি। এই সরকার যেন একটা নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারা যেন সম্মানের সাথে বিদায় নিতে পারে। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীলতার ধারের কাছেও নেই।

অন্তর্বর্তী সরকার অনির্বাচিত হলেও এই সরকারকে জাতির স্বার্থে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন- ব্যাংকিং ব্যবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়নি। বিদেশী বিনিয়োগ একেবারেই শূণ্যের কোঠায় নেমে গেছে। বৃহৎ রাষ্ট্রগুলো বলছে, নির্বাচিত সরকারের সাথে তাদের সম্পর্ক হবে। ফলে সবকিছু মিলিয়ে এখন একটা নির্বাচন আবশ্যক এবং বিএনপি সেটা চায়। এ বছরের ভিতরেই নির্বাচন হতে হবে।  

এ সময় টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

Header Ad
Header Ad

৪৭ বছরের ইতিহাস ভেঙে অভিষেকেই ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড

দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ম্যাথিউ ব্রিটজকে।। ছবি: সংগৃহীত

৪৭ বছর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটার ডেজমন্ড হেইন্স। ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৮ রান করেছিলেন তিনি। এতদিন ধরে সেটিই ছিল অভিষেকে কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ ইনিংস।

অবশেষে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসে সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ম্যাথিউ ব্রিটজকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই ১৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। ইনিংসের প্রথম বল থেকেই মাঠে থাকা ব্রিটজকে শুরুটা করেছিলেন ধীরগতিতে। ৬৮ বলে ফিফটি এবং ১২৮ বলে শতক হাঁকানোর পর শেষ দিকে রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি। পরবর্তী ৫০ রান করতে খেলেন মাত্র ১৯ বল!

ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের তালিকায় এখন শীর্ষে আছেন ২৬ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। তার আগে হেইন্সের ১৪৮, আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজের ১২৭, দক্ষিণ আফ্রিকার কলিন ইনগ্রামের ১২৪ এবং হংকংয়ের মার্ক চ্যাপম্যানের ১২৪ ছিল উল্লেখযোগ্য ইনিংস।

ব্রিটজকের ১৫০ রানের ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা। তবে রেকর্ড গড়ার পরই বিদায় নিতে হয় তাকে। ম্যাট হেনরির ব্যাক অব দ্য লেন্থ বলে মিডঅফে ক্যাচ তুলে দেন মিচেল ব্রেসওয়েলের হাতে।

তার দেড়শত রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং উইয়ান মুল্ডারের ৬০ বলে ৬৪ রানের সুবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৪ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছে তারুণ্যনির্ভর দক্ষিণ আফ্রিকা। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দারুণভাবে শুরু করল প্রোটিয়ারা।

Header Ad
Header Ad

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার। ছবি: সংগৃহীত

দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন তথ্য জানান বিএনপি মহাসচিব।

ফখরুল বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি।

এ সময় দেশে বিভিন্ন বিশৃঙ্খল ঘটনা ও অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার দায়ও সরকারকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের অবস্থা, পতিত ফ্যাসিস্টদের নানামুখী ষড়যন্ত্র, সংস্কার বিষয়েও কথা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই মুহুর্তে কোন স্থানীয় নির্বাচন নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আহমেদ আযম খান
৪৭ বছরের ইতিহাস ভেঙে অভিষেকেই ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার
ডিবি পরিচয়ে ডাকাতি, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ১২
বেনজীরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ
টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ইকবাল গ্রেফতার
ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন বিষয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে প্রত্যাহার
স্বামীর টাকায় ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েই ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী
গাজীপুরে হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক, ফাঁকা বাড়িঘর ঝুলছে তালা
রাঘববোয়াল থেকে চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অবহেলার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে দায় এজেন্সিকেই নিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আমরা অফিশিয়ালি কোনো প্রার্থী ঘোষণা করিনি: জামায়াত আমির
আন্দোলনে শহীদদের পরিবার প্রতি মাসে পাবে ভাতা
কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের সিসি ক্যামেরা, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ
সালমান, আনিসুল, পলক ও শমসের মবিনের ফের রিমান্ড মঞ্জুর
গোবিন্দগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ভিলেন হতে যাচ্ছেন প্রিয়াংকা চোপড়া!
‘যেখানে-সেখানে’ যাত্রী তোলার দাবিতে সড়ক অবরোধ বাস শ্রমিকদের
মায়ের পরকীয়ার বলি ৩ বছরের শিশুকন্যা, প্রেমিকের বাড়ি পুড়িয়ে দিল এলাকাবাসী