রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

একসঙ্গে এত শিক্ষক নিয়োগ ঐতিহাসিক ও ইতিবাচক

আমাদের শিক্ষার দৈন্যদশার মধ্যেও মাঝে মাঝে কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটে, যেগুলো সেভাবে মিডিয়া কাভারেজ পায় না। অথচ শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরতে বিষয়গুলো সবার দৃষ্টিতে আনা প্রয়োজন। কয়েকদিন আগে আমরা দেখলাম যে, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা আগেই সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষক পদে সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া ২ হাজার ৬৫ জন প্রার্থীকে ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এনটিআরসির মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার ৭৩টি পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ৬৫ জন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩ জন।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৮ হাজার ১৯৯ জন ও নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ১০৫ জন নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। পরে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রাথমিকভাবে নির্বচিত হন, যাদের ৩৪ হাজার ৭৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন। বেসরকারিদের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার ৯০৪ জন ও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৬৯ জন নিয়োগ পেয়েছেন। সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ২হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৪জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন সুপারিশ করে। স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২ হাজার ৬৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ধরনের আনুষ্ঠানিকতা একটি নতুন উদ্যোগ। এটি নিশ্চয়ই একটি উৎসাহব্যঞ্জক এবং কার্যকরী পদক্ষেপ। তবে মিডিয়ায় বিষয়টি সেভাবে আসেনি।

২৪ জানুয়ারি (২০২২) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারি স্কুলে নিয়োগ পাওয়া দুই হাজারের বেশি প্রার্থীর নিয়োগপত্র ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার প্রার্থীর সুপারিশপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “শিক্ষক সংকট থাকায় ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ প্রতিবেদন না নিয়েই নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন চলমান রয়েছে। যেহেতু প্রয়োজনীয়তা আছে, শূন্যপদ পূরণ করা প্রয়োজন–সেজন্য ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বিরূপ কিছু থাকলে তাদের বাদ দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার মতো দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার মানে যে পরিবর্তন আনতে চাচিছ তার জন্য নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে; কিন্তু এ কারিকুলাম বাস্তবায়নের সব থেকে বড় ভূমিকা শিক্ষকদের। শিক্ষকদের মানসম্মত হতে হবে, যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতা শিক্ষকদের থাকতে হবে। তাই বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন আমাদের দেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের প্রযুক্তিকে কাজের হাতিয়ার করে নিতে হবে, তাহলে আরও ভাল হবে।’ এখানকার অনেকগুলো বিষয়ের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। সবচেয়ে মূল্যবান কথাটি হচ্ছে, ‘শিক্ষকদের মানসম্মত হতে হবে, যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।’

শিক্ষকদের এখন শুধু দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা মিছিল করলে চলবে না। নিজেদের উন্নয়নের জন্য, নিজেদেরকে এই যুগের উপযোগী শিক্ষক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। বিভিন্ন সোর্স থেকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে, শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে হবে। রাষ্ট্রের আশায় শুধু তাকিয়ে থাকলে হবেনা, রাষ্ট্র কখন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে তখন প্রশিক্ষন নিয়ে কিছু নতুন বিষয় তারা জানবেন। এই যুগে শিক্ষা উন্নয়নের, পেশাগত উন্নয়নের বহু প্লাটফর্ম আছে, শিক্ষকদের সেগুলোর সাথে যুক্ত হতে হবে। শিক্ষক সংগঠনগুলোকেও শুধুমাত্র দাবি-দাওয়া আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, পেশাগত উন্নয়নের প্ল্যাটফর্মেও কাজ করতে হবে।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও জানা যায় যে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও যে ৪ হাজার ১৯৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি, তাদের প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া গেলে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এ ছাড়া নিয়োগ পাওয়া কোনো শিক্ষক চাকরিতে যোগ না দিলে সেই পদে মেধাক্রমের পরবর্তী ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার ২২৫টি পদে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। এসব শূন্য পদে নিয়োগ দিতে আবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। যেখানে আবেদন পাওয়া যায়নি, সেখানে প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার কিছু ভুল তথ্য ছিল। যেমন–নারীদের প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা পদে পুরুষ প্রার্থী এসেছিল, তাদের সুপারিশ করা হয়নি। কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি হয়ে গেছে, সেখানেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অর্থনীতিতে একটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিদ্যালয়ে স্বশরীরে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজ যেসব শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পাচ্ছেন, এই যোগ্য শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ন্যূনতম মান নির্ধারিত হবে বলে আমি মনে করি।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পাঠক্রমের মধ্যে আটকে রাখলে হবে না; বরং গতানুগতিকতার বাইরে এসে শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে। ‘তাদের উন্নত মানসিকতার দর্শন শেখাতে হবে। দক্ষ হতে হবে এবং টেকসইভাবে গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া, তাদের প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং করা, তাদের আগামী জীবনের জন্য তাদের পরামর্শ দেওযার দায়িত্ব শিক্ষকদের। আজ যারা নিয়োগ পাবেন তারা সবাই এসব বিষয় মাথায় রাখবেন বলে আমি আশা করি।’ তবে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে শর্তসাপেক্ষে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

তবে অবশ্যই প্রত্যেককে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিতে হবে। নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচছতা ও নিরপেক্ষতা যাতে পালন করা হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। আমরা শুনেছি এবং অনেকেই জানি যে, ‘পুলিশ ফেরিকেশনের’ নামে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা সামনে এনে প্রার্থীদের হয়রানি করা হয়। সেটি যাতে না হয়। এদেশের নাগরিক হিসেবে উপযুক্ত প্রার্থীরা যাতে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পায সে ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে। সরকারীকরন হয়ে যাওয়া, মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে কয়েকজন নিয়োগ পাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থী নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়নি। তাদেরও অন্য পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এটিও একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত।

একসঙ্গে এত সংখ্যক শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক, এমপিও ও নন-এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে একত্রে নিয়োগ দেওয়া, নিয়োগপত্র শিক্ষামন্ত্রী কর্তৃক প্রদান এবং একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা–এই চারটি বিষয়ই নতুন, চারটি বিষয়ই অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং শিক্ষকদের জন্য একটি বিরাট অরিয়েন্টেশন। এসব বিষয় আমি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এবং অত্যন্ত মূল্যবান বিষয় হিসেবে দেখছি। শিক্ষকদের জন্য এটি দরকার। কোথায় কিভাবে নিয়োগ হয়, কেউ কোনো খবর রাখে না। নিরানন্দভাবে নিয়োগ; কিন্তু এভাবে একত্রে শিক্ষক নিয়োগদানে একটি নতুন ধরনের অধ্যায় সৃষ্টি করলো। অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বিষয়। নতুন শিক্ষকগন দুই শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবের সাথে অন্তত ছবিতে, অনলাইনে যুক্ত হতে পেরেছেন এটি সত্যিই একটি আনন্দের বিষয় এবং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিক। আরও এক দুজন শিক্ষাবিদকে এখানে যুক্ত করে তাদের কিছু মতামত প্রদান করার সুযোগ দিলে হয়তো আরও ভালো হতো। তারপরও যা হয়েছে এটি আমি বলব একটি ঐতিহাসিক বিষয়। ধন্যবাদ শিক্ষামন্ত্রণালয়কে, ধন্যবাদ শিক্ষামন্ত্রীকে।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এসএ/

Header Ad

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমিনুল ইসলাম নামে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। একই সময়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে থাকা এক পুলিশের সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহেদকেও আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ মে) বিকেলে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, তার ছোট ভাইয়ের পাঠানো ১৬ ভরি ওজনের ৮টি বালা নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় তাকে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামায় দুই যুবক। পরে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এসময় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষেরা দুই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।

এসময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টহল দল। টহল দল দুই ছিনতাইকারীর মধ্যে একজন খুলশী থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে জেলার পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় পৃথক সময়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলো- পোরশা উপজেলার নিতপুর মনোহরপুর গ্রামের রুবেল ইসলামের ছেলে লালচাঁন ইসলাম (৭) এবং মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সিফাত হোসেন (১২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রোববার দুপুরে রুবেল ইসলাম তার ছেলে লালচাঁনকে সাথে নিয়ে পোরশা উপজেলার কপালী মোড় পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে আসেন। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় মাসুদ বিড়ি বহনকারি একটি অটোরিশার লালচাঁনকে ধাক্কা দেয়। এতে লালচাঁন গুরুত্বর আহত হয়ে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে অটোরিকশার চালক আবুল কালামকে আটকসহ অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, রোববার বিকেল ৫টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের রানীপুকুর মাদ্রাসার অদূরে বাস চাপায় সিফাত হোসেন নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ফয়সাল হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। নিহত সিফাত হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এবং রানিপুকুর ক্বেরাতুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে’র মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন ইশরাক। সেই সময় শেষ হতে চলায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশরাক হোসেন পল্টন থানাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, হাই কোর্টথেকে জামিনে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বেশিরভাগ মামলাতেই আদালত জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু একটায় আটকানো হল আমাকে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার তো গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সে সময় বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকর্মীরা। তাতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছুসংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। মে সময় আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশকরেছেন বলে তিনি বক্তব্য দেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন আরেফীকে ‘মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা’ করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে ‘উসকানি’ দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর
বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ