রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

একসঙ্গে এত শিক্ষক নিয়োগ ঐতিহাসিক ও ইতিবাচক

আমাদের শিক্ষার দৈন্যদশার মধ্যেও মাঝে মাঝে কিছু ইতিবাচক ঘটনা ঘটে, যেগুলো সেভাবে মিডিয়া কাভারেজ পায় না। অথচ শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরতে বিষয়গুলো সবার দৃষ্টিতে আনা প্রয়োজন। কয়েকদিন আগে আমরা দেখলাম যে, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা আগেই সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষক পদে সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া ২ হাজার ৬৫ জন প্রার্থীকে ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এনটিআরসির মাধ্যমে সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার ৭৩টি পদে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগপত্র ও সুপারিশপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২ হাজার ৬৫ জন ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার ৭৩ জন।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ মার্চ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪৮ হাজার ১৯৯ জন ও নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ১০৫ জন নিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। পরে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রাথমিকভাবে নির্বচিত হন, যাদের ৩৪ হাজার ৭৩ জন নিয়োগ পেয়েছেন। বেসরকারিদের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজার ৯০৪ জন ও নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৬৯ জন নিয়োগ পেয়েছেন। সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ২হাজার ১৫৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৪জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন সুপারিশ করে। স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২ হাজার ৬৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই ধরনের আনুষ্ঠানিকতা একটি নতুন উদ্যোগ। এটি নিশ্চয়ই একটি উৎসাহব্যঞ্জক এবং কার্যকরী পদক্ষেপ। তবে মিডিয়ায় বিষয়টি সেভাবে আসেনি।

২৪ জানুয়ারি (২০২২) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারি স্কুলে নিয়োগ পাওয়া দুই হাজারের বেশি প্রার্থীর নিয়োগপত্র ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পাওয়া ৩৪ হাজার প্রার্থীর সুপারিশপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “শিক্ষক সংকট থাকায় ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ প্রতিবেদন না নিয়েই নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন চলমান রয়েছে। যেহেতু প্রয়োজনীয়তা আছে, শূন্যপদ পূরণ করা প্রয়োজন–সেজন্য ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বিরূপ কিছু থাকলে তাদের বাদ দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকদের মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার মতো দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার মানে যে পরিবর্তন আনতে চাচিছ তার জন্য নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে; কিন্তু এ কারিকুলাম বাস্তবায়নের সব থেকে বড় ভূমিকা শিক্ষকদের। শিক্ষকদের মানসম্মত হতে হবে, যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা দেওয়ার জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতা শিক্ষকদের থাকতে হবে। তাই বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন আমাদের দেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের প্রযুক্তিকে কাজের হাতিয়ার করে নিতে হবে, তাহলে আরও ভাল হবে।’ এখানকার অনেকগুলো বিষয়ের সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। সবচেয়ে মূল্যবান কথাটি হচ্ছে, ‘শিক্ষকদের মানসম্মত হতে হবে, যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।’

শিক্ষকদের এখন শুধু দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা মিছিল করলে চলবে না। নিজেদের উন্নয়নের জন্য, নিজেদেরকে এই যুগের উপযোগী শিক্ষক হিসেবে প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। বিভিন্ন সোর্স থেকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে, শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে হবে। রাষ্ট্রের আশায় শুধু তাকিয়ে থাকলে হবেনা, রাষ্ট্র কখন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে তখন প্রশিক্ষন নিয়ে কিছু নতুন বিষয় তারা জানবেন। এই যুগে শিক্ষা উন্নয়নের, পেশাগত উন্নয়নের বহু প্লাটফর্ম আছে, শিক্ষকদের সেগুলোর সাথে যুক্ত হতে হবে। শিক্ষক সংগঠনগুলোকেও শুধুমাত্র দাবি-দাওয়া আদায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, পেশাগত উন্নয়নের প্ল্যাটফর্মেও কাজ করতে হবে।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও জানা যায় যে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও যে ৪ হাজার ১৯৮ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি, তাদের প্রতিবেদন ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাওয়া গেলে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এ ছাড়া নিয়োগ পাওয়া কোনো শিক্ষক চাকরিতে যোগ না দিলে সেই পদে মেধাক্রমের পরবর্তী ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার ২২৫টি পদে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। এসব শূন্য পদে নিয়োগ দিতে আবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। যেখানে আবেদন পাওয়া যায়নি, সেখানে প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার কিছু ভুল তথ্য ছিল। যেমন–নারীদের প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা পদে পুরুষ প্রার্থী এসেছিল, তাদের সুপারিশ করা হয়নি। কিছু প্রতিষ্ঠান সরকারি হয়ে গেছে, সেখানেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অর্থনীতিতে একটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিদ্যালয়ে স্বশরীরে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজ যেসব শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পাচ্ছেন, এই যোগ্য শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ন্যূনতম মান নির্ধারিত হবে বলে আমি মনে করি।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পাঠক্রমের মধ্যে আটকে রাখলে হবে না; বরং গতানুগতিকতার বাইরে এসে শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে। ‘তাদের উন্নত মানসিকতার দর্শন শেখাতে হবে। দক্ষ হতে হবে এবং টেকসইভাবে গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া, তাদের প্রয়োজনীয় কাউন্সিলিং করা, তাদের আগামী জীবনের জন্য তাদের পরামর্শ দেওযার দায়িত্ব শিক্ষকদের। আজ যারা নিয়োগ পাবেন তারা সবাই এসব বিষয় মাথায় রাখবেন বলে আমি আশা করি।’ তবে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে শর্তসাপেক্ষে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

তবে অবশ্যই প্রত্যেককে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিতে হবে। নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচছতা ও নিরপেক্ষতা যাতে পালন করা হয়, মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। আমরা শুনেছি এবং অনেকেই জানি যে, ‘পুলিশ ফেরিকেশনের’ নামে অবৈধ অর্থের লেনদেন হয়, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা সামনে এনে প্রার্থীদের হয়রানি করা হয়। সেটি যাতে না হয়। এদেশের নাগরিক হিসেবে উপযুক্ত প্রার্থীরা যাতে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পায সে ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে। সরকারীকরন হয়ে যাওয়া, মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে কয়েকজন নিয়োগ পাওয়ায় কয়েকজন প্রার্থী নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়নি। তাদেরও অন্য পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এটিও একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত।

একসঙ্গে এত সংখ্যক শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক, এমপিও ও নন-এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ে একত্রে নিয়োগ দেওয়া, নিয়োগপত্র শিক্ষামন্ত্রী কর্তৃক প্রদান এবং একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা–এই চারটি বিষয়ই নতুন, চারটি বিষয়ই অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং শিক্ষকদের জন্য একটি বিরাট অরিয়েন্টেশন। এসব বিষয় আমি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এবং অত্যন্ত মূল্যবান বিষয় হিসেবে দেখছি। শিক্ষকদের জন্য এটি দরকার। কোথায় কিভাবে নিয়োগ হয়, কেউ কোনো খবর রাখে না। নিরানন্দভাবে নিয়োগ; কিন্তু এভাবে একত্রে শিক্ষক নিয়োগদানে একটি নতুন ধরনের অধ্যায় সৃষ্টি করলো। অত্যন্ত ইতিবাচক একটি বিষয়। নতুন শিক্ষকগন দুই শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবের সাথে অন্তত ছবিতে, অনলাইনে যুক্ত হতে পেরেছেন এটি সত্যিই একটি আনন্দের বিষয় এবং শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিক। আরও এক দুজন শিক্ষাবিদকে এখানে যুক্ত করে তাদের কিছু মতামত প্রদান করার সুযোগ দিলে হয়তো আরও ভালো হতো। তারপরও যা হয়েছে এটি আমি বলব একটি ঐতিহাসিক বিষয়। ধন্যবাদ শিক্ষামন্ত্রণালয়কে, ধন্যবাদ শিক্ষামন্ত্রীকে।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

হেলিকপ্টারে মাগুরা যাওয়ায় সমালোচনা, সারজিস বললেন ‘সিট খালি ছিল’

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশু আছিয়া মারা যাওয়ার পর তার মৃত্যুর বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তবে, তার আগে এই বিষয়ে কোনো পোস্ট করেননি তিনি। শিশুটি মৃত্যুর পর, সারজিস মাগুরায় যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি।

শনিবার (১৫ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে সেসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন সারজিস আলম।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস বলেন, যখন শুনলাম আছিয়া আর নেই তখন সিএমএইচে ছুটে গিয়েছি। সেনাবাহিনী, র‍্যাব থেকে পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত হেলিকপ্টারে যখনই একাধিক সিট খালি থাকার কথা শুনেছি তখনই মাগুরায় গিয়ে আছিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছি এবং জানাজা পড়ে আবার ঢাকায় ব্যাক করেছি।

সারজিস আলম লেখেন, এই পুরো ঘটনার মধ্যে সর্বশেষ অংশটুকু আমি ফেসবুকে দিয়েছি এবং ফেইসবুকে দেয়া অংশটুকু কে ‘সামগ্রিক’ মনে করে মিডিয়া এবং কিছু পাবলিক জাজমেন্ট করা শুরু করলো। তার মানে আমরা যতটুকু সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা গণমাধ্যমে প্রকাশ করি ততটুকুই হচ্ছে বলে আপনারা মনে করেন এবং সেটাকে পুরো ঘটনা ধরে জাজমেন্ট শুরু করে। অর্থাৎ আপনারাও আসলে ফুটেজের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। আবার যদি কোনো কিছু না দেই তখন মনে করেন কিছুই করা হয়নি! কি অদ্ভুত!

সারজিস অভিযোগ করে বলেন, দিলে বলেন ফুটেজমুখী আর না দিলে বলেন কিছুই করেনি। আপনাদের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কবে একটা সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ডে পরিণত হবে?

Header Ad
Header Ad

নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করলেন চীনা প্রতিনিধি দল

নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করেছেন চীনা প্রতিনিধি দল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসা চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নওগাঁর ঐতিহ্যবাহী কুসুম্বা শাহী মসজিদ পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটি কুসুম্বা মসজিদ, তার আশপাশের দিঘি এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহ ঘুরে দেখেন।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন উপমন্ত্রী মি. লি কুন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন চীনের জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসনের মহাপরিচালক ঝাং জুনফেং, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের মহাপরিচালক ওয়েন দায়ান, চাইনিজ একাডেমি অব কালচারাল হেরিটেজের সভাপতি লিং মিং, প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক ট্যাং উই এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসনের সাধারণ কর্মকর্তা লিউ ঝুকুন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল আজিজ, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক একেএম সাইফুর রহমান, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের সহকারী কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম, পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান হাফিজুর রহমান, নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম, মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহা. আনোয়ারুল ইসলাম, মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান এবং কুসুম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওফেল আলী মণ্ডল প্রমুখ।

এ বিষয়ে একেএম সাইফুর রহমান বলেন, "চীনা প্রতিনিধি দলটি প্রথমে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেন এবং এরপর কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করেন। তারা রাজশাহী পদ্মারপাড়ের কিছু স্থানও দেখবেন এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকার উদ্দেশে রাজশাহী ত্যাগ করবেন।"

Header Ad
Header Ad

দেশে ঈদ কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

এ বছর পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হতে পারে, সে অনুযায়ী আগামী ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর হতে পারে। এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে, ঈদুল ফিতর কখন উদযাপিত হবে, তা চূড়ান্তভাবে জানাবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

এর আগে চাঁদের স্থানাঙ্ক নিয়ে তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তরের বার্তা অনুযায়ী, আগামী ৩০ মার্চ চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩২ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। সে অনুযায়ী ১৩ মার্চ বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে।

এবার রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদুল ফিতর হবে ৩১ মার্চ (সোমবার)। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার)।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের সই করা শাওয়ালের চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণীতে বলা হয়, ৩০ মার্চ সূর্যাস্তের সময় ৬টা ১৩.৫ মিনিটে চাঁদের বয়স হবে দেড় দিন (১.০৫২৪ দিন)। সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার ৪৩.৪ মিনিট পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে। ৩১ মার্চ সূর্যাস্তের সময় ৬টা ১৪ মিনিটে চাঁদের বয়স হবে ২.০৫২৮ দিন। সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা ৫১.৬ মিনিট পর চন্দ্রাস্ত ঘটবে।

আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য মতে, ৩০ মার্চ শাওয়ালের চাঁদের বয়স থাকবে প্রায় দেড় দিন। সে কারণে বাংলাদেশের আকাশে খালি চোখেই চাঁদের দেখা মিলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হেলিকপ্টারে মাগুরা যাওয়ায় সমালোচনা, সারজিস বললেন ‘সিট খালি ছিল’
নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করলেন চীনা প্রতিনিধি দল
দেশে ঈদ কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস
ফেনীতে শিশুকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়: মির্জা আব্বাস
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
হঠাৎ গাড়িতে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পারশা মাহজাবীন
বাংলাদেশি ২৪ জেলেকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
‘ধর্ষণ’ শব্দের বদলে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের
চুয়াডাঙ্গায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন ধর্ষক হিটু শেখ
স্ত্রী,সন্তানসহ ৯ সফরসঙ্গী নিয়ে ঢাকা আসছেন হামজা, বরণে প্রস্তুত বাফুফে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু
বিরামপুরে মাদকসহ ১৬ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ, আটক ১
প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ শিগগিরই
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব
গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
রাজশাহী স্টেশনে ধুমকেতু ও বাংলাবান্ধা ট্রেনের সংঘর্ষ
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল সরবরাহ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি