বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ নিবন্ধ

‘রোহিঙ্গা’ নামক অপচ্ছায়া মুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মিয়ানমারের মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে। এটি ইতিবাচক একটি অগ্রগতি মনে হলেও একইসঙ্গে খুব বেশি উৎসাহিত হতে পারছি না। কারণ, এই প্রস্তাবের কার্যকারিতার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই যা মনে হয়, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের জন্য মিয়ানমারের উপর উপযুক্ত পরিমাণে চাপ সৃষ্টি করতে হলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যেমন চীন, রাশিয়া এবং সেই সঙ্গে জাতিসংঘের অন্য এবং আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র যেমন চীন, জাপান, ভারত, ভুটানসহ আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো। এদের সঙ্গে আমাদের আরও নিবিড় একটি সম্পর্ক রেখে কাজ করতে হবে। তার কারণ হলো, এই দেশগুলো বিশেষ করে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি গভীর কৌশলগত সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। আমার কাছে মনে হয় যে, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের এই সম্পর্কের মূল্য বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

চীন যদিও বলে যে, তারা এটির সমাধান চায় কিন্তু বাস্তব অর্থে তাদের এই চাওয়াটি যথেষ্ট পরিমাণে শক্তিশালী নয়। যা আমাদের জন্য খুব একটা আশা জাগাতে পারছে না। সেই জায়গায় চীনকে আমাদের আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে।

রাশিয়াকেও আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক সহযোগিতা সপ্রসারিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া মিয়ানমারের কাছে থেকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করতে চায়। কাজেই রোহিঙ্গা ইস্যুর চেয়ে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কটি তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। যে কারণে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তাদের ভূমিকা খুব একটা শক্ত অবস্থানে নেই অনুমান করা যায়।

ভারতের কথা যদি বলি, ভারত চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চিন্তার দিক দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। এজন্য তারা মিয়ানমারের ওপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপ দিতে চায় না। কারণ, তাতে মিয়ানমার চীনের দিকে চলে যাবে। ভারত আমাদের পক্ষ সমর্থন করলেও মিয়ানমারের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কটুকু নাজুক করতে রাজি নয়। বলা যায়, ভারত দ্বি-মুখী খেলায় মগ্ন।

জাপান আমাদের দ্বি-পাক্ষিক বন্ধু। তবে জাপানও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মোটামুটিভাবে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ অবলম্বন করেছে। যদিও সম্প্রতি সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের পর জাপানের অভ্যন্তরে কিছুটা পরিবর্তন দেখছি। পরিবর্তনটা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।

আশিয়ান দেশগুলো এ ব্যাপারে খুব সাবধানী ভূমিকা পালন করছে। আশিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কিন্তু মোটামুটিভাবে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার নাম করা যেতে পারে।

এখন কথা হলো, আমরা কি করতে পারি বা কি করলে এই সমস্যার সমাধান হবে? এই ক্ষেত্রে দুটি বিষয় আমি উল্লেখ করব, একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতেও মিয়ানমারে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তা তুলে ধরে সমাধানে সচেষ্ট থাকতে হবে। সেই সঙ্গে চীন, ভারত, রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরালো করতে হবে। সেক্ষত্রে আমাদের হাতে যে কিছু উপকরণ নাই তা আমি বলব না। সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।

যেমন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বড় ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে। চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে। ভারতের সঙ্গে আছে, জাপানের সঙ্গে আছে। কিন্তু এই অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিতকে কাজে লাগিয়ে আমরা বিশেষ কোনো উদ্যোগ এখনও নিতে পারছি না। কাজেই এই জায়গাটি ব্যবহার করার কথা আমরা চিন্তা করতে পারি কি-না সেটি বিবেচনা করা দরকার। এটি সম্ভব হলে এই দেশগুলো দ্বি-পাক্ষিকভাবে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও আমরা খুব একটা অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। সেখানেও একটি ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করে মিয়ানমারে যে সমস্যাগুলি বিশেষ করে রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে জাতিসংঘ উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে আমাদের সহায়তা করতে পারে।

মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের পরে আশিয়ানদের ভিতরে কিন্তু একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। তাদের বিভিন্ন শীর্ষ বৈঠকগুলোতে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কয়েকদিন আগে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের যে সামিট হয়েছে, সেখানে চীন কিন্তু চেষ্টা করেছিল আশিয়ানকে অনুপ্রাণিত করতে মিয়ানমারকে যেন সেখানে রাখে। কিন্তু আশিয়ান কড়াভাবে বলে দিয়েছে যে, তারা সেটি চায় না। তারা চায় না মিয়ানমারের সামরিক সরকার এখানে আসুক । এ ব্যাপারে একটি উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি। মিয়ানমারের গণতন্ত্রায়নের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি জনমত তৈরি হচ্ছে। সুচির দল পাল্টা সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আশিয়ানদের মতো একটি শক্তিশালী সংগঠন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে। এই গণতন্ত্রায়নের সঙ্গে যদি রোহিঙ্গা ইস্যু জুড়ে দেওয়া যায়, যদি বুঝানো যায় যে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সকল জাতি-গোষ্ঠীর স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করাটা জরুরি। এই ধরনের একটি জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারলে এবং আশিয়ানদেরকেও সম্পৃক্ত করতে পারলে মিয়ানমারের গন্তন্ত্রায়নের ক্ষেত্রে যে নতুন একটি সম্ভাবনার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আমাদের সৃজনশীল ও কূটনৈতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে সফল হতে পারি। আমরা যদি সেটা করতে পারি সেক্ষেত্রে সমাধানের একটি দিক নির্দেশনা আমরা খুঁজে পাবো।

একথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু সবচেয়ে বড়, জটিল এবং চ্যলেঞ্জিং একটি সমস্যা। এটি শুধু মানবিক সমস্যা নয়। আগামীদিনে এটি সামাজিকভাবে নিরাপত্তার দিক থেকে একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দেখা দিবে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান আমাদের জরুরি হয়ে পড়েছে।

এক্ষেত্রে আরও একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের এই সংকটের যদি সম্মানজনক সমাধান করতে পারি তার মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক এবং মিয়ানমারের মাধ্যমে আশিয়ানদের সঙ্গেও আমাদের নতুন সম্পর্কের বিন্যাস তৈরি করা যেতে পারে। এটি আগামী পঞ্চাশ বছরের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারা বিস্তারের প্রাক সমাধান।

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত।
অনুলিখন: শেহনাজ পূর্ণা

এসপি/এএন

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া