বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ | ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ নিবন্ধ

‘রোহিঙ্গা’ নামক অপচ্ছায়া মুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মিয়ানমারের মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে। এটি ইতিবাচক একটি অগ্রগতি মনে হলেও একইসঙ্গে খুব বেশি উৎসাহিত হতে পারছি না। কারণ, এই প্রস্তাবের কার্যকারিতার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই যা মনে হয়, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের জন্য মিয়ানমারের উপর উপযুক্ত পরিমাণে চাপ সৃষ্টি করতে হলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যেমন চীন, রাশিয়া এবং সেই সঙ্গে জাতিসংঘের অন্য এবং আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র যেমন চীন, জাপান, ভারত, ভুটানসহ আশিয়ানভুক্ত দেশগুলো। এদের সঙ্গে আমাদের আরও নিবিড় একটি সম্পর্ক রেখে কাজ করতে হবে। তার কারণ হলো, এই দেশগুলো বিশেষ করে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি গভীর কৌশলগত সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। আমার কাছে মনে হয় যে, চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের এই সম্পর্কের মূল্য বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

চীন যদিও বলে যে, তারা এটির সমাধান চায় কিন্তু বাস্তব অর্থে তাদের এই চাওয়াটি যথেষ্ট পরিমাণে শক্তিশালী নয়। যা আমাদের জন্য খুব একটা আশা জাগাতে পারছে না। সেই জায়গায় চীনকে আমাদের আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে।

রাশিয়াকেও আলাদা গুরুত্ব দিতে হবে। রাশিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক সহযোগিতা সপ্রসারিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাশিয়া মিয়ানমারের কাছে থেকে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করে বাণিজ্যিক সুবিধা আদায় করতে চায়। কাজেই রোহিঙ্গা ইস্যুর চেয়ে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কটি তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। যে কারণে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তাদের ভূমিকা খুব একটা শক্ত অবস্থানে নেই অনুমান করা যায়।

ভারতের কথা যদি বলি, ভারত চীনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চিন্তার দিক দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। এজন্য তারা মিয়ানমারের ওপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপ দিতে চায় না। কারণ, তাতে মিয়ানমার চীনের দিকে চলে যাবে। ভারত আমাদের পক্ষ সমর্থন করলেও মিয়ানমারের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কটুকু নাজুক করতে রাজি নয়। বলা যায়, ভারত দ্বি-মুখী খেলায় মগ্ন।

জাপান আমাদের দ্বি-পাক্ষিক বন্ধু। তবে জাপানও রোহিঙ্গা ইস্যুতে মোটামুটিভাবে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ অবলম্বন করেছে। যদিও সম্প্রতি সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের পর জাপানের অভ্যন্তরে কিছুটা পরিবর্তন দেখছি। পরিবর্তনটা যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।

আশিয়ান দেশগুলো এ ব্যাপারে খুব সাবধানী ভূমিকা পালন করছে। আশিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কিন্তু মোটামুটিভাবে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার নাম করা যেতে পারে।

এখন কথা হলো, আমরা কি করতে পারি বা কি করলে এই সমস্যার সমাধান হবে? এই ক্ষেত্রে দুটি বিষয় আমি উল্লেখ করব, একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করতে হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল এমনকি আন্তর্জাতিক আদালতেও মিয়ানমারে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তা তুলে ধরে সমাধানে সচেষ্ট থাকতে হবে। সেই সঙ্গে চীন, ভারত, রাশিয়ার মতো দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরালো করতে হবে। সেক্ষত্রে আমাদের হাতে যে কিছু উপকরণ নাই তা আমি বলব না। সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।

যেমন, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বড় ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে। চীনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে। ভারতের সঙ্গে আছে, জাপানের সঙ্গে আছে। কিন্তু এই অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিতকে কাজে লাগিয়ে আমরা বিশেষ কোনো উদ্যোগ এখনও নিতে পারছি না। কাজেই এই জায়গাটি ব্যবহার করার কথা আমরা চিন্তা করতে পারি কি-না সেটি বিবেচনা করা দরকার। এটি সম্ভব হলে এই দেশগুলো দ্বি-পাক্ষিকভাবে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও আমরা খুব একটা অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। সেখানেও একটি ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করে মিয়ানমারে যে সমস্যাগুলি বিশেষ করে রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে জাতিসংঘ উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে আমাদের সহায়তা করতে পারে।

মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতা দখলের পরে আশিয়ানদের ভিতরে কিন্তু একটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। তাদের বিভিন্ন শীর্ষ বৈঠকগুলোতে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কয়েকদিন আগে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের যে সামিট হয়েছে, সেখানে চীন কিন্তু চেষ্টা করেছিল আশিয়ানকে অনুপ্রাণিত করতে মিয়ানমারকে যেন সেখানে রাখে। কিন্তু আশিয়ান কড়াভাবে বলে দিয়েছে যে, তারা সেটি চায় না। তারা চায় না মিয়ানমারের সামরিক সরকার এখানে আসুক । এ ব্যাপারে একটি উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি। মিয়ানমারের গণতন্ত্রায়নের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি জনমত তৈরি হচ্ছে। সুচির দল পাল্টা সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আশিয়ানদের মতো একটি শক্তিশালী সংগঠন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে। এই গণতন্ত্রায়নের সঙ্গে যদি রোহিঙ্গা ইস্যু জুড়ে দেওয়া যায়, যদি বুঝানো যায় যে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সকল জাতি-গোষ্ঠীর স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করাটা জরুরি। এই ধরনের একটি জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারলে এবং আশিয়ানদেরকেও সম্পৃক্ত করতে পারলে মিয়ানমারের গন্তন্ত্রায়নের ক্ষেত্রে যে নতুন একটি সম্ভাবনার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে আমাদের সৃজনশীল ও কূটনৈতিক শক্তি কাজে লাগিয়ে সফল হতে পারি। আমরা যদি সেটা করতে পারি সেক্ষেত্রে সমাধানের একটি দিক নির্দেশনা আমরা খুঁজে পাবো।

একথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা ইস্যু সবচেয়ে বড়, জটিল এবং চ্যলেঞ্জিং একটি সমস্যা। এটি শুধু মানবিক সমস্যা নয়। আগামীদিনে এটি সামাজিকভাবে নিরাপত্তার দিক থেকে একটি বিরাট সমস্যা হয়ে দেখা দিবে। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান আমাদের জরুরি হয়ে পড়েছে।

এক্ষেত্রে আরও একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন যে, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের এই সংকটের যদি সম্মানজনক সমাধান করতে পারি তার মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক এবং মিয়ানমারের মাধ্যমে আশিয়ানদের সঙ্গেও আমাদের নতুন সম্পর্কের বিন্যাস তৈরি করা যেতে পারে। এটি আগামী পঞ্চাশ বছরের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারা বিস্তারের প্রাক সমাধান।

লেখক: সাবেক রাষ্ট্রদূত।
অনুলিখন: শেহনাজ পূর্ণা

এসপি/এএন

Header Ad
Header Ad

সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও ৪ পুলিশ সুপার ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ১৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। এই তালিকায় সিআইডি প্রধান মো. মতিউর রহমান শেখসহ সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল, অ্যান্টি টেরোরিজম, হাইওয়ে ও শিল্পাঞ্চল পুলিশের প্রধানও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মাহবুবর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই বদলি পদায়ন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে সিআইডির বর্তমান প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখকে পুলিশ সদর দফতরে, পুলিশ একাডেমি সারদার প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. মাসুদুর রহমান ভূঞাকে পুলিশ সদর দফতরে, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) খন্দকার রফিকুল ইসলামকে পুলিশ সদর দফতরে, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি রেজাউল করিমকে পুলিশ সদর দফতরে, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলমকে সারদা পুলিশ একাডেমিতে, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি আশরাফুর রহমানকে পুলিশ সদর দফতরে, পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি আতাউল কিবরিয়াকে ময়মনসিংহ রেঞ্জে, শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি আশরাফুজ্জামানকে রংপুর পিটিসিতে, সিআইডির ডিআইজি হারুন উর রশীদ হাজারীকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, সারদা পুলিশ একাডেমির ডিআইজি রখফার সুলতানা খানমকে হাইওয়ে পুলিশে, রাজশাহী মহানগরীর উপ-কমিশনার সাইফুদ্দীন শাহীনকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, খুলনার রেঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদকে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার, ডিএমপির উত্তরা বিভাগের ডিসি রওনক জাহানকে যশোর জেলা পুলিশ সুপার, রাজশাহী মহানগর পুলিশের সদ্য ডিসি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আবুল ফজল মহম্মদ তারিক হোসেন খানকে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার ও বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহমদকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়াও সুনামগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্টকৃত আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত ও কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ অধিদফতরে রিপোর্টকৃত মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে পুলিশ অধিদফতরে ও নীলফামারী জেলার সাবেক পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্টকৃত মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই প্রজ্ঞাপনে কক্সবাজার, নীলফামারী, যশোর ও সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ও ময়মনসিংহ রেঞ্জে নতুন ডিআইজি পদায়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে কক্সবাজার, নীলফামারী, যশোর ও সুনামঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপারদেরকে (পুলিশ সদর দফতরে রিপোর্টকৃত) ওএসডি করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

‘শেখ হাসিনার বিচারের আগে কোনো নির্বাচন নয়’ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলমের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ফ্যাসিস্টদের বিচার সবাই চাই। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ দেওয়ার পর বাইরে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, একজনের চিন্তা চেতনা মতামত আরেকজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হবে, তা হয় না। কিছু কিছু লোক ফ্যাসিস্টের মতো আচরণ করছে।

শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হতেই হবে। আদালত তার আইনের নিয়মে চলে। তার দ্রুত বিচার হতে হবে। আগে কখনো কোটা আন্দোলন বা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দল গঠন করবে বলে আমরা শুনি নাই। নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার অজুহাতকে জনগণ পছন্দ করছে না আমরা তা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।

এর আগে দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে দেখতে ইউনাইটেড হাসপাতালে যান। তিনি হাসপাতালে গিয়ে ফখরুলের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন মির্জা ফখরুল।

Header Ad
Header Ad

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আজকের সেমিফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ভারত। গত বছর ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে শিরোপা হারানোর পর এবার সেই প্রতিশোধ নিতে সফল হলো রোহিত শর্মার দল।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তার ৭৩ রানের ইনিংস এবং অ্যালেক্স ক্যারির ৬১ রানের সুবাদে ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অস্ট্রেলিয়া।

ভারতীয় ইনিংস শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও, বিরাট কোহলির ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংসে দলকে জয় এনে দেয়। কোহলি এবং শ্রেয়াস আইয়ারের মধ্যে তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের পার্টনারশিপ ভারতকে স্বস্তি দেয়। আইয়ার ৪৫ রান করে আউট হলেও কোহলি এক প্রান্তে দৃঢ়তার সাথে খেলে যান।

অক্ষর প্যাটেলও ২৭ রান করে ফিরে যাওয়ার পর, কোহলি কেএল রাহুলের সঙ্গে ৪৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। কোহলি সেঞ্চুরির পথে থাকলেও ৮৪ রান করে আউট হন। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হলেও, রাহুল ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন এবং ভারতের জয় নিশ্চিত করেন।

অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই ম্যাচে ব্যাটিং ছিল বেশ কঠিন। তাদের ওপেনার কুপার কনোলি ৯ বলে ০ রান করে আউট হন। ট্রাভিস হেডও ৩৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন। স্মিথ কিছুটা লড়াই করলেও, তার আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া কোনঠাসা হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত, ক্যারি ৫৭ বলে ৬১ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৬৪ রানের সংগ্রহে পৌঁছে দেন।

ভারতের হয়ে বোলিংয়ে শামি তিনটি উইকেট নেন, যা দলের জয়কে সহজ করে দেয়। এভাবে, ভারত প্রথম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও ৪ পুলিশ সুপার ওএসডি
নির্বাচন পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
বিরামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য
স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী
অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী
টাঙ্গাইলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন সিএনজি চালক
স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বাতিল করলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় নির্বাচন!