বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শাবিপ্রবির ভিসি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যে খুব বড় সমস্যা ছিল, এমনটা না। সেটি সমাধানের জন্য প্রশাসনের চেষ্টা করা তাদের দায়িত্বের অংশ ছিল। মেয়েদের হলে খাওয়া-দাওয়ার মান নিয়ে একটি ক্ষোভ ছিল। তারপর ইন্টারনেট কাজ করে না। এখন সবসময়ই অনলাইনে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে ছাত্রীদের পক্ষ থেকে প্রভোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা, তাকে সমস্যাগুলো জানানো এবং সমাধানের চেষ্টা করা। তারপর যখন কোনোভাবেই সমাধান হচ্ছে না, তারা প্রভোস্টের সঙ্গে বসতে চাচ্ছে কথা বলার জন্য; কিন্তু প্রভোস্ট তাদের সেই আহবান গ্রহণ করেনি।

এমনকী তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও দুর্ব্যবহারের অভিযোগটি বেশ পুরনো। আসলে সেখান থেকেই ক্ষোভ এবং সেখান থেকেই এ আন্দোলনের শুরু। প্রভোস্টের ব্যর্থতা বোঝা গেল, প্রভোস্ট হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, সেটি তিনি করেননি। প্রভোস্ট হতে গেলে তো শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেটিও যদি না পারা যায়, তাহলে বুঝতে হবে–কেন পারা যাচ্ছে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্ষমতা অথবা সীমাবদ্ধতা কী অথবা কোথায়?

শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে আর সেগুলো যদি পারা না যায়, তাহলে তো তিনি প্রভোস্ট হওয়ার যোগ্য না। প্রভোস্টকে বলতে হবে সমাধানের জন্য অথবা অন্য প্রভোস্ট নিতে হবে। সেটিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করেনি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বাড়তে থাকে এবং আন্দোলন চলতে থাকে। সেটি সমাধান না করেই সমাবেশের উপর সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন হামলা চালায়। তারা তো আর নিজ থেকেই হামলা করেনি। কারও প্রতিনিধি হিসেবে, কারও স্বার্থরক্ষা করতে হামলা করেছে। কারও আদেশে হামলা করেছে। সাধারণত তারা প্রশাসনের পক্ষে থাকে। সেটি আরও বোঝা যায় প্রশাসন যখন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে। তখন ধরেই নেয়া যায় যে, প্রশাসনের ইঙ্গিত অথবা ইন্ধনেই হামলাটি হয়েছে। শান্তিপূর্ণ একটি অবস্থান কর্মসূচির উপর তারা কেন হামলা করবে? এরপরই যখন পরিস্থিতির অবনতি হয়, উপাচার্য তাদের দাবি-দাওয়ার কথা না শোনে, স্বাভাবিকভাবেই হামলার বিচার এবং অন্যান্য দাবি দাওয়াগুলি না মানার কারণে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ঘেরাও করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা এরকম আগেও করেছে আমরা জানি। সে ক্ষেত্রে প্রশাসন আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করে থাকে। এখানে খারাপ যে বিষয়টি ঘটল, পুলিশকে লেলিয়ে দেয়া হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পেটাতে! ছাত্রছাত্রীদের ভুল থাকলে তাদের বুঝাতে পারে, তিরস্কার করতে পারে, কিন্তু গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা চালানো সেটি তো অবিশ্বাস্য ঘটনা। একটা যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি বানিয়ে ফেলা হলো। সমস্যার সুত্রপাতটি ছিল ডাইনিং হলকে ঘিরে সেটাকে সমাধান না করে এভাবে পরিস্থিতি নষ্ট করে ফেলা–মূলত সেখান থেকেই কিন্তু শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন শুরু।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমাধানের পথ না খুঁজে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া,হল বন্ধ করে দিয়ে সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে আমরণ অনশন শুরু করে। গত কয়েকদিনে উপাচার্য তাদের সাথে কোনো আলোচনায় অংশ নেয়নি। লিখিত আকারে একটি বক্তব্য দিতে পারতেন, সেটিও করেননি।

এরই মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের প্রসঙ্গ তুলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যে বক্তব্য শাবিপ্রবির ভিসি দিয়েছেন, সেটি খুবই আপত্তিকর। মেয়েদের অবমাননা করে দেওয়া তার বক্তব্য সাংঘাতিক রকমের আপত্তিজনক। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্পিকার, মন্ত্রী, সাংসদসহ সব ক্ষেত্রেই নারীরা রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কাজেই তার এই বক্তব্য সমগ্র নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর। তার এহেন বক্তব্য শুধু নয়, সবকিছু মিলিয়ে তার আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা আছে বলে মনে করি না।

সরকারও কেন এটি এতদিন ঝুলিয়ে রাখছে জানি না। এখন তো বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সরকার থেকে নিয়োগ দিতে হয়। যেখানে একজন উপাচার্য তার কথাবার্তার ধরন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে কোনোভাবেই মিলে না। সুতরাং তাকে বদলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এমন হয়েছে যে, যারা শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি মানবিক দায়িত্বশীল ইত্যাদি না দেখে দলীয় বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া, সরকারের সাথে সবক্ষেত্রে আপস করে চলা অনুগত ব্যক্তিরা উপাচার্যের নিয়োগ পাচ্ছেন। এটি কিন্তু সমস্যার একটি বড় কারণ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করার মাধমে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে সমস্যা সমাধান করতে হলে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়াটি পরিবর্তন হওয়া দরকার। নিজেদের দলীয় কর্মী নিয়োগ না দিয়ে উপযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য বন্ধ করতে হবে এবং তৃতীয়ত বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে বিশাল বিশাল কন্সট্রাকশন প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। এগুলোকে ঘিরেও বেশকিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোরও সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে।

লেখক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত