সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পদায়নে সৃষ্টি হবে জটিলতার

আমরা এরই মধ্যে জানতে পেরেছি যে, ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত নতুন পাঠ্যপুস্তক ও শিখন সামগ্রীর বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে আগামী জানুয়ারিতে। নতুন কারিকুলামে শিক্ষকদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি এবং গুরুত্বপূর্ণ। এ কারিকুলাম অনুযায়ী বেশিরভাগ বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বরের জন্য পরীক্ষা ও বাকি ৫০ শতাংশের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে শ্রেণিকক্ষে। অর্থাৎ এখানেও শিক্ষকদেরই বিশাল ভূমিকা।

নতুন শিক্ষাক্রমে চারটি ধর্ম শিক্ষাসহ মোট ১০টি বিষয় রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বিদ্যমান পদগুলোতে যারা শিক্ষক হিসেবে বর্তমানে কর্মরত, তারা বাস্তবিক কারণেই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নন। যেমন গণিতের শিক্ষকই যে মাধ্যমিক পর্যায়ে গণিত পড়াচ্ছেন আর ইংরেজির শিক্ষকই যে ইংরেজি পড়াচ্ছেন এমনটি নয়। দেখা যাচ্ছে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষকরা ইংরেজি পড়াচ্ছেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক গণিত কিংবা বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন। এটি একটি বাস্তবতা। কিন্তু নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয় পড়ানোর জন্য একটি বিষয়ে একাধিক শিক্ষক এবং কোনো বিষয়ে শিক্ষক নেই এভাবে বণ্টন করা যাবে না।

হিন্দুধর্ম শিক্ষা, খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা ও বৌদ্ধধর্ম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ হয়ে না থাকলে ওই বিষয়ে আগ্রহী সংশ্লিষ্ট ধর্মানুসারে শিক্ষককে তার নিজ বিষয়ের দায়িত্ব বণ্টনের পর অতিরিক্ত হিসেবে এ বিষয়গুলোর দায়িত্ব বণ্টন করা যেতে পারে। চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষক না থাকলে শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহী বা এ বিষয়ে দক্ষতা আছে এ ধরনের শিক্ষককে ওই বিষয়ের দায়িত্ব বণ্টন করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে কে কোন বিষয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন এবং কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন তা বিন্যাস্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এই তালিকা অনুসরণ করে তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের জন্য বিষয় বণ্টন করবেন। তালিকা অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের শিক্ষকদের জন্য বিষয় বণ্টন করে অনলাইনে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের ডাটা এন্ট্রি দেবেন। অনলাইনে বিদ্যামন সব বিষয়ের শিক্ষককে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নির্বাচিত বিষয়গুলোর কোনো না কোনো বিষয়ের নাম এন্ট্রি দিতে হবে।

কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ১০ জন হলে ১০ জন শিক্ষককে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের ১০টি বিষয়ে বণ্টন করে দিতে হবে। একটি বিষয়ে একাধিক শিক্ষক এবং কোনো বিষয়ে শিক্ষক নেই এভাবে বণ্টন করা যাবে না। শিক্ষক সংখ্যা ১০ জনের বেশি হলে ম্যাচিং তালিকা অনুযায়ী নতুন শিক্ষাক্রমের ১০টি বিষয়ে ১০ জনকে দায়িত্ব বণ্টনের পর অন্য শিক্ষকদের জন্য তালিকা অনুযায়ী বিষয় বণ্টন করতে হবে। শিক্ষক সংখ্যা ১০ জনের কম হলে ম্যাচিং তালিকা অনুযায়ী তাদের বিষয় বণ্টন করে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে অন্য বিষয়গুলো তাদের নিজ বিষয়, আগ্রহ ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বণ্টন করে দিতে হবে।

বর্তমানে বাংলার শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে বিষয় হবে বাংলা, ইংরেজি শিক্ষকদের ইংরেজি, গণিত শিক্ষকদের গণিত, ভৌতবিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞানের শিক্ষকদের বিষয় হবে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও ভূগোল শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে বিষয় হবে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান বা আইসিটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বা আইসিটিতে দক্ষ যেকোনো বিষয়ের শিক্ষকদের বিষয় নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি।

কৃষি শিক্ষা ও ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে বিষয় হবে কৃষি শিক্ষা ও ব্যবসায় শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি। এ ছাড়া জীববিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকদের বিষয় নতুন শিক্ষাক্রমে হবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বিষয় হবে ধর্ম শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষকদের বিষয় নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী হবে শিল্প ও সংস্কৃতি।

বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক মাধ্যমিকে সব বিষয়ে না থাকা একটি বাস্তবতা। এটির জন্য এককভাবে কেউ দায়ী নয়। তবে, বেশিরভাগ শিক্ষকই ইংরেজি, গণিত বিষয়ে পাঠদান করতে চান প্রাইভেট বা টিউশনির জন্য। আর এজন্য কর্তৃপক্ষের আনুকূল্য পেতে হয়। আর একটি সমস্যা হচ্ছে গ্রামীণ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের এমনিতেই ঘাটতি রয়েছে। তারপর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক থাকার তো প্রশ্নই আসে না।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে অন্য ধরনের সমস্যা। ঢাকা শহরসহ দেশের বড় বড় শহরে এবং অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অঞ্চলে অবস্থিত সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক আর গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম সংখ্যক শিক্ষক। তারপরেও খোদ রাজধানীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক ধরন অনুসারে শিক্ষক পদায়ন করা নেই। এসব বিদ্যালয়ে এক বিষয়ের শিক্ষক আরেক বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এখানে নতুন কারিকুলাম কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা নিয়ে সন্দিহান খোদ শিক্ষকরাই।

নতুন কারিকুলামে প্রশিক্ষণবিহীন কোনো শিক্ষক আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর আর ক্লাস নিতে পারবেন না। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকার স্কুলগুলোর শিক্ষকদের বিষয় সমন্বয় করে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিদ্যমান শিক্ষকদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে সমন্বয় করাতে প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে মোট ১০টি বিষয় থাকছে। এর আলোকে বর্তমানে বিষয়ভিত্তিক পদে কর্মরত শিক্ষকদের বিষয় নির্ধারণ করে সেপ্টেম্বর ১০ এর মধ্যে ইএমআইএস ডাটাবেজ হালনাগাদ করতে বলা হয়েছিল। এই তারিখ আবার বর্ধিত করা হয়েছে।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সারাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ এর আলোকে প্রণীত শিক্ষাক্রম ও পাঠপুস্তকের সাহায্যে শিখন কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের আগে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানরত শিক্ষকদের বিষয় নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার আলোকে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠদানরত শিক্ষকদের বিষয় নির্ধারণ করে শিক্ষকদের ডাটাবেজ হালনাগাদ করার জন্য ইএমআইএস ওয়েবসাইটে একটি মডিউল করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান যাদের ইআইআইএন নম্বর আছে তারা ইএমআইএস ওয়েবসাইটে লগইন করে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বিষয় নির্ধরণ করতে পারবেন।

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার কারগিল সাকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫টি শিক্ষক পদ থাকলেও আছেন মাত্র চারজন। কক্সবাজারের মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জন শিক্ষকের মধ্যে এখন মাত্র চারজন পাঠদান করছেন। ফলে এ দুটি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়াই দুরূহ হয়ে পড়ছে।

রাঙামাটির জুরাইছড়ি উপজেলার ভুবন জয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫টি শিক্ষক পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র সাতজন। একই জেলার রাজস্থলী উপজেলার তাইতংপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ জন শিক্ষকের মধ্যে এখন আছেন চারজন।

রাজধানী ঢাকায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত শিক্ষক পদায়ন দিয়ে রাখলেও মফস্বলের এসব বিদ্যালয় এখন শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে। বরগুনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের মোট পদ ৪৯টি; আছেন মাত্র ২০ জন, ২৯ জনই নেই। বরগুনা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯ জনের মধ্যে আছেন ৩১ জন। পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯টি পদের মধ্যে কর্মরত ৩২ জন। ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯ টি পদের মধ্যে আছেন ২৯ জন।

সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী একজন শিক্ষক একই এলাকায় সর্বোচ্চ তিন বছর থাকতে পারেন। তবে সুবিধাভোগীদের কেউ কেউ রাজধানীতে আছেন ২৬-২৭ বছর পর্যন্ত। ঢাকা শহরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক একই বিদ্যালয়ে কিংবা ঘুরে ফিরে ঢাকার সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে বছরের পর বছর পার করছেন।

ঢাকায় মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ৩৮টি। এগুলোতে বর্তমানে ২১৯ জন শিক্ষক অতিরিক্ত আছেন। শুধু সামাজিক বিজ্ঞানেই অতিরিক্ত আছেন ৯৯ জন। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক পদ ১ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে সহকারী শিক্ষক ৭৯০ জন এবং সিনিয়র শিক্ষক ৭৯০ জন। অতিরিক্ত শিক্ষকের মধ্যে ৮৭ শতাংশই সিনিয়র শিক্ষক। বাকিরা সহকারী শিক্ষক। এটি আর এক ধরনের ক্ষতিকর বাস্তবতা।

সবাই ঢাকায় থাকতে চান, চাওয়াটাই স্বাভাবিক। সবাই ঢাকায় থাকলে অন্যান্য এলাকার শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষার কী হবে? এই অসম অবস্থা তৈরির জন্য সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। কারণ শিক্ষক স্বল্পতা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে আমাদের শিক্ষার্থীদের। যাদের জন্য এই বিশাল ব্যবস্থা, তারাই যদি উপকৃত না হয় বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে রাষ্ট্র পরিচালিত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন কী? কোথাও এক চতুর্থাংশ শিক্ষক কাজ করবেন আবার ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপচে পড়া শিক্ষক! এ কেমন বৈষম্য? শিক্ষক স্বল্পতা ও অতিরিক্ত শিক্ষক, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকা বা তার ধারে কাছেও না যাওয়া বিষয়গুলো শ্রেণিকক্ষের শিক্ষাদানকে নিরুৎসাহিত করে প্রাইভেট কোচিং, কোচিং সেন্টার ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে। কাজেই এ বিষয়ে সমতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে আসা সময়ের দাবি।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও বাউবির সাবেক শিক্ষক।

এসএন 

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় ভারতীয় সেনারা সবসময়ই বিজয়ী। কখনো পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস, কখনো আফগানিস্তানে অভিযান—সবখানেই তারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় জয়ী। তবে বাস্তবতা যে এতটা সহজ নয়, তা কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলায় আবারও স্পষ্ট হলো।

এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৬ জন। অথচ হামলা ঠেকাতে বা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় সেনারা। হামলার জন্য কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। ঘটনাটির রেশে সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, ভারী অস্ত্রসহ মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, মাঝেমধ্যেই হচ্ছে গোলাগুলি।

নেটিজেনরা বলিউড সিনেমার বাহাদুর সেনাদের সঙ্গে বাস্তবের ব্যর্থ ভারতীয় সেনাদের তুলনা করে রীতিমতো ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করছে। সিনেমার মতো বাস্তবে অজয় দেবগান বা অক্ষয় কুমারের মতো নায়কোচিত সেনা যে নেই, তা এখন স্পষ্ট।

কেবল স্থলবাহিনী নয়, বিমানবাহিনীর ব্যর্থতাও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানে হামলা চালাতে গিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনী ভুল করে নিজের দেশের একটি বাড়ির ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার ভিডিও ও প্রতিবেদন সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলার পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় সেনারা যথাসময়ে পদক্ষেপ নেয়নি। হামলার ২০ মিনিট পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তখন হামলাকারীরা নিরাপদে পালিয়ে যায়।

২০১৯ সালের ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানের ঘটনাও আবার আলোচনায় এসেছে। সেবার তার বিমান ভূপাতিত হয় এবং তাকে আটক করে পাকিস্তান পরে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

নেটিজেনরা বলছেন, বলিউডের সিনেমার কল্প-কাহিনীর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। যুদ্ধ লাগলে তা হবে সমান শক্তির লড়াই, সিনেমার মতো একপাক্ষিক নয়। অধিকাংশই আবার যুদ্ধের বিপক্ষে মত দিয়েছেন, মানবিক বিপর্যয়ের ভয় দেখিয়ে শান্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

বলিউডের রঙিন পর্দায় ভারতীয় সেনারা 'অপরাজেয়' হলেও বাস্তবে কাশ্মীর হামলার ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে, বাস্তব যুদ্ধ সিনেমার গল্পের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকি দিলেন দুই সমন্বয়ক (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে