শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অপ্রত্যাশিত অগ্নি দুর্ঘটনা রোধ করতে হবে

দেশে ফের ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটল। গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। নিহত ও আহতদের স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে সীতাকুণ্ডের বাতাস। একইসঙ্গে এমন ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা দেখে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ শোকে বিহবল।

দেশে প্রতিবছরই ঘটছে একের পর এক অনাকাঙ্খিত অগ্নি দুর্ঘটনা। আর এই অগ্নি দুর্ঘটনা কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য প্রাণ। লাখ লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছে। আগুণে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ । অগ্নি দুর্ঘটনা থামবে বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালে মোট অগ্নি দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ২১,৬০১টি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২১৮ কোটি ৩১ লাখ ৯৭ হাজার ৪০৩ টাকা।

প্রতিবেদনে অগ্নি দুর্ঘটনার অনেক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেসবের মধ্যে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বৈদ্যুতিক গোলযোগকে। ওই বছর বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ৭,৯৫৫টি অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা মোট অগ্নি দুর্ঘটনার ৩৬.৮২ শতাংশ। চুলা (বৈদ্যুতিক, গ্যাস এবং মাটির চুলা, ইত্যাদি) অগ্নি দুর্ঘটনার দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ওই বছর মোট ৩,৯২২ টি অগ্নি দুর্ঘটনার কারণ ছিল। শতকরা হিসাবে যা মোট অগ্নি দুর্ঘটনার ১৮.৫৫ শতাংশ।

অগ্নি দুর্ঘটনার তৃতীয় কারণ ছিল বিড়ি-সিগারেটের আগুন। মোট অগ্নি দুর্ঘটনার ৩,১৯৩ বা ১৪.৭৮ শতাংশ ঘটেছে এই কারণে । প্রতিবেদনে অগ্নি দুর্ঘটনার মোট ১৯টি বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এগুলো ছাড়াও অজ্ঞাত হিসাবে মোট ৩ হাজার ২৮২টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২১ সালে, অগ্নি দুর্ঘটনায় ২১৯ জন মারা গিয়েছিল এবং ৫৭৬ জন আহত হয়েছিল। ওই বছরে সবচেয়ে বেশি অগ্নি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে বাড়ি বা আবাসিক ভবনে, যার সংখ্যা ছিল ৫,৮১৮টি। রান্নাঘরে ৩,৫৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পোশাক শিল্প ছাড়া অন্যান্য কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা ছিল ৩৮২টি। প্রতিবেদনে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়েছে।

গত বছর নারায়ণগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। অপর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় গত ৫ বছরে দেশে প্রায় ১ লাখ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৫ বছরে সারাদেশে পুড়ে গেছে অন্তত ১২ হাজার মানুষ। আর অগ্নি দুর্ঘটনায় মারা গেছে দুই হাজারের বেশি মানুষ।

মূলত অসতর্কতা ও অবহেলার কারণে প্রতি বছর অগ্নি দুর্ঘটনায় অগণিত মানুষ ও প্রাণি মারা যাচ্ছে ও সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দাহ্য কেমিক্যালের গোডাউনে অগ্নি দুর্ঘটনা, রান্নাঘরের ত্রুটিপূর্ণ চুলা ও বিড়ি-সিগারেটের ফেলে দেয়া জ্বলন্ত অংশ থেকেই ঘটছে ছোট থেকে বড় ধরনের অগ্নি দুর্ঘটনা ।

যে কোনো অগ্নি দুর্ঘটনার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণসহ তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন সতর্কতামূলক সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এই সুপারিশ খুব কমই বাস্তবায়িত হয়।

২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ১৭ দফা সুপারিশ করেছিল। ওই সুপারিশমালার মধ্যে ছিল জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেওয়া, অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া, রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রির জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া জোরদার করা, ‘অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩’ ও ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক বা বিস্ফোরক দ্রব্যের মজুদ বা বিপণনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন, আবাসিক এলাকায় রাসায়নিক দ্রব্য বা বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ মজুদকরণ বা বিপণন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা, ঘরবাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক তারের গুণগতমান নিশ্চিত করা, রাস্তায় স্থাপিত খোলা তারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা পরিহার করতে প্রতি মাসে অন্তত একবার বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার সরেজমিনে পরীক্ষা করা, দ্রুত অগ্নিনির্বাপণের জন্য স্থানীয়ভাবে পৃথক পানির লাইনসহ হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন করা, দুর্ঘটনা মোকাবেলায় জাতীয় পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন, রাসায়নিক ও রাসায়নিক জাতীয় দাহ্য বস্তুর আলাদা দপ্তরের পরিবর্তে সব দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় সাধন, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অবকাঠামো, জনবল, প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামের আধুনিকায়ন, জনসচেতনতা বাড়ানো, অগ্নিকান্ডের সময় যেন উৎসুক জনতা উদ্ধার কাজে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সেজন্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, পাঠ্যসূচিতে অগ্নিকান্ড, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক করা, ৬২ হাজার কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা, কমিউনিটি সেন্টারগুলো নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো ডেকোরেটরের উপকরণের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখা ইত্যাদি। কিন্তু সেসব সুপারিশের বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে অগ্নিকাণ্ডের মূল কারণ অবহেলা। আর সেই সঙ্গে আছে অজ্ঞতা। তাই প্রত্যেকেরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সচেতন হওয়া উচিত। রান্না করার পরে, চুলার আগুন সম্পূর্ণরূপে নিভিয়ে দিতে হবে। বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত অংশ নিভিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। এ ছাড়া শিল্প ও কারখানায় ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

দরজা-জানালা খুলে দিতে হবে এবং গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে নিয়মিত গ্যাস সংযোগ ও লাইন চেক করতে হবে। একজন অভিজ্ঞ ইলেক্ট্রিশিয়ান দ্বারা নিয়মিতভাবে বিল্ডিংয়ের বৈদ্যুতিক তার এবং ফিটিংগুলি পরীক্ষা করাতে হবে। প্রত্যেক বাড়ী বিশেষ করে বহুতল ভবন, শিল্প ও কলকারখানায় অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণও থাকতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় নিয়মিত অগ্নি দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের মহড়া আয়োজন করতে হবে।

যে কোনো ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ভবন নির্মাণের নিয়ম বা বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি শিল্প, সরকারি ও বেসরকারি ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপক ব্যবস্থা থাকাতে হবে। সেইসঙ্গে এসব পরিচালনার নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে প্রয়োগ করতে হবে। একটি অটো-ফায়ার অ্যালার্মিং সিস্টেম থাকতে হবে যাতে আগুন লাগলে সবাইকে তাৎক্ষণিকভাবে সতর্ক করা যায়। ভবন বা কারখানার প্রতিটি তলায় একটি বহির্গমন চিহ্ন থাকতে হবে যাতে অন্ধকারেও তা দেখা যায়। অগ্নি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে, ফায়ার সার্ভিসের জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল করতে হবে।

অগ্নি দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে সবাইকে জানতে হবে। আমাদের শিখতে হবে কীভাবে এসব দুর্ঘটনা মোকাবেলা করতে হয়। আমাদের সচেতন হতে হবে। আমাদের সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর যারা এগুলো মানবে না তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমাদের এই প্রিয় দেশ ও মানুষের জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। অপ্রত্যাশিত অগ্নি দুর্ঘটনা রোধ করতে হবে।

ড. মতিউর রহমান, গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত