শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

৬ দফা : বাঙালির মুক্তির সনদ

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা একটি ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক সামরিক শক্তির দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন, শোষণ ও নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে জাতিকে একটি আদর্শিক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনের মহান রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৬৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ছয় দফা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ওই বছর ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠায় ৫ ফেব্রুয়ারি ‘ছয় দফা দাবি’ পেশ করেন।

এর চার বছর আগে ১৯৬২ সালের ২৪ জুন যে নয়জন বাঙালি নেতা পাকিস্তানে সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন, তাদের একজন ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ৬ দফা পেশ করার মধ্য দিয়ে তিনি একক নেতা হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান-কেন্দ্রিক তার নিজস্ব রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থানকে প্রতিভাত করেন। অন্য সকল নেতাদের মতো তার রাজনৈতিক লক্ষ্য শুধুমাত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলার মানুষের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতির চূড়ান্ত স্বাধীনতা হয়ে ওঠে তার রাজনীতির একমাত্র অভীষ্ট লক্ষ্য।

৪ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব লাহোরে পৌঁছান এবং তার পরদিন অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ছয় দফা দাবি পেশ করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি পত্র-পত্রিকায় শেখ মুজিবকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসাবে চিত্রিত করা হয়। ফলে তিনি ৬ ফেব্রুয়ারির সম্মেলন বর্জন করেন। ৬ দফার জন্য বঙ্গবন্ধু শুধু সরকার ও সরকারি দলের নেতাদের আক্রোশের শিকার হননি, বিরোধীদলীয় নেতাদের দ্বারাও কঠোরভাবে সমালোচিত হন।

ছয় দফা দাবি ঘোষণা করার পর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ শেখ মুজিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনি এই যে ছয় দফা দিলেন, তার মূল কথাটি কী?’ উত্তরে আঞ্চলিক ভাষায় শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘আরে মিয়া বুঝলা না? দফা তো একটাই। একটু ঘুরাইয়া কইলাম।’ লাহোরে পেশ করা ছয় দফা বঙ্গবন্ধুর একটু ঘুরিয়ে বলা এক দফাই হলো বাঙালির মুক্তির দফা, পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতার দফা।

লাহোর থেকে ঢাকায় ফিরে পরের মাসেই শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা প্রস্তাব এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের কর্মসূচি গৃহীত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিন আহমদের ভূমিকা সংবলিত ছয় দফা কর্মসূচির একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। এর নাম ছিল ‘ছয় দফা: আমাদের বাঁচার দাবি’।

ঢাকায় ফিরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ৬ দফা পেশ করলে, সভায় সেটি গৃহীত হয়নি। এমতাবস্থায় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সৈয়দ মাযহারুল হক বাকী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাককে ডেকে বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে সেটি তাঁদের হাতে তুলে দেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক ছাত্রলীগ ৬ দফাকে সারাদেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রচারণা শুরু করে।

১৮ মার্চ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬-দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রকাশ ও প্রচার করা হয়। ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় লাহোর প্রস্তাবের সঙ্গে মিল রেখে। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য ছিল—পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন থাকবে। ছয় দফা কর্মসূচি জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য শেখ মুজিব ও তার সহকর্মীরা সারাদেশে মহকুমায় মহকুমায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করলেন।

এই ছয় দফাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গণজাগরণের সৃষ্টি হলো। দৈনিক ইত্তেফাক এই দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। এই কর্মসূচিকে তারা ‘বাঙালির বাঁচার দাবি’ হিসেবে অভিহিত করে। তখন শেখ মুজিব যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু কী ছিল সেই ছয় দফায়—

দফা-১: শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি

লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।

দফা-২: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা

কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দু’টি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে— দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। বাকি সব বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।

দফা-৩: মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা

মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দু’টির যেকোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা যেতে পারে—

(ক) সারাদেশের জন্যে দু’টি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে; অথবা

(খ) বর্তমান নিয়মে সারাদেশের জন্যে কেবল একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে যেন পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও পত্তন করতে হবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।

দফা-৪: রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা

ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলোর কর বা শুল্ক নির্ধারণের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ধরনের কর নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর সব ধরনের করের শতকরা একই হারে আদায় করা অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।

দফা-৫: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা

(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে;

(খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারে থাকবে;

(গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোনো হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোই মেটাবে;

(ঘ) অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোনো ধরনের বাধা-নিষেধ থাকবে না;

(ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে বিদেশে নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি পাঠানো এবং নিজ স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।

দফা-৬: আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা

আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে নিজ কর্তৃত্বে আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলকে চাঙ্গা করা এবং দলের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠার জন্যেও শেখ মুজিবের এরকম একটি কর্মসূচির প্রয়োজন ছিল।

১৯৬৬ সালের ২ জুলাই প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বলেন, ‘মানুষের আবেগ প্রবণতা নিয়া খেলা করতে অভ্যস্ত এইরূপ একটি গোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানে গোলযোগ সৃষ্টির প্রচেষ্টা করিয়াছিল। আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দোহাই দিয়া তাহারা এমন একটি কর্মসূচি চালু করতে প্রয়াসী হইয়াছিল, যাহা দেশের বিভিন্ন অংশে কেবলমাত্র ঘৃণা ও বিদ্বেষেরই প্রসার ঘটাইত।’ তাদের কার্যকলাপ সীমা ছাড়িয়েছে বলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত এবং জনগণ ভুল পথে পরিচালিত হওয়া হইতে রক্ষা পাইয়াছে।’

ছয় দফা প্রণয়ন ও উত্থাপনের পেছনে মূল কারণ ছিল মূলত পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক বৈষম্য। তাই ছয় দফা হঠাৎ করেই আসমান থেকে পড়েনি। এর প্রস্তুতি ছিল দীর্ঘদিনের। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব, ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন— এসবই ছয় দফার ভিত তৈরি করেছে। পরবর্তীকালে এই ছয় দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের তথা স্বাধীনতার আন্দোলন জোরদার হয়। বাংলাদেশের জন্য এই আন্দোলন এতোই গুরুত্বপূর্ণ যে এই আন্দোলনকে ‘ম্যাগনা কার্টা’ বা ‘বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ’ও বলা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ভাষায়, ‘ছয় দফা যে পূর্ব বাংলার প্রাণের দাবি— পশ্চিমা উপনিবেশবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল পশ্চিম পাকিস্তানের শোষকশ্রেণি যে আর পূর্ব বাংলার নির্যাতিত গরীব জনসাধারণকে শোষণ বেশি দিন করতে পারবে না, সে কথা আমি এবার জেলে এসেই বুঝতে পেরেছি। বিশেষ করে ৭ই জুনের যে প্রতিবাদে বাংলার গ্রামে গঞ্জে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফেটে পড়েছে, কোনো শাসকের চক্ষু রাঙানি তাদের দমাতে পারবে না। পাকিস্তানের মঙ্গলের জন্য শাসকশ্রেণির ছয় দফা মেনে নিয়ে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করা উচিত। যে রক্ত আজ আমার দেশের ভাইদের বুক থেকে বেরিয়ে ঢাকার পিচ ঢালা কালো রাস্তা লাল করল, সে রক্ত বৃথা যেতে পারে না।’ (কারাগারের রোজনামচা, ২রা জুলাই, ১৯৬৬)

১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। শেখ মুজিবসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এই দিন আওয়ামী লীগ সমগ্র পূর্ব-পাকিস্তানে হরতাল ডাকে। হরতালে টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হক, মুজিবুল হকসহ মোট ১১ জন বাঙালি শহিদ হন। ৬ দফা আন্দোলনের প্রথম শহিদ ছিলেন সিলেটের মনু মিয়া।

শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফাই যে সাড়ে পাঁচ কোটি বাঙালির মনের কথা ছিল, তার চাক্ষুষ প্রমাণ হলো ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচন। আওয়ামী লীগে জাতীয় পরিষদে ১৬০টি সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত নারী আসন সাতটি—মোট ১৬৭টি আসন এবং প্রাদেশিক নির্বাচনে ২৮৮টি সাধারণ আসন ও ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ মোট ২৯৮টি আসন নিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।

ছয় দফা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেখ মুজিব সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হককে বলেছিলেন, ‘আমার দফা আসলে তিনটা। কতো নেছো (নিয়েছ), কতো দেবা (দিবে), কবে যাবা?’

১৯৭০ সালে পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের রিপোর্ট মতে, উন্নয়ন ও রাজস্ব খাতে পূর্ব পাকিস্তানের তুলনায় পশ্চিম পাকিস্তানে ৬০ শতাংশ বেশি ব্যয় করা হয়েছে। ফলে পশ্চিমের মাথাপিছু আয়ও বহুগুণ বেড়েছে। তার সঙ্গে রাজনৈতিক বৈষম্য তো ছিলই। প্রশাসনে বাঙালিদের নিয়োগ দেওয়া হতো না। নেওয়া হতো না সেনাবাহিনীতেও। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক বৈষম্যও মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ১৭ দিনের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ছয় দফার আশু পটভূমি তৈরি হয়েছিল। এই যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান সামরিক দিক থেকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত ছিল। সে কারণে এই অঞ্চলের রাজনীতিবিদ ও লোকজনের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘এই যুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের বিষয়টি নতুন গুরুত্ব পেয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।‘

পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ভারত পূর্ব পাকিস্তানে আক্রমণ না করায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘চীনের ভয়ে ভারত পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধে জড়াতে সাহস করেনি।’ জবাবে শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানকে যুদ্ধকালীন এতিমের মতো ফেলে রাখা হয়েছে। ভারতীয় সৈন্যরা যদি দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত লেফট রাইট করে হেঁটে যেত, তবুও তাদেরকে বাধা দেওয়ার মতো অস্ত্র বা লোকবল কিছুই পূর্ব বাংলার ছিল না। আর চীনই যদি আমাদের রক্ষাকর্তা হয়, তবে পশ্চিম পাকিস্তানের বদলে চীনের সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধলেই হয়।’

এর পর থেকেই শেখ মুজিবকে বারবার গ্রেফতার করে কারাগারে আটক রাখা হয় এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। তখনই শোনা গেল ‘জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব’—এই স্লোগান।

ছয় দফা আন্দোলনের শুরু থেকেই রাজনীতিবিদদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও যুক্ত ছিল। নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে কারখানার শ্রমিকরাও এর সঙ্গে শরিক হলো। কিন্তু এর আগে বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে মূলত শিক্ষার্থীরাই ভূমিকা পালন করেছিল। পরে ঊনসত্তর সালের গণঅভ্যুত্থানে কৃষকরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। কারণ শেখ মুজিব সারাদেশের মানুষকে এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন, পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের সম্পদ লুটে নিচ্ছে এবং বাঙালিদের পদে পদে বঞ্চিত করছে। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বঙ্গবন্ধুকে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এরপর সত্তরের নির্বাচনের গণম্যান্ডেট ছিল তাঁর একক ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতৃত্বের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি। বস্তুত ৬ দফার পর থেকেই তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে উঠতে শুরু করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয় এবং এরপর থেকেই তিনি হয়ে উঠলেন পরাধীন শোষিত বাঙালির মুখপাত্র।

১৯৬৬ থেকে ১৯৭০—এই চার বছরে তিনি এই ভূ-খণ্ডের অপরাপর সকল নেতাকে ছাড়িয়ে গেলেন। ছয় দফাভিত্তিক শেখ মুজিব হয়ে উঠলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রধান পুরুষ ও প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের দূরদর্শীতা, গভীর দেশপ্রেম ও বাংলার মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তাঁকে বাংলার আপামর মানুষের হৃদয়ে হিমালয়সম উচ্চতায় আসীন করেছে।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও মহান স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার চূড়ান্ত পরিণতি। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সুপরিকল্পিত ও ধারাবাহিক রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুসরণ করেই একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর জাতি তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য খুঁজে পায়। ছয় দফা ঘোষণার পাঁচ বছরের মধ্যে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে জন্ম নিল বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই রাষ্ট্রের মহান স্থপতি।

আজ তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। পিতার রাজনৈতিক দর্শনকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে শেখ হাসিনার আত্মনিবেদন ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে অচিরেই পৌঁছে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্থির লক্ষ্যে। যে লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বপ্ন নিয়ে এদেশের অগণিত রাজনৈতিক কর্মী মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সুদীর্ঘ সংগ্রামের কণ্টকাকীর্ণ বন্ধুর পথে আত্মাহুতি দিয়েছেন।

 

লেখক : সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

Header Ad
Header Ad

সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ মোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিট অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩টি পিস্তল, একটি রিভলবার, ২টি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আইএসপিআর জানায়, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর সাধারণ জনগণকে যে কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর উপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের একমাত্র দীর্ঘতম নবনির্মিত ‘যমুনা রেল সেতু’ ১৮ মার্চ উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ।

যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত H.E. MR. SAIDA SHINICHI Ges MR. ITO TERUYUKI, DIRECTOR GENERAL SOUTH ASIA DEPARTMENT, JICA প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখবেন- মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে (সভাপতি) মো: আফজাল হোসেন।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান ঢাকা প্রকাশকে এ বিষয়টি জানান।

মাসউদুর রহমান বলেন- আগামী ১৮ মার্চ সকাল ১০টায় টাঙ্গাইলের যমুনা রেল সেতুর পূর্ব প্রান্ত ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে নবনির্মিত যমুনা রেল সেতুর শুভ উদ্বোধনের আয়োজন করা হবে।

এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে যমুনা রেল সেতু পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তে সয়দাবাদ রেল স্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু পারাপার হবে এবং ১১ টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেল স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন। পরে বেলা ১২ টায় ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফেরত আসবে।

তিনি আরও বলেন- উদ্ধোধনের একদিন পর অর্থাৎ ১৯ মার্চ থেকে বাড়তি ভাড়া (রেলের ভাষায় পন্টেজ চার্জ) গুণতে হবে যাত্রীদের।  যা উদ্বোধনের একদিন পর ১৯ মার্চ থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সাথে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২ বছর বাড়ানো হলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতো। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেল সেতু দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের সেতু। এটি ৫০টি পিলারের ওপর ৪৯টি স্প্যানে নির্মিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি তিন হাজার ডলারে পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) স্বর্ণের দাম ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে এই রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছায়। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১৩ বার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি ও ইউরোপের ওপর নতুন শুল্ক হুমকির কারণে বিশ্ববাজারে এই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অন্যান্য অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।

বৈশ্বিক বাণিজ্যে এই অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত হুইস্কির ওপর ইউরোপের শুল্কের প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, যদি ইউরোপের শুল্ক অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা সব ধরনের ওয়াইন, শ্যাম্পেনসহ অ্যালকোহলযুক্ত পণ্যের ওপর দুইশ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

এর আগে ট্রাম্প সব ধরনের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। এর জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে বলে বুধবার (১২ মার্চ) জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ গ্রেফতার
‘যমুনা রেল সেতু’ উদ্বোধন  ১৮ মার্চ, প্রধান অতিথি রেলপথ সচিব
বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ডলার
আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব
আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপালি গ্রেফতার
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে আধা ঘণ্টায় ২০ লাখ হিট
দুই বছরের কন্যাকে হারালেন আফগান ক্রিকেটার হজরতউল্লাহ জাজাই
রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব
কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ
সুন্দরবনের গহীন থেকে বৃদ্ধা নারী উদ্ধার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো সাত লাশ উদ্ধার
জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
গালি দেয়া সেই উপস্থাপিকার চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান হাসনাতের
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
৬০তম জন্মদিনে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন আমির খান
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস
আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ভয়াবহ আগুন, ডানা দিয়ে নামলেন যাত্রীরা
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে ৯ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানি মালামাল জব্দ