বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাজেটের মূল লক্ষ্যই হবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার

আমাদের মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগামীতার কারণে বাজেটে এমন কিছু পলিসি নেওয়া যাবেনা অথবা এমন কিছু করা যাবে না, যাতে করে এটি আরও বাড়ে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি যথেষ্ট বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন দ্রব্যের ঊর্ধ্বমূল্য থাকায় আমাদের এখানেও দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যের উপরে একটি চাপ আছে। কাজেই একটি বাজেটে আমরা যে ইমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন নিয়ে কথা বলছি, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে আমাদের যেন বিষয়গুলি খেয়াল রাখা হয়। একটি লাগামের মধ্যে যেন আমরা ধরে রাখতে পারি, সেই প্রচেস্টা আমাদের থাকতে হবে । যেহেতু এটি অনেকাংশেই আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল সেজন্য জরুরি অবস্থা অথবা মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে যাতে দরিদ্র মানুষের কস্ট না হয়, সেজন্য বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে। সেখানে যাতে ভর্তুকি পণ্যসামগ্রী দেওয়া যায়। তাছাড়া কৃষিক্ষেত্রেও এ বছর ভর্তুকি দরকার হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যেহেতু সারের দাম বেড়ে যাচ্ছে, ফলে, সেক্ষেত্রে যদি ভর্তুকি দেওয়া না হয়, সেক্ষেত্রে খাবারের দাম বিশেষ করে কৃষিতে মূল্য ধরে রাখার জন্য কৃষিতে আরও ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। সুতরাং বাজেট বরাদ্দে কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিবছরই তো কৃষিতে ভর্তুকি থাকে। কিন্তু এ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দামের বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষি ভর্তুকির জন্য ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্যই হবে কোভিড রিকভারি অর্থনীতির বিষয়টি খেয়াল রাখা। সেই সাথে বর্তমান সময়কার ভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষাপটে যে চ্যালেঞ্জগুলি আছে , যেমন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সেইসাথে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে একটু চাপ আছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেখেছি, যেহেতু বাণিজ্যের ভারসাম্য যেটি অর্থাৎ আয় যতটা হচ্ছে, রপ্তানি যতটা হচ্ছে আমদানি তার চেয়ে অনেক বেশি। সেগুলিকে মাথায় রেখেই বাজেটের পদক্ষেপগুলি নিতে হবে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, আয় যদি না হয়, ব্যয়ের বিষয়টিই কিভাবে হবে? এখন পর্যন্ত অনেক ঘাটতি আছে। অনেক বছর আমরা রেভিনিউ টার্গেট পুরণ করতে পারি নাই। এবছরও সরকার একটি রেভিনিও টার্গেট দিচ্ছে, সেই জায়গাতে এই রেভিনিও অর্জন করা সম্ভব তা নয়। যে সুশৃঙ্খল অবস্থা দরকার, প্রযুক্তির ব্যবহার করা দরকার কর আদায়ের ক্ষেত্রে, ভ্যাট ট্যাক্স আদায়ে, সেটিরও কিন্তু গতি খুব ধীর। বাজেটের সাথে যদি আমরা আমাদের পলিসির পরিবর্তন করতে না পারি, আমাদের অবকাঠামোগত পরিবর্তন না করতে পারি, তাহলে কিন্তু ব্যয়ের জায়গায় টাকা না থাকলে যতকিছুই চিন্তা করি, আমাদের কিন্তু ঋণ নির্ভর হতে হবে। আমার আয় যদি বেশি হয়, তাহলেতো আমাকে ঋণ নির্ভর হতে হয় না।ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রার যে চাপ সেটিও থাকে না। কাজেই শুধু বাজেটের বিষয়ে না, আয়ের জায়গাটিতে পলিসিগত অবকাঠামোর পরিবর্তন খুবই জরুরি।

আমাদের উন্নয়ন বাজেট নিয়ে যেটি হয়, বছর শেষে উন্নয়ন বাজেটের যে বাস্তবায়ন, সেটি যদি গুণগত মান বজায় রাখে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আরেকটি বিষয় হল, আমাদের পদ্মা সেতু প্রকল্পটি ছাড়া যেকোন প্রকল্প যেহেতু ঋণ নিয়ে করা, সেক্ষেত্রে এগুলি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাজেটের সাথে সাথে সময়ের ব্যাপারটিও খেয়াল রাখতে হবে অর্থাৎ মনিটরিং করতে হবে। কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটি তদারকির জন্য বাজেটে সুস্পস্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কিন্তু ঋণগুলি ম্যাচিউরড হবে। ততদিনে প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে আমরা ফেরত দিব কিভাবে? প্রকল্পগুলিতো আয় হওয়ার জন্যেই। প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়ে সেটি থেকে আয় হবে, অর্থনীতির বাস্তবায়নে কাজে লাগবে। তাহলেই কেবল ঋণ ফেরত দিতে সমস্যা হবে না। কাজেই মেগা প্রকল্পগুলি সময়মতো বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং এবং সেগুলি যেগুলি ধীরগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেগুলির জন্য সুস্পস্ট দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। আমরা বাজেটে যেমন সম্প্রসারণ চাই, তেমনি ঋণের বোঝা বাড়াতে চাইনা। কাজেই সেক্ষেত্রে আমাদের নিশ্চয়ই আয়ের সংস্থান করতে হবে।

 

লেখক: বিআইডিএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ

 

Header Ad
Header Ad

ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলমকে দুদকের মহাপরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ

ড. এস এম জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলমকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (চুক্তিভিত্তিক) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি পূর্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলমকে আগামী তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক মহাপরিচালক হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে পদায়ন করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

 

ছবি: সংগৃহীত

এ আদেশ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শবনম জামিলা, উপসচিব, কর্তৃক জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

Header Ad
Header Ad

মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি

ছবি: সংগৃহীত

লিওনেল মেসির জোড়া গোলের ম্যাজিকে আরও একবার উদ্ধার পেল ইন্টার মায়ামি। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে শুরুতে এক গোল পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্লাব।

প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া মায়ামি দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের নবম মিনিটেই গোল হজম করে বসে মায়ামি। এলএএফসির ডিফেন্ডার অ্যারন লংয়ের গোলে অ্যাগ্রিগেট স্কোরে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে তারা। তখন মনে হচ্ছিল, সেমিফাইনালে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাবে মেসিদের জন্য।

তবে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে দলের হয়ে সমতা ফেরান আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেয় ইন্টার মায়ামি। ৬১তম মিনিটে অ্যালেনের পাস থেকে রেদোনদো গোল করে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় ফেরান। যদিও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে তখনও এগিয়ে ছিল এলএএফসি।

৬৭ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে ৮৪তম মিনিটে পেনাল্টি পায় মায়ামি এবং সেখান থেকে মেসি গোল করে দলকে এগিয়ে দেন।

ম্যাচের শেষ দিকে গোলরক্ষক অস্কার দুটি দুর্দান্ত সেভ করে জয় নিশ্চিত করেন। ফলে ৩-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় মায়ামি।

এখন সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামির প্রতিপক্ষ হতে পারে মেক্সিকান ক্লাব পুমাস অথবা এমএলএসের কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস।

Header Ad
Header Ad

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স

ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। বুধবার (৯ এপ্রিল) ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স-৫ টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

ম্যাঁক্রো বলেন, “আমাদের অবশ্যই (ফিলিস্তিনকে) স্বীকৃতির দিকে যেতে হবে এবং এটি আমরা কয়েক মাসের মধ্যেই করব।” তিনি আরও জানান, আগামী জুনে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের একটি কনফারেন্সে ফ্রান্স এই স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিতে চায়। কনফারেন্সে সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ফ্রান্সের।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমি কাউকে খুশি করার জন্য এটি করছি না। আমি এটি করব, কারণ আমি মনে করি এক সময় এটি সঠিক হবে। আমি এমন একটি যৌথ গতিশীলতার অংশ হতে চাই, যেখানে যারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেন, তারা এর বিপরীতে ইসরায়েলকেও স্বীকৃতি দেবেন, যদিও এখনো অনেকেই তা করেন না।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফ্রান্স যদি সত্যিই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে এটি দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হবে। উল্লেখ্য, ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে দুটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে গঠনের পক্ষে অবস্থান জানিয়ে এলেও এতদিন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।

ফ্রান্সের এই সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা নতুন মোড় নিতে পারে বলেও মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলমকে দুদকের মহাপরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
মেসির জোড়া গোলে সেমিফাইনালে ইন্টার মায়ামি
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে আজ বিএনপির র‌্যালি, রাজধানীতে ব্যাপক প্রস্তুতি
ইয়েমেন থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক মিসাইল সৌদি আরবে পড়েছে, লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল
সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২০৯ জন উদ্ধার, আটক ১২ পাচারকারী
পাল্টা শুল্ক স্থগিত করায় ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার ধন্যবাদ, ৯০ দিনের জন্য শুল্ক থাকছে ১০ শতাংশ
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩৮, নিখোঁজ ৩৪
শুল্ক আরোপের পর বিশ্বনেতারা আমার পশ্চাদ্দেশে চুমু খাচ্ছেন: ট্রাম্প
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গণধোলাইয়ে দুই চাঁদাবাজ নিহত
সাবেক মেয়র তাপসের সন্ধান দিলেন ডিবি হারুন
টাঙ্গাইলে ঘর ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধদের নামাজ আদায়
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পেলেন ড. খলিলুর রহমান
ভারতে ৫ বছর সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৬ নারী
বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
২১ এপ্রিল কাতার সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
১৬২ জনকে নিয়োগ দেবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর
বিমানে সহযাত্রীর শরীরে মূত্রত্যাগ করলেন ভারতীয় মাতাল যাত্রী!
এ বছর ৩৬ টাকায় ধান ও ৪৯ টাকায় চাল কিনবে সরকার
আওয়ামী লীগের বিচার এবং নিবন্ধন বাতিলে একমত হেফাজত ও এনসিপি