শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ: সতর্কতা ও পরামর্শ

উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিভিন্ন সময়ে গণমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াই দূর্বলতা থাকলে ভঙ্গুর অর্থনীতি আমাদের সামনে চলে আসবে। এটা মাথায় রেখে কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখনি প্রয়োজন।

ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা চেয়ে বলেছেন: এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও জ্বালানির ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এডিবির সহায়তা কামনা করেন। এদেশের গ্রামীণ ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে এডিবির সহায়তা রয়েছে। বাংলাদেশ কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে। সরকার এখন দেশের গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে সুন্দর উন্নত জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে জমিসহ বাড়ি দিচ্ছে। এদিকে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫ হাজার ৮২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। বৃহত্তর যশোরবাসীর শিক্ষা ও প্রায়োগিক গবেষণার উন্নয়নে সরকার ‘শেখ জহুরুল হক পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, যশোর’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নি:সন্দেহে এটি সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রকল্পটি যথাযথ ভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আধুনিক গবেষণা ও কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে বলে আশা করা যায়।

সরকারকে শুধু আয় বাড়ানোর দিকে নয়, ব্যয় নির্ধারণের বিষয়ে সম্পূর্ণ সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে, না হলে শ্রীলংকা, পাকিস্তানের মতো বিপদ আমাদের ঘাড়ে এসে পড়বে। প্রকল্প অর্থায়নের নামে বড় বড় প্রকল্পগুলোর দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রকল্পের সময় ও আকার বাড়ানোর ক্ষেত্রে ব্যয় নির্ধারণ যেন বেশি না হয়ে যায়। সম্পদের সুষম বন্টন এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা না থাকলে জাতীয় উন্নয়ন সঠিক ভাবে হবে না। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৪৩২ ডলার বা ৩৭ হাজার ৫৮৪ টাকা। যা আমাদের অর্থনীতির উপর বাড়তি চাপ ফেলবে। একারণে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে।

বাংলাদেশের বাজেট প্রণয়ন করতে হলে নিজের সক্ষমতার ভিত্তিতে শতভাগ সিদ্ধান্ত যেন হয়। আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন- যা হবে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম এবং বর্তমান সরকারের টানা ১৪তম বাজেট। মহামারী পরবর্তী অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হচ্ছে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট। এতে প্রাথমিকভাবে ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রাক্কলন ধরা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের পৌনে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট যার ৬৪ শতাংশ অর্থই থাকবে পরিচালন ব্যয় বাবদ। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ১২ শতাংশ বাড়িয়ে এনবিআর-কে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে ঘাটতি থেকে যাবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।

প্রতিবারের মতো এবারও আসন্ন বাজেটে প্রাধান্য পেতে পারে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা খাত। আগামী বাজেটে দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বাড়ানো হবে। বিশেষ করে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা দিতে দেশের আরও ১০০ উপজেলায় নাম চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই ভাতা কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য আরেকটি সুসংবাদ এবং আমাদের অগ্রযাত্রায় অংশীদার হবার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন ব্যবসায়ীরা। করোনা মহামারী থেকে অর্থনীতি পুণরুদ্ধার এবং বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। এদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট তৈরি করেছে। খাবারের দাম ইতিমধ্যে আকাশচুম্বী হয়েছে্। যুদ্ধের তাপে টানাপোড়নে বিশ্বঅর্থনীতি তার প্রভাবে অস্থির দেশের পণ্য বাজার। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে পুরোপুরি গতি ফিরে আসেনি দেশের পণ্য বাজারে। এরমধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। বিশ্বব্যাপী চরম সংকট মাথায় নিয়ে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির দিকে নজর সরকারের। রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য ও জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা এবং দেশের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে মন্দার পূর্বাভাস সত্বেও আসছে অর্থবছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হওয়ায় আশঙ্কা তো রয়েছেই, সেই সাথে বিশ্ববাজারে তেল ও খাদ্য পণ্যসহ পণ্যবাজার অস্থির হবার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে উন্নয়ন ব্যয়সহ সরকারের সার্বিক ব্যয় বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। যুদ্ধ এবং করোনা দীর্ঘায়িত হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি-বাণিজ্য ও শ্রমবাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। অর্থনৈতিক পুর্নরুদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে সংকট কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জনবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ এবং দূরদর্শী নীতির ফল হিসেবে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অর্জন ঈষণীয়। ডিজিটাল নবজাগরণ ইতিমধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই নবজাগরণে গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারী শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সামাজিক সংগঠন, প্রক্রিয়ার অভূতপূর্ব নারীর ক্ষমতায়ন চোখে পড়ার মতো। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং পল্লি উন্নয়ন সংস্থাগুলো পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। হাজারো প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করতে পেরেছে বাংলাদেশ- এটা গর্বের সাথে বলতে হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তিনি দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলনের জন্য সবাইকে একই পতাকাতলে ডাক দিয়েছিলেন। দুনীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, কালোবাজারি, অর্থপাচার এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে জাতির পিতা সব সময় সোচ্চার ছিলেন।

বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার প্রকোপে বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন নাজুক হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ তখন উপযুক্ত প্রণোদনা প্যাকেজ ও নীতি সহায়তার মাধ্যমে মন্দা মোকাবেলায় সক্ষমই শুধু হয়নি, জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ শতাংশ বেশি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। নগর ও গ্রামাগুলোর জীবনযাত্রায় মানের বৈষম্য হ্রাস করণের জন্য সরকার সুদূরপ্রসারী চিন্তার রূপরেখা একেছেন এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকীকরণের ব্যবস্থা, কুটিরশিল্প অন্যান্য শিল্পের বিকাশ, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষের আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মাধ্যমে এদেশে একটি টেকসই আর্থ-সামাজিক এককে পরিণত হতে পারে। বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। যা আজকের টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ লক্ষ্যমাত্রায় ঠাঁই পেয়েছে।

উন্নয়ন যেখানে হবে প্রতিবন্ধকতাও হানা দিবে পাশাপাশি। সুতরাং উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতাকে কিভাবে দূর করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক শৃংখলা বজায় রাখা যায় সে বিষয়ে বিশেষভাবে পরামর্শ গ্রহণ জরুরি। উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে বাংলাদেশ। সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় হোক আমাদের অঙ্গীকার।

 

লেখক: সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ; লেখক ও গবেষক

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত