শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাইক: অ্যাপে না খ্যাপে ?

কি বলে ডাকবেন তাদের? ‘এই বাইক যাইবা?’ রিকশাওলাকে এইভাবে ডাকি আমরা। সিএনজিচালকসহ অটোরিকশাকে ডাকি শুধু ‘সিএনজি’ বলে। কিন্তু যারা মোটরসাইকেল চালান তাদের বিশেষায়িত করার কোনো তকমা তৈরি হয়নি। বেশ অসুবিধাই হয়েছে।

মোড়ে মোড়ে ঝাঁক ধরে মোটর সাইকেল দাঁড়িয়ে থাকে। বেশ সুদর্শন আধুনিক তরুণরা মোটার সাইকেলের ওপর বসে থাকেন। তারা সবাই ভাড়ায় গাড়ি চালান। তার কোনো প্রতীকী রকমফের নেই। অগত্যা বলতে হবে, ভাই যাবেন নাকি? চেহারা দেখে মনে হয় না তারা ভাড়ায় গাড়ি চালান। সংশয় মনে নিয়ে এই প্রস্তাব জানাতে হয়। এ বড় অসুবিধার কথা।

ঢাকা শহরের রাস্তাগুলো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে মোটর সাইকেলে। প্রতিটি চালু সড়কের বামপাশের বিশাল জায়গা ওদের জন্য ছেড়ে দিতে হয়। কোথাও যানজট পড়লে সেখানে মুহূর্তে সগৌরব সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে মোটর সাইকেল। এই মোটর সাইকেলের প্রায় পুরোভাগই ভাড়ায় যাত্রী টানছে।

অগণিত মানুষ জীবন জীবিকার জন্য বাণিজ্যিক মোটর সাইকেল চালক হয়ে উঠেছেন। এখন আর উবার, পাঠাও, ওভাই জাতীয় কোনো কোম্পানির নিবন্ধন লাগে না। মোবাইল অ্যাপ, জিপিএস, যাত্রীসেবা, পেশাদারিত্ব, সুমিষ্ট ব্যবহার লাগে না। ধরা যাক আপনি মোটরসাইকেল নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন, কোনো এক জায়গা থেকে কেউ আপনাকে ভাড়া করলো। আপনি অনায়াসে তাকে নিয়ে নামিয়ে দিলেন। তিনি ভাড়া চুকিয়ে দিলেন। এই সহজ ব্যাপারটা অসাধারণ সুবিধা এনে দিয়েছে। কিন্তু এই সুবিধার সঙ্গে নিরাপত্তা, চালকের পেশাদারিত্ব, নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতির সংস্রব নেই।

করোনাকালের আগে ঢাকায় অ্যাপনির্ভর মোটর বাইকের এক সুশৃংখল যোগাযোগ সেবা বলয় গড়ে ওঠে। গাড়ির পাশাপাশি অনেকেই মোটর বাইকে নিশ্চিন্তে চলাচল করছিলেন। মোটর বাইকে বসে চালক যাত্রীর সঙ্গে সুমিষ্ট আচরণ করতেন। তার সার্ভিস ও আচরণের সঙ্গে একটি নাম্বার ও পুরস্কার যুক্ত ছিল। তার যেকোনো বাজে আচরণের জন্য অভিযোগ জানানোর সুযোগ ছিল। চালক ও যাত্রী দুজনেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর জিপিএস পর্যবেক্ষণের আওতায় চলে যেতেন। বহু স্বপ্নবাজ তরুণ এই ব্যবস্থায় নিজে বেশ ক্ষমতায়িত হয়েছিলেন। তারা নিজেদের কেনা মোটর বাইকটির যথাযথ লাইসেন্স কাগজপত্র ও নিজের সঠিক চালক সনদ নিয়ে তবেই উবার, পাঠাও বা অন্য যো কোনো কাম্পানীর তালিকাভূক্ত হতে পারতেন। নিজের কাজের ফাঁকে নিজের মোবাইলের অ্যাপ অন করে রাইডার হিসেবে কাজ শুরু করতেন।

করোনাকালে মানুষের চলাচল একেবারে সীমিত হয়ে পড়ায় ওদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। উপার্জন থেমে যায়। অনেক উবার, পাঠাও চালক এই কাজ বন্ধ করে অন্যদিকে সরে যান। অনেকে গ্রামে ফিরে যান। ঠিক এই সময় থেকেই শুরু হয় ছন্দপতন। করোনা শিথিল হওয়ার পর অসংখ্য মোটর বাইক রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। বেকার তরুণ, স্বল্পায়ী কর্মজীবীরা নিজের মোটর সাইকেলটিকে উপার্জনের হাতিয়ার ভেবে পথে বেরিয়ে পড়েন। যেকোনো মোড়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ডেকে বহন করতে শুরু করেন। তাদের কোনো নিয়মনীতির বালাই নেই, কাগজপত্রের হিসেব নেই, চালক সনদ আছে কি নেই, তারও খোঁজ খবরের ব্যাপার নেই। এখনও উবার পাঠাও নেই তা বলা যাবে না। তাদের দেখাদেখি যেসব ছোট ছোট অ্যাপ রাইডার কোম্পানি তৈরি হয়েছিল সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। উবার পাঠাও গাড়িতে তাদের অ্যাপভিত্তিক কিছু ভাড়া পেলেও মোটর বাইকে যাত্রীসেবা ও উপার্জনের হিসেবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বলা যেতে পারে তাদের সুপরিকল্পিত আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমাণের সার্ভিস কার্যক্রমে লালবাতি জ্বলছে।

তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বাণিজ্য ঠিকই সম্প্রসারিত রয়েছে। রাস্তায় মোটর বাইকের কোনো অভাব নেই। রাস্তায় এখন রিকশা ও সিএনজির চেয়ে অনেক বেশি মোটর বাইক। রাস্তায় মোটর বাইকের ভীড়। অনেক দামী মোটর বাইকে শিক্ষিত সুদর্শন তরুণরা ভাড়া খাটছেন।স্বাধীন উপার্জন ব্যবস্থাটি তারা উপভোগ করছেন। কিন্তু ব্যবস্থাটি শৃংখলা হারিয়েছে।

রাস্তায় চেনার উপায় নেই কোন গাড়িটি ভাড়া খাটছে, আর কোনটি খাটছে না। এর জন্য কোনো কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি ও উদ্যোগ নেই। অন্তত. ভাড়া গাড়ির জন্য নির্দিষ্ট রঙের হেলমেট ব্যবহার করার নির্দেশ থাকতে পারে। যদিও এখন প্রকাশ্য গোপনে ভাড়া খাটা গাড়িগুলো ধরার কোনো কায়দা নেই। তারা যদি ভাড়া যাত্রীর কথা মুখে স্বীকার না করেন তাহলে তা প্রমাণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এই অনিয়মটি চালু থাকলেই বরং চালকদের জন্য সুবিধা।

অনিয়মটি দূর করতে দমন পীড়নের চেয়ে একটি সহজ রোজগারবান্ধব একটি ব্যবস্থা থাকা দরকার। যা যে কোনো বাইক রাইডারকে উৎসাহিত করতে পারে।

কাগজপত্রের বৈধতা নেই এমন বাইক রাস্তা থেকে সরাতে হবে। আর অবশ্যই ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসন অথবা রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটিকে দায়িত্ব নিয়ে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে হবে, যে অ্যাপটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকবে না। থাকবে বাইক চালক ও যাত্রীর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। যে কোনো মোটর বাইকে যে কেউ উঠবে। কবে ওঠার সময় দুজন পরস্পরের মোবাইলের অ্যাপ থেকে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করবে। তাতেই দুজনের ঠিকানা বিনিময় হয়ে যাবে। একইভাবে প্রশাসনের কাছেও দুজনের তথ্য সংরক্ষিত হয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে দুজনই পরস্পরের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে।

এখন রাস্তায় বিপুল সংখ্যক বাইক চলছে একেবারেই মোবাইল অ্যাপ ছাড়া। তার মানে যো কোনো সময় যে কেউ বড় সংকটে পড়ে যেতে পারে। চলছে চলুক বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া মোটেই শুভকর হতে পারে না।

 

লেখক: সাংবাদিক

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ