শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইসলাম ও আনন্দ-বিনোদন

জীবনের উদ্দেশ্য শান্তি। শান্তির জন্য ধর্ম, কর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র প্রভৃতি। শান্তি আসে আনন্দ থেকে। আনন্দ আসে বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, বিনোদন থেকে। হতে পারে সেটা ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক। কিন্তু আনন্দ উৎসবকে এক শ্রেণির আলেম, মোল্লা, মৌলভিরা ইসলাম বিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে ইসলাম ধর্মকে নিরামিষ ধর্মে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন। ইসলামে গান করা যাবে না, নাচ করা যাবে না, বাজনা বাজানো যাবে না, খেলা করা যাবে না, মেলা করা যাবে না, নৌকা বাইচ চলবে না, যাত্রা, নাটক, সিনেমা, সার্কাস চলবে না। এগুলো ওহাবি চেতনার ফসল। এমনকি ওহাবিদের মতে, মিলাদ, শিরনি, পীর-মুর্শিদ এবং তাদের মাজার সব বেদাত, চলবে না। তারা হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মাজারও ভেঙে ফেলেছিল। ওহাবি অনুসারীরা খুবই রক্ষণশীল। ওহাবি আধিপত্যের পূর্ব পর্যন্ত ইসলাম ছিল আমিষে ভরপুর। গান-বাজনা, খেলাধুলা, মেলা, আনন্দ-বিনোদন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইসলাম ছিল ভরপুর, সতেজ, প্রাণচঞ্চল। উমাইয়া, আব্বাসীয়, ফাতেমীয়, অটোমান, সালতানাত, মুঘল প্রভৃতি আমলের রাজা, বাদশাহ, খলিফা, স্থানীয় শাসকরা, সমাজপতিরা ছিলেন আনন্দ-বিনোদন অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক। এক মাস রোজা রাখার পর আসে ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ। আনন্দের দিনে মানুষ আনন্দ করবে, নাচ-গান করবে, খেলাধুলা করবে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, ক্রীড়া-কৌতুক করবে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু একদল ফতোয়া দিয়ে বেড়ায় এগুলো ঠিক নয়, ইসলাম সম্মত নয়, বেদাত ইত্যাদি। আগে বিয়ে বাড়িতে, খৎনা বাড়িতে গীত-বাজনা, নাচ হতো, তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইসলাম বিরোধী প্রচারণার কারণে।

দেখা যাক, আল্লাহ ও রাসুল (স.) এ ব্যাপারে কী বলেছেন। আল্লাহ পাক গান-বাজনা, ক্রীড়া-কৌতুক, আনন্দ-বিনোদনকে নিষিদ্ধ করেননি। তিনি পবিত্র কোরআন মদ, জুয়া, সুদ, ঘুষ, শুকর মাংস, ব্যভিচারকে হারাম করেছেন। যদি তিনি গান-বাজনাকে অপছন্দ করতেন, তাহলে অবশ্যই কোরআনে তা সুস্পষ্ট উল্লেখ থাকত। আল্লাহ যেখানে সংগীতকে নিষিদ্ধ করেননি, সেখানে একজন মোল্লাহ-মৌলভি কি তা নিষিদ্ধ করার অধিকার রাখেন? এবার দেখা যাক এ ব্যাপারে রাসুল (স.) কী বলেছেন?

হযরত মুহাম্মদ (স.) নিজেও সংগীত, ক্রীড়া কৌতুক বা আনন্দ বিনোদনমুখী মানুষ ছিলেন। এর স্বপক্ষে অনেক তথ্য প্রমাণ রয়েছে। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘ঈদের দিন দুইটি মেয়ে আমার কাছে দফ (ঢোল) বাজিয়ে গান করছিল। এমন সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘরে এসে চাদর মোড়া দিয়ে শুয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে হযরত আবু বকর (রা.) আগমন করেন এবং মেয়ে দুইটিকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘রাসুল্লাহর গৃহে শয়তানের বাদ্যযন্ত্র! এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ বলেন, হে আবু বকর! তাদেরকে বাধা দিও না, কেন না আজ ঈদের দিন।’

হযরত আয়েশা (রা.) একটি মেয়েকে লালন পালন করতেন। অতঃপর তিনি তাকে এক আনসারের সঙ্গে বিয়ে দেন। তিনি মেয়েটিকে তার স্বামীর গৃহে রেখে আসেন। হযরত আয়েশা (রা.) প্রত্যাবর্তনের পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কি মেয়েটিকে তার স্বামী গৃহে রেখে এসেছ? উত্তরে আয়েশা (রা.) বলেন, হ্যাঁ’।

রাসুলুল্লাহ (সা.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি এমন কাউকে তাদের বাড়ি পাঠিয়েছ যে গান গাইতে পারে? তিনি বলেন, না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি তো জানো আনসাররা অত্যন্ত সংগীতপ্রিয়’।

হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমার পাশে বসে এক দাসী গান গাইছিল। এমন সময় হযরত ওমর (রা.) আগমন করেন এবং ভেতরে প্রবেশের অনুমতি চান। হযরত ওমরের আগমন টের পেয়ে দাসীটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তিনি ভেতরে প্রবেশ করতেই রাসুল (স.) মুচকি হাসি হাসছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসুল, আপনি কেন হাসছেন? রাসুল (স.) এরশাদ করলেন: দাসী আমাদের পাশে বসে গান করছিল। তোমার আগমন টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়। হযরত ওমর বলেন: আপনি যা শুনেছেন আমি তা না শোনা পর্যন্ত দাসীকে ছাড়ছি না। অতঃপর মহানবী (স.) দাসীকে ডেকে গান শোনাতে বললেন।’

মুসাদ্দার (র.)-হযরত রুবাই বিনত মুআবিয়া ইবন আদরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বাসর রাতের পরের দিন নবী এলেন এবং আমার চাঁদরের উপর বসলেন। সে সময় আমাদের কচি মেয়েরা দফ বাজাচ্ছিল এবং বদর যুদ্ধে শাহাদাৎপ্রাপ্ত আমার বাপ চাচাদের শোকগাঁথা হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একজন বলে ফেলল যে, আমাদের মধ্যে একজন নবি আছেন, যিনি আগামী দিনের কথা জানেন। তখন রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, এ কথা বাদ দাও এবং তোমরা পূর্বে যা করছিলে তাই কর। অর্থাৎ তোমরা পূর্বে যে গান করছিলে তা কর।

হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘সফরে রসুলে (স.) এর জন্যে হুদি পাঠ করা হত। উটের পেছনে হুদি পাঠ করার প্রথা রাসুল (স.) এবং সাহাবায়ে কেরামের যমানায় সব সময় চালু ছিল। হুদি এক প্রকার কবিতাই, যা সুললিত স্বরে ও ভারসাম্যপূর্ণ সংগীত সহকারে পাঠ করা হত। এতে উটের গতিবেগ বেড়ে যেত। সাহাবিদের মধ্যে কেউ এটা অপছন্দ করেছেন বলে বর্ণিত নেই; বরং মাঝে মাঝে তারা এটা করার অনুরোধ করতেন।’

ঈদ, বিবাহ, আকিকা প্রভৃতি আনন্দানুষ্ঠানে রাসুল করিম (স.) বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার পছন্দ করতেন।

তিনি বলেন, ‘গিরবাল বা খঞ্জনি বাজিয়ে হলেও তোমরা বিবাহ ঘোষণা কর।’ গিরবাল বা খঞ্জনি ছিল নিম্নস্তরের বাদ্যযন্ত্র। তাই উচ্চ স্তরের বাদ্যযন্ত্রের সামর্থ না থাকলে খঞ্জনি বাজিয়ে হলেও শুভ বিবাহ কর। হযরত আলী (রা.) ও বিবি ফাতেমার বিয়েতে বিখ্যাত সংগীতঙ্গ আমর ইবনে উমাইয়া জারিমি ‘দায়রা’ নামক গোল তাম্বুরা বাজিয়েছিলেন। পরিতাপের বিষয় যে, মৌলভিরিা বিয়ে বা আনন্দোনুষ্ঠানেও বাদ্যযন্ত্র বাজাতে নিষেধ করেন।

রাসুলুল্লাহ (স.) এর সময়ে খোদ মসজিদে, মসজিদ প্রাঙ্গণে আনন্দ অনুষ্ঠান হতো। হাবসিরা ছিল সংস্কৃতি প্রিয়। তারা গান, নাচ, ক্রীড়া-কৌতুক করত। একবার দুইজন হাবসি ক্রীতদাস মসজিদে ক্রীড়া-কৌতুক করছিল। রাসুল্লাহ (স.) এর সঙ্গে হযরত আয়েশা (রা.) তা উপভোগ করেছিলেন। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (স.) আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন আর আমি মসজিদে হাবসিদের ক্রীড়া-কৌতুক দেখছিলাম। হযরত ওমর (রা.) আমাকে সেখানে দেখতে পেয়ে শাসালেন। তখন রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন: হে বনী আরকাদা, তোমরা নির্বিঘ্নে খেলা প্রদর্শন কর।’

মানুষ মারা গেলে শোক সংগীত গাওয়া জায়েজ। আল খানসা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সমসাময়িক এবং আরবের মহান মহিলা কবি। আল খানসার ভাই ছিলেন একজন বীর। তার নাম সাখর। এ বীর মারা গেলে তার বোন আল খানসা অনেক শোক সংগীত গেয়েছিলেন। রাসুল (স.) তো তা নিষেধ করেননি। আর গান যদি হারাম হতো, তাহলে দাউদ নবি, সোলায়মান নবী কি গান করত? দাউদ (আ.) এর অনেক বাদ্যযন্ত্র ছিল। (দাউদ আ. কে নিয়ে আলাদা একটা লেখায় তা আলোচনা করেছি)। মুসা নবীও গান করতেন। তৌরাতে আছে, মোশি ও ইসরায়েলের লোকেরা প্রভুর উদ্দেশ্যে গান গাইত।

কোনো কোনো সময় গান গাওয়া জায়েজ সে সম্পর্কে হযরত ইমাম গাযযালী (রহ.) বলেন, ‘সাধনার সময়, জেহাদে উদ্বুদ্ধ করতে, মল্লযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে, মৃত্যু শোকে, ঈদের দিনে, বিবাহ মজলিসে, অনুপস্থিত ব্যক্তির আগমনে, ওলিমা, আকিকা, পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ ও খৎনা, হিফজে কোরআনে আনন্দ প্রকাশের উদ্দেশে গান গাওয়া জায়েজ।’ গাযযালী সাহেব পুত্র সন্তানকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণের সময় না বলে সন্তান জন্মগ্রহণের সময় বললে ছেলে মেয়ে উভয়েই গুরুত্ব পেতেন। পুত্র সন্তানের জন্য গান গাওয়া গেলে কন্যা সন্তানের জন্যও যাবে। যাহোক, সংগীত, আনন্দ অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইসলামে অবৈধ নয়, ইসলাম ধর্ম পালন করেও যে, তা করা যায় তার অনেক নজির আছে। এখানে কতিপয় সাক্ষ-প্রমাণ হাজির করা হয়েছে মাত্র। তবে উচ্চ স্বরে ডেক সেট (সাউন্ড বক্স) বাজিয়ে মানুষকে বিরক্ত করা কাম্য নয়।


রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর। ইমেইল: rejaulkarim1975@gmail.com

 

Header Ad

আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজেরে অবস্থান জানিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘বিচার নিশ্চিতের পূর্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া মানে চব্বিশের অভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা।’

এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ যেসব হত্যাকাণ্ড এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, সেগুলোর বিচার শেষে দলটিকে নির্বাচন করতে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের যারা হত্যা ও ক্ষমতার অপব্যহারের সঙ্গে জড়িত, যখন তাদের বিচার সম্পন্ন হবে, তখনই দলটিকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে। অন্যরা নির্বাচনে অংশ নিতে যতটা স্বাধীন তারাও ততটাই স্বাধীন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াই করব।

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক যাত্রীবাহী গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছের কুররম অঞ্চলে এই হামলা ঘটে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলার স্থানটি আফগান সীমান্তের কাছাকাছি। জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ এখনো আততায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কুররম জেলা সম্প্রতি শিয়া এবং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রদায়গত সহিংসতার জন্য পরিচিত। তবে এই হামলার দায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিতর্ক এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে জমি নিয়ে বিতর্কে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছিল এবং এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এছাড়া, গত কয়েক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে পাকিস্তানজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংগঠনটি স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অধীনে থাকা ‘অভয়াঞ্চল’ থেকে টিটিপি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ বালোচ বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আফগান তালেবান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তারা টিটিপি বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেন না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার জন্য কাউকে সুযোগও দেন না।

এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্রতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান