শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তেঁতুলতলার মাঠ বৃত্তান্ত ও ভুলের খেসারত

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধনকালে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের ২৪টি নির্দেশনা দিয়েছেন। ...শিশু-কিশোরদের শারীরিক-মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে তাদের জন্য প্রত্যেক এলাকায় সৃজনশীলতার চর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ক্রীড়া সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকদের সুস্থ জীবনাচারের জন্য জেলা ও উপজেলায় পার্ক, খেলার মাঠ প্রভৃতির সংরক্ষণ এবং নতুন পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।’ (যুগান্তর ১৮ জানুয়ারি ২০২২)।

ডিসিদের এই সম্মেলনে ঢাকার ডিসি উপস্থিত ছিলেন কি না জানি না। উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা সম্পর্কে নিশ্চয় তিনি অবগত। আর এরকম নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী এর আগেও দিয়েছেন। তারপরও ডিসি সাহেব থানা ভবন নির্মাণের জন্য এই মাঠই বরাদ্ধ দিলেন! এতে বোঝা যায়, সরকারপ্রধানের নির্দেশনা সম্পর্কে আমলাদের মনোভাব কী রকম!

অপরদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খেলার মাঠ সংরক্ষণের গুরুত্ব স্বীকার করে বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন, কলাবাগান থানা এখন ভাড়াবাড়িতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে বিকল্প না পেলে এখানেই হবে থানা ভবন।

তারপরও সাধারণ মানুষ মনে করেছিল, এ নিয়ে কোনো আলোচনা হলে সবাই খেলার মাঠের গুরুত্ব স্বীকার করবে এবং এটি রক্ষা পাবে। কোনো ভবন বা জমি অধিগ্রহণ করেও থানা ভবন করা যায়; কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত সেই আলোচনার আর কোনো খবর নেই! নির্মাণ কাজও কিন্তু বন্ধ হয়নি! আর নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো, সেই মা ও তার ছেলেকে ১৩ ঘণ্টা পুলিশের আটকে রাখার বিষয়েও উপযুক্ত কোনো পদক্ষেপ নেই। আসলে যে সিদ্ধান্ত আমলারা নিয়েছে, সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা কি সম্ভব হবে?

শুধু এ বিষয়টিই নয়, সরকারের নানা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খোদ রাজধানীতেই সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। রাজধানীর যানজট নিরসনের জন্য লক্ষ কোটির এত সব বড় বড় প্রকেল্প নেওয়া হচ্ছে। অথচ বিমান বন্দর সড়কের বনানীতে রাস্তার পাশ ঘেঁষেই নির্মিত হয়েছে, খোদ সড়ক বিভাগের বিভিন্ন স্থাপনা। এতে এই এলাকায় যানজট আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। “...রাস্তার উপর একটি সেতু ভবন ও বিআরটিএর ভবন কীভাবে হয়–এমন মন্তব্য করে অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ দুটি ভবনের কারণেই বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে শুরু করে বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরোটাই এখন যানজটে আটকে থাকে। নিজেরাই এ সমস্যা তৈরি করেছি। আমরা আর কত ভুল করব?’” (প্রথম আলো, ৩১ মার্চ ২০২২)

এ ধরণের ভুল আরও আছে! অসহনীয় যানজট কমাতে রাজধানীর চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০০ সালের দিকে। এজন্য কম উচ্চতার ১৬টি সেতু ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়ার কথা চিন্তা করা হয়; কিন্তু এরই মাঝে সরকারের দুটি সংস্থা এ ধরনের কম উচ্চতার আরও দুটি সেতু নির্মাণ করছে।

“একটি টঙ্গীতে তুরাগ নদের উপর কামারপাড়া সেতু। এটি নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। দ্বিতীয়টি রেলসেতু। টঙ্গীতেই তুরাগের উপর এই সেতু নির্মাণ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেতু দুটি নির্মাণে প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। যে উচ্চতায় সেতু দুটি নির্মিত হচ্ছে তাতে এর নিচ দিয়ে বর্ষায় নৌযান চলাচল করতে পারবে না। ফলে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করতে হলে দুটি সেতুই ভাঙতে হবে। অথবা বৃত্তাকার নৌপথ চালু হওয়ার পর সেতু দুটির কাছাকাছি গিয়ে হয় যাত্রীদের নামিয়ে দিতে হবে নয়তো কোনোভাবে সেতু পার করে আরেকটি নৌযানে তুলে দিতে হবে যাত্রীদের।’’ (প্রথম আলো, ০১ মার্চ ২০২১)

এসব ভুলের জন্য দায়ী কারা? কীভাবে এই ভুলগুলো হয়? খোদ রাজধানীতে এত সব ভুল পরিকল্পনা! সারাদেশের কী অবস্থা? না কি সামগ্রিক দায়িত্বহীনতা, সমন্বয়হীনতা ও গাফিলতির কারণে জনগণ তথা পুরো রাষ্ট্রকে এর আর্থিকসহ সব ধরণের দায় বহন করতে হচ্ছে! তাই এসব ভুলের দায় দায়িত্ব নিরূপন প্রয়োজন। এ ধরনের ভুল পরিকল্পনা যাতে না হয় তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিতে হবে। না হয় এ ধরনের ভুল আরও হতে থাকবে। আর জনগণ এর মাসুল দিয়েই যাবে অনন্তকাল!

এসএ/

Header Ad
Header Ad

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান শফিকুল আলম।

সরকারের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় ৯ মাসে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে কী অর্জন করেছেন, তা তুলে ধরেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোষ্টে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সম্প্রচারে আগ্রহ দেখায়নি দেশের কোনো বেসরকারি টিভি চ্যানেল। যার কারণে রাষ্ট্রয়াত্ত বিটিভির শরণাপন্ন হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিটিভির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুরো সিরিজটি সম্প্রচারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সবশেষ কয়েক বছরে মিলেনিয়াম মিডিয়া কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলো সম্প্রচার করেছে বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি চ্যানেল টি-স্পোর্টস ও জিটিভি। তবে সবশেষ সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে তাদের সঙ্গে।

তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে গত ১৯ মার্চ আর্থিক প্রস্তাবনা ও এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্টসহ (ইওআই) উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেছিল বিসিবি। তবে ৭ এপ্রিল দরপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আগ্রহ দেখায়নি কেউ। যার কারণে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রি করতে পারেনি বিসিবি।

এমন অবস্থায় দুই টেস্টের সিরিজ সরাসরি সম্প্রচার করতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিসিবি। পুরো সিরিজই সম্প্রচার করবে বিটিভি।

সিলেটে আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ২৮ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে দুদল। ইতোমধ্যে সিলেট টেস্টের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করেছে বিসিবি। আজ (১৮ এপ্রিল) থেকে যা সংগ্রহ করা যাবে মধুমতি ব্যাংকের আম্বরখানা শাখায়। সকাল ১০টা থেকে এখানে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। পরদিন থেকে স্টেডিয়াম কাউন্টারেও টিকিট কাটা যাবে।

বিসিবি সিলেট স্টেডিয়ামের গ্রান্ড স্ট্যান্ডের দাম নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। এর অর্ধেক দামে মিলবে ক্লাব হাউজের টিকিট। ২ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের দাম ১৫০ টাকা। শহিদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ১০০। গ্রিন হিল, শহিদ তুরাব স্ট্যান্ড (পশ্চিম দিক) ও ৩ নম্বর গেটের পূর্বদিকের গ্যালারির টিকিটের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৫০ টাকা করে।

Header Ad
Header Ad

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া

ছবি: সংগৃহীত

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানের নাম বাদ দিলো রাশিয়া। দুই যুগেরও বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানান দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় রীতিমতো একঘরে হয়ে থাকা তালেবানের জন্য এটি বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত বছর রাশিয়ার নতুন আইনে, কোনো সংগঠনকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেয়ার এখতিয়ার আদালতকে দেয়া হয়। সম্প্রতি তালেবানের সাথে সম্পর্ক গভীর করেছে মস্কো। সংগঠনটির প্রতিনিধিরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিতে একাধিকবার রাশিয়া সফর করেছে।

২০০৩ সালে তালেবানকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে কোনও ধরনের যোগাযোগ ছিলো না সংগঠনটির। এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা ছিল ফৌজদারি অপরাধ।

তবে ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। এ ক্ষমতা শুধুমাত্র সরকার গঠন করাই নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘটে সম্পর্কের ইতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি
সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিলো রাশিয়া
ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, জানালেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
ব্রাজিলের ভক্তদের ‘বানরের’ সঙ্গে তুলনা, নিষেধাজ্ঞার মুখে আর্জেন্টিনা
নারীরা কেন বয়সে ছোট পুরুষের সঙ্গে প্রেমে জড়াচ্ছেন?
জুলাই-মার্চ মাসে ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ
সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবুও ১০ কিলোমিটার চালিয়ে ৬০ যাত্রীকে বাঁচালেন চালক
কোলের সন্তান বিক্রি করে অলংকার, মোবাইল কিনলেন মা
চুয়াডাঙ্গায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দু’জন নিহত
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮
হবিগঞ্জে ট্রাক-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে ৪৬৬ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
তোপের মুখে ওয়াক্‌ফ আইন স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
নিজেকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবিতে মামলা করলেন ফয়জুল করীম
ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের
টাঙ্গাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও পরীক্ষার্থীসহ আটক ৬
৭১ এর গণহত‍্যার জন‍্য ক্ষমা ও সম্পদ ফেরত দেয়া নিয়ে আলোচনায় সম্মত পাকিস্তান