শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিয়তি বড়ই নির্মম, বড়ই নিষ্ঠুর

পৃথিবীতে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটে, যার উত্তর খুঁজে পাওয়াটা খুব কঠিন। হয়তো মনে হতে পারে এমন ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতো, অথচ তারপরও ঘটে যায়। ঘটনা ঘটতে ভালোবাসে, হোক সেটা ভালো বা মন্দ, দুঃখ বা আনন্দের, বন্ধন বা বিচ্ছেদের। অনেক তপস্যার পর একজন মা তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে। তিল তিল করে মায়ের শরীরের ভেতর বেড়ে উঠে আরেকটা মানুষ, মানুষের ভেতরে মানুষ, ভিন্ন এক সত্তা। তারপরও কেমন একটা টান, যা মনের টানকেও হার মানায়। মুখটা তখনও মায়ের গর্ভে। খুব অচেনা, তারপরও কেমন যেন একটা মায়ার বন্ধন ভিতরের অস্তিত্বকে অনুভব করবার জন্য ভিতরে ভিতরে পাগল হয়ে উঠে। সে অদেখা অস্তিত্বকে ঘিরে মা স্বপ্নের জাল বুনে, যে জাল চোখে দেখা যায় না তারপরও সে জাল যেন চোখের জলে সুরক্ষিত দুর্গে পরিণত হয়। সুতোর জাল ছিড়ে যেতে পারে যদিও সেটা দৃশ্যমান। অথচ মায়ের স্বপ্নের জাল কখনো ছিড়ে যায় না যদিও সেটা অদৃশ্যমান। খুব অদ্ভুত একটা দর্শন যা মনস্তত্বের জটিল জটিল তত্ত্বকেও হার মানায়।

নিয়তি কোনো শব্দ নয়, কোনো বিশ্বাস নয়, কোনো বিস্ময় নয়, নিয়তি অনেক সময় পরিণতি হয়, অনিশ্চিত হয়, অস্থির হয়। প্রকৃতির সাথে আকাশের শুন্যতায় ঝুলতে ঝুলতে নিয়তি তাকে দেখে চমকে উঠে, বিস্মিত হয়। সেখানে আকাশ আয়না হয়, যা কাচের আয়নার মতো মুখোশ পড়ে থাকেনা বরং মুখ হয়ে উঠে। যে মুখ দেখে নিয়তি খুব কাঁদে, আছাড়ি বিছাড়ি খায়। নিয়তির সে চাপা কান্না ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে গিয়ে বোবা হয়ে যায়, বুলেট হতে পারেনা। সে পুঞ্জীভূত বরফের কান্না বাস্প হয়ে বেরিয়ে আসতে পারেনা প্রকৃতির বুকে,মাটির কাছাকাছি, মায়ের অনুভূতিতে। নিয়তি কখনো কখনো বন্ধন হয়না বরং নির্মম বিচ্ছেদ হয়। খুব অস্বাভাবিক ঘটনার জন্ম হয় তখন। যেখানে সন্তানকে পৃথিবীর মুখ দেখাতে গিয়ে মাকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়। নিজের সন্তানের জন্মটা আর দেখা হয়না মায়ের। স্বপ্নের মায়াবী মুখটা আর কখনো দেখতে পায়না মা। সন্তানও তখন সদ্যোজাত, যার গর্ভ থেকে তার জন্ম সে মা নামের মানুষটাকে তার আর দেখা হয়ে উঠেনা কোনোদিন। এমন করেই বিচ্ছেদ বেদনা হয়, জন্ম আনন্দ না হয়ে অতৃপ্ত কষ্ট হয়। মানুষের বুকটাতে একটা আর্তনাদ জমাট বাধে অথচ কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না। একদিন সে জমাট বাধা আর্তনাদ হারিয়ে যায়, যেমন হারিয়ে যায় মায়ের সেই স্বপ্নের ফেলে আসা দিনগুলি। খুব নির্মম একটা কথা পেলাম–কিছু স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়, নিয়তি বড়ই নির্মম বড়ই নিষ্ঠুর। কথাটা কেবল কথা নয়, হয়তো এটাই সত্য। যা সত্যের ভেতর ঢুকে হাত দিয়ে আরেক সত্যকে বের করে আনে।

বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। নিষ্পাপ মুখটা কেমন করে যেন সময়ের আবর্তনে তর তর করে বড় হয়ে উঠে। সময় খুব অদ্ভুত হয় , যা সবকিছু পিছনে ফেলতে ফেলতে এগিয়ে যায় অথচ কখনো মরে যায়না। সন্তানকে ঘিরে মা-বাবার স্বপ্ন বাড়তে থাকে, না কোনো পাবার আশায় না বরং নিজের ভিতরের একবিন্দু রক্ত থেকে জন্ম নেওয়া একটা অস্তিত্বকে মানুষ হতে দেখবার আনন্দে। অথচ নিয়তি যে খুব অসহায় হয়। একটা লাশ একদিন ঘরে আসে। মৃত্যুর জন্ম হয় সেদিন। যেদিন মৃত্যুর জন্ম হয় সেদিন মা-বাবা তাদের একমাত্র নাড়ি ছেড়া ধনকে হারায়। বুকটা আঁতকে উঠে, বিচ্ছেদ বন্ধনকে কুড়ে কুড়ে খায়, সবকিছু থেমে যায় অথচ সময় সময়ের মতোই চলতে থাকে। মা-বাবা বাকরুদ্ধ হয়, স্বপ্ন ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় নিমিষেই। নিয়তি আবার কাঁদে, বরফ গলা নদী হয় অথচ সে নদীর কোনো স্রোত থাকে না।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা একটা ছেলে। মা-বাবার মুখে বিশ্বজয়ের ঝলকানি যেন উথলে পড়ে। চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙে যায়। সময়ের পরিক্রমায় ছেলের খুব ভালো চাকরি হয়। মা-বাবার মুখ চকচক করে উঠে। ছেলেকে সংসারী করবে বলে মা-বাবা ব্যাকুল হয়ে উঠে। আবেগের সব রং ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়, তীব্র কুয়াশার ভিতরেও শিশির বিন্দুর আলোতে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠে। ছেলের বিয়ে হয়। সংসারে সুখের বর্ষা নামে, সিক্ত হয় জীবন। নাতি-নাতনির জন্ম হয়। খুব ছোট ওরা। পৃথিবীটা এখনো বুঝে উঠেনি ওই নিষ্পাপ মুখগুলো, আপন মুখগুলোই তাদের পৃথিবী। এমন এক বাস্তবতায় নিয়তি আবার যেন কেঁদে উঠে। খুব কাঁদে, প্রকৃতিও কাঁদে অথচ দূরবীন দিয়ে তারা যা দেখে অণুবীক্ষণ যন্ত্র তাকে আরও দৃশ্যমান করে তুলে। বিচ্ছেদ...বিরহ হয়। ছেলের শরীরটা বেশ কিছুদিন ধরে ভালো যাচ্ছেনা। একদিন, দুইদিন, তিনদিন এমন করে অনেকদিন, তারপরও শরীরটা শরীরের বশে নেই। ইট-পাথরের নামকরা হাসপাতাল তখন গন্তব্য হয়। গন্তব্য তো গন্তব্যই, সব গন্তব্য ঠিকানা খুঁজে পায় না। কে যেন নিভৃতে দাঁড়িয়ে একটা চিঠি লিখে, সে চিঠির প্রাপককে কোনোদিনও খুঁজে পাওয়া যায়না। কারণ লালচিঠির বাক্সটা তখন অনেক পুরাতন, ডাকপিয়নের পিছনে ঝুলানো ঝুলিটাও অপ্রচলিত। ছেলের ক্যান্সার ধরা পড়ে, লাস্ট স্টেজ। ছেলে বৌ, সন্তান, মা-বাবার মুখগুলো দেখে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে থাকে যদিও সে জানে এই স্বপ্ন দেখার কোনো মূল্য নেই। পৃথিবীতে একটা অদ্ভুত নিয়ম সব সময় কাজ করে তা হলো মানুষ যখন তার মৃত্যুর দিন গুনতে থাকে তখন তার বাঁচার আকাঙ্খা বাড়তেই থাকে। একদিন সত্য সত্যই হয়ে উঠে, যেটা মিথ্যেকে যাচাই করা নয়, যেটার নাম হয় নির্মম সত্য। একদিন বাড়িতে লাশ আসে। সবাই কাঁদে....। তারপর সময় আবার সবকিছুকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায়, সবকিছু মরে যায়, সময় তখনও বেঁচে থাকে। আর নিয়তি নিয়মের বেড়াজালে বন্দি হয়। সে বন্দিত্বের শিকল ভেঙে নিয়তি কখনো মুক্তির পথ খুঁজে পায় না।

খুব মনে পড়ছে সুকান্তের কথা। সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু সুকান্ত সম্পর্কে বলেছেন, ‘কবি হওয়ার জন্যই জন্মেছিলো সুকান্ত, কবি হতে পারার আগে তার মৃত্যু হলো তার।’ অথচ এই ক্ষণজন্মা মানুষটা যতটুকু সময় পেয়েছেন ততটুকু সময়ে কলম যেন আগুন হয়েছে। সে পোড়া আগুনে কলমের কালি একটু একটু করে শুকাতে শুকাতে জন্ম দিয়েছে কবিতার, অনেকটা তার জীবনের মতো যেখানে জীবন ক্ষয়ে ক্ষয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে। তার কবিতার মধ্যে তিনি নিজে ছিলেন না, মানুষ ছিল, জীবন ছিল, দ্রোহ-বিদ্রোহ ছিল। অথচ নিয়তি খুব নির্মম হয়ে বসে ছিল। মাত্র একুশ বছর বয়সে সুকান্তের যক্ষা হলো। সে সময়টাতে যক্ষার কোনো ওষুধ ছিলোনা, চিকিৎসা ছিল না, মৃত্যুই ছিল একমাত্র গন্তব্য। ছাড়পত্র লিখেছিলেন সুকান্ত, সে ছাড়পত্র তাকে নিতে হলো। সময় খুব অদ্ভুত এখানটায়। এখন যক্ষার ওষুধ বেরিয়েছে অথচ সুকান্ত জন্মেছে এর অনেক আগে। যদি সুকান্তকে আবার ফিরিয়ে আনা যেত এই সময়টাতে তবে হয়তো একজন মহাকবির জন্ম হতো। যদিও সুকান্ত যতটুকু লিখছেন ততটুকুই তার কবিতাকে অমরত্ব দিয়েছে, সুকান্তের দেহের মৃত্যু ঘটলেও তার দর্শনের মৃত্যু ঘটেনি। সুকান্ত কবি ছিলেন যতটা দার্শনিক ছিলেন তার থেকে অনেক বেশি। সব মরে যায়, কবি ও কবিতা যখন আগুন হয় তখন তা বেঁচে থাকে যুগের পর যুগ ধরে। সব কিছুই ঠিক ছিল কিন্তু ফুল ফোটাবার আগেই ঝরে গিয়েছিলো। অপূর্ণতার কষ্ট এখানেই...যা নিয়তির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছে। আর নিয়তির কষ্ট সেখানে যেখানে নিয়তির করার কিছুই ছিলোনা। সব স্বপ্ন সত্য হয়না, সব সত্য স্বপ্ন হয়না। জীবনের টানপোড়েনটা বুঝি এখানেই।

মানুষ মানুষই, সব স্বপ্ন। সব আয়না, টুকরো কাচের মতো। এরপর নিয়তির যাত্রা কোন পথে কে জানে। অপেক্ষা সময়ের....সময় কাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে সে বিচার সময়ের। প্রকৃতি প্রকৃতিই, সব বুঝে, সব দেখে তারপরও বুকে পাথর বাধে। এখন আর কেউ কাঁদে না। কান্নার অভিনয় করে। মানুষ তো এখন আর মানুষ নেই বরং অনেক বড় অভিনেতা হয়ে গেছে। রাজনীতির নেতা হয়ে গেছে। আবেগ জলে ডুবে মরেছে, বিবেকও মরেছে। তারপরও চোখের দৃষ্টিসীমার বাইরে একটা নতুন পৃথিবীর জন্ম হচ্ছে। হয়তো সেটা ভালোই হবে। তবে কতটা ভালো সে বিচার মানুষের নয়, অন্য কারো, অন্য কারো নয়, মানুষের। সবকিছুই অংকের খেলা, সবকিছুই সমীকরণ তারপরও খুব অনিশ্চিত।

এত কিছুর পরও, জীবন একটা চলন্ত ট্রেন হোক, মানুষ তার যাত্রী হোক যেখানে অনিশ্চয়তার মধ্যেও মানুষ স্বপ্ন দেখবে, জীবনের গান গাইবে। থেমে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়, ফিরে আসা–এমনটাই বিশ্বাসের শেকড়ে ঝুলে থাকবে, সেখানে কেউ থাকুক বা না থাকুক। কারণ শূন্যতা কখনো কখনো নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়।

লেখক: শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ও লেখক
অধ্যাপক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

এসএ/

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জুরাইন রেলক্রসিং থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা সরে গেছেন। এর ফলে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বেলা তিনটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এর আগে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে চলতে দেওয়ার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন রিকশাচালকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে রিকশাচালকরা জুরাইন রেলক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে আশপাশের সড়কগুলোয় যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। তবে তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে রেললাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর রেল চলাচল শুরু হয়।

শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। বেলা দেড়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলগেট এলাকায় অটোরিকশাচালকদের অবরোধে সোয়া ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে রেলযাত্রীরা।

এর আগে গত সোমবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীর আরজতপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করে। এ সময় আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।

আন্দোলন চলাকালে সম্প্রতি ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই ট্রেনের নারী-শিশুসহ অনেক যাত্রী আহত হয়। ওই ঘটনায় উপকূল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।

Header Ad

পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বিশ্বের পাঁচটি দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই পাঁচটি হলো: থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।

মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম/নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে। এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।

ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত/পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এসব দেশে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে জানিয়েছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’