নির্বাচনে ইইউ ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাব।’
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে যুক্তরাজ্যের বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী কিছু স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকের আলাদা এজেন্ডা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ এবং দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’
বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, ‘তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘গত মার্চে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাধ্য করতে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চায়।’
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, বর্তমান শিশুর সাথে ৪০ হাজার নবজাতক শিশু যুক্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য এটা বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।’
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করে।’
শেখ হাসিনা অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ, এই যুদ্ধে সারা বিশ্ব ভুগছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় যেকোনো যুদ্ধের বিপক্ষে। বাংলাদেশ তাদের সকল দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/
