জিএম সুবক্তগীন এর কর্মদক্ষতায় রেলের পূর্বাঞ্চলে বইছে সুবাতাস

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক সুবক্তগীন। ছবি: সংগৃহী
বাংলাদেশ রেলওয়ে যখন জনবল ও লোকোমোটিভ সংকটের কারণে এক কঠিন সময় পার করছে, তখন রেলের পূর্বাঞ্চল নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে। আর এই সফলতার প্রধান দাবিদার হচ্ছেন সদ্য যোগদানকারী রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সুবক্তগীন। তার নেতৃত্বে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ঘটেছে ইতিবাচক পরিবর্তন, যা সমগ্র রেলওয়ে ব্যবস্থায় এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে।
জিএম সুবক্তগীনের দক্ষ নেতৃত্বের ফলস্বরূপ, পূর্বাঞ্চলে ট্রেন পরিচালনা এবং সামগ্রিক রেলওয়ে পরিবেশে এক সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চলে মিটারগেজ ট্রেনের সংকট একটি বড় সমস্যা ছিল, তবে সুবক্তগীনের পরিচালনায় সমস্যাগুলোর সমাধান দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। তার অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ২০০০ কন্টেইনার পরিবহন জন্য অপেক্ষমাণ থাকলেও, এখন তা কমিয়ে ৭০০-তে আনা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা ঈদের আগে দ্রুত কন্টেইনার পরিবহনে রেলওয়ে ব্যবস্থাপনার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন।
এছাড়াও, জিএম সুবক্তগীনের নেতৃত্বে যাত্রীবাহী ট্রেনের পানচুয়ালিটির হার বেড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, ঢাকা-সিলেটসহ প্রধান রুটগুলোতে ট্রেনের সময়সূচি পালন গড়ে প্রায় ৯০ শতাংশ এবং ঢাকা-চট্টগ্রামে প্রায় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করা হয়েছে। তার যোগদানের পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালু এবং ঢাকা-ভৈরব বাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা রেলওয়ের সার্বিক উন্নতির দিকে ইঙ্গিত দেয়।
জিএম সুবক্তগীন এর নেতৃত্ব শুধু তার কর্মদক্ষতা দিয়ে নয়, বরং তার সহকর্মী এবং অধীনস্তদের সঙ্গে সাদামাটা এবং নম্র আচরণের জন্যও প্রশংসিত। তার অধীনে কাজ করা যে কেউ সহজেই তার কাছে সমস্যার সমাধান চেয়ে দেখা করতে পারেন। সহকর্মীদের কাছে তিনি একটি জনপ্রিয় এবং সহানুভূতিশীল ব্যক্তিত্ব হিসেবেই পরিচিত।
তার অতীত কর্মজীবনও তার নেতৃত্বের দক্ষতা প্রমাণ করে। পূর্বে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন প্রকল্পের পিডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করে প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছেন, এবং কক্সবাজার দোহাজারী রেললাইন প্রকল্পে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জিএম হিসেবে সুবক্তগীনের যোগদান রেলের উন্নতির নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তার দক্ষ নেতৃত্বে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে বইছে একটি নতুন সুবাতাস, যা পুরো বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য এক ইতিবাচক উদাহরণ।
