অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ঈদুল ফিতরকে ঘিরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে যৌথ বাহিনীর টহল ও তল্লাশি আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রার নিরাপত্তা ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, ঈদের সময় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও দখলবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থাপনায় চেকপোস্ট বসানো হবে, যাতে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত ও আটক করা যায়।
ঈদের সময় সাধারণ মানুষ বড় অঙ্কের টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করে থাকেন। এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, "যারা বড় পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করবেন, তারা যেন পুলিশের সহায়তা নেন। এতে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।"
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো যথাযথভাবে রিপোর্ট আকারে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো অপরাধী যেন শাস্তির বাইরে না থাকে, তা নিশ্চিত করা হবে।"
এছাড়া, ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাতা পরিশোধের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "এটা তাদের বকেয়া, তাই যেটা বাস্তবসম্মত, সেটা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।"
মাদক নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঈদের সময় মাদকের ব্যবহার ও চোরাচালান বেড়ে যায়, যা ঠেকাতে বিশেষ নজরদারি ও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে মাদকের বিস্তার রোধে কাজ করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বক্তব্য অনুযায়ী, ঈদুল ফিতরকে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে বলে তিনি জানান।
