বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাট, গুম-খুনের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার কায়েম করা হয়েছিল।

স্বাধীনতা যুদ্ধে সব বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমরা কোনোক্রমেই বৃথা যেতে দেব না।

তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কার পেলে যে আনন্দ, দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য; তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেন আগামীতে একটা নিয়ম করতে পারি, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার তাদের পালা শেষ করে দিয়ে যারা জীবিত অবস্থায় আছেন তাদেরকে যেন পুরস্কার দেই। তাদের প্রতি সম্মানটা আমরা দেই। তারা আমাদের জাতিকে মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। পুরস্কার দিয়ে আমরা শুধু তাদেরকে সম্মানিত করছি না। আমরা বরং জাতি হিসেবে নিজের সম্মান তাদের মাধ্যমে পাচ্ছি। তারা প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহুল পরিচিত। তারা জাতির জন্য অনেক কিছু দিয়ে গেছেন। তাদের জীবদ্দশায় স্মরণ করতে না পারলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবো। যাদেরকে আমরা এই সম্মান দিতে চাই, যথাসময়ে আমরা যেন তা দেই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান বলেন, কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই বছর সরকার ছয় জন বিশিষ্ট নাগরিককে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তারা সবাই বাংলার সূর্যসন্তান।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের স্মরণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম একজন বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী। পৃথিবীর নামকরা সব বিজ্ঞানীরা তাকে চেনেন। তিনি সবসময় প্রকৃতি ও মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত ছিলেন। আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উজ্জ্বল কবি। তার কবিতা বহু কবি, লেখক, পাঠককে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ব্র্যাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ও এর পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। লন্ডনের ফ্ল্যাট বিক্রির টাকা দিয়ে তিনি ব্র্যাক গড়েছিলেন। প্রান্তিক গরিব মানুষের জীবনমান উন্নয়নসহ বহুমুখী কাজে ব্র্যাক এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সম্মাননা স্মারক আমাদের পরের প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত থাকবে। বাংলার সঙ্গীত ও আর্টের দুই উজ্জ্বল নক্ষত্র আজম খান ও নভেরা আহমেদ। পূর্ব বাংলায় নভেরার হাতেই প্রথম ভাস্কর্যের উদ্বোধন হয়। তিনি আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃত। আর বাংলা পপ গানের সম্রাট আজম খান মহান মুক্তিযুদ্ধে গান গেয়ে এদেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি সমাজের বঞ্চিত মানুষের জন্য গান করেছেন। আজম খান দেশের হাজারো তরুণ সংগীতশিল্পীর আইকন। যে জেন-জি প্রজন্ম, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের অনুপ্রেরণার নাম বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। সে ন্যায়বিচারের জন্য, বাকস্বাধীনতার জন্য জোরালো প্রতিবাদ করে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছিল। তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।

যারা আজ এ সম্মাননা পেলেন তারা জীবদ্দশায় এ প্রাপ্তি দেখে যেতে পারেননি, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনে তাদের অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। এই সূর্যসন্তানদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আজ আপনাদের স্বজনরা সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছেন। দেরিতে হলেও তাদেরকে এই স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদান করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তাদের কাজ যুগ যুগ ধরে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তরুণদের মধ্যে অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এ বছর স্বাধীনতা পুরুস্কার পেয়েছেন তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

Header Ad
Header Ad

ডিএসসিসির রাজস্বে ভাটা, আদায় বাড়াতে ঈদের পর অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব আদায় কমে গেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর মেয়র ও কাউন্সিলররা দেশত্যাগ করায় জনপ্রতিনিধিদের স্থলে আমলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে নগর ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মিত বদলি ও পদোন্নতি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কর্মকর্তাদের রুমে রুমে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ডিএসসিসির রাজস্ব আদায় তলানিতে পৌঁছেছে। তাই রাজস্ব আদায় বাড়াতে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর নগরীতে লিফলেট বিতরণ এবং বকেয়া আদায়ে কঠোর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বকেয়া আদায়ের জন্য এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে বাসা বা স্থাপনার আসবাবপত্র জব্দ করে নিলামে বিক্রি করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বকেয়া পৌরকর, কর্পোরেশনের মালিকানাধীন দোকানের ভাড়া এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি সমন্বয় করা হবে।

ডিএসসিসির রাজস্ব আয়ের খাতওয়ারী দাবি ও আদায়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩–২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে মাত্র ৫৪৬ কোটি টাকা। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা হলেও জানুয়ারি পর্যন্ত আদায় হয়েছে মাত্র ৪৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪৮ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, রাজস্ব আদায় বাড়াতে ঈদের পর লিফলেট বিতরণ এবং অভিযান পরিচালনা করা হবে। লিফলেটে জানানো হবে যে, সিটি করপোরেশন একটি স্ব-শাসিত সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। করদাতাদের প্রদেয় পৌরকর, দোকান ভাড়া, ট্রেড লাইসেন্স এবং অন্যান্য ফি-এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও নগর উন্নয়নের কাজ পরিচালিত হয়।

লিফলেটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বকেয়া কর পরিশোধ না হলে নগরের উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই, বকেয়া কর আদায়ে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে সম্পত্তি জব্দ ও নিলামের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হবে। তাই নগরবাসীকে দ্রুত বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে ডিএসসিসি।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, "গণঅভ্যুত্থানের পর রাজস্ব আদায়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। অনেকে দীর্ঘদিনের হোল্ডিং ট্যাক্স, পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্সের ভাড়া বকেয়া রেখেছেন। প্রথমে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে, এরপর রাজস্ব আদায়ে অভিযান পরিচালিত হবে। প্রয়োজনে সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করেও বকেয়া পৌরকর সমন্বয় করা হবে।"

Header Ad
Header Ad

সারজিসের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে পঞ্চগড়ে নিজ এলাকায় প্রবেশ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই বহরের “অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা” নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জারা আশা প্রকাশ করেন যে, সারজিস আলম এ বিষয়ে জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেবেন, যা এনসিপির ভাবমূর্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।

তাসনিম জারা লিখেছেন, "একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দলের নীতিগত অবস্থান ও স্বচ্ছতার প্রশ্ন থেকে আমি জানতে চাই— সম্প্রতি তোমার নিজ জেলায় শতাধিক গাড়ির একটি বড় বহর নিয়ে প্রবেশ করায় জনগণের মনে স্বাভাবিকভাবেই কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, ‘আমার আসলে এই মুহূর্তে কোনো টাকা নাই। ধার করে চলতেছি। আমার পকেটে মানিব্যাগও নেই।’ তোমার এই সাদাসিধে জীবনযাত্রার কথা আমাদেরকে অভিভূত করেছিল এবং জনগণের কাছে আমাদের সংগ্রামকে আরও গ্রহণযোগ্য করেছিল। কিন্তু সেই প্রেক্ষাপটে এত বড় একটি আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো?"

তিনি আরও বলেন, "এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব। আমি আশা করি, বিষয়টি তুমি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করবে এবং জনগণের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য ও পরিষ্কার ব্যাখ্যা তুলে ধরবে। এতে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী হবে।"

গতকাল সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর যান। সেখান থেকে সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌঁছান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। উল্লেখ্য, সারজিস আলমের বাড়ি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায়।

নতুন রাজনৈতিক দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার পর প্রথমবার বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বিষয়টি নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন।

Header Ad
Header Ad

ভারতকে কাঁপিয়েও গোল মিসের মহড়ায় ড্রয়ের আফসোস বাংলাদেশের

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি হাভিয়ের কাবরেরার দল। শেষ পর্যন্ত ০-০ গোলে ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হলো লাল-সবুজদের।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। মাত্র ৩১ সেকেন্ডের মাথায় প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল দলটি। ভারতের গোলরক্ষক বিশাল কাইথের ভুলে বল পেয়ে যান মিডফিল্ডার জনি, কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা মেলেনি। ৯ মিনিটে মোরসালিনের ক্রসে শাহরিয়ার ইমনের হেড পোস্টের বাইরে চলে যায়। ১৭ মিনিটে জনি আবারও সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ২২ মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার হৃদয়ের হেড কর্নারে চলে যায়। ৪১ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ভারতের গোলরক্ষকের সামনে পৌঁছেও শট নিতে ব্যর্থ হন জনি।

 

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমার্ধের খেলার ধরণ দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়, বাংলাদেশই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। তবে ২১ মিনিটে অধিনায়ক তপু বর্মন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, যা দলের জন্য বড় ধাক্কা ছিল। তার বদলে মাঠে নামেন রহমত মিয়া। প্রথমার্ধে অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু কেউই তা কাজে লাগাতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ভারত কিছুটা গুছিয়ে খেলতে শুরু করলেও বাংলাদেশই ছিল আক্রমণে সক্রিয়। ৬১ মিনিটে রাকিবের প্রেসিংয়ে ভারতের গোলরক্ষক আবারও ভুল করেন, কিন্তু জনি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। ৭৩ মিনিটে ভারতের শুভাশীষের হেড পোস্টের বাইরে চলে যায়। শেষ দিকে রাকিবের শটও লক্ষ্যে থাকেনি।

পুরো ম্যাচে নজর কেড়েছেন বাংলাদেশের নতুন মুখ হামজা। ডিফেন্স ও মিডফিল্ডে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। প্রতিপক্ষের পাস কেটেছেন, বল ক্লিয়ার করেছেন এবং আক্রমণেও ভূমিকা রেখেছেন। অভিষেক ম্যাচেই নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।

ম্যাচে পাঁচটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে না পারায় হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ভারতের মাটিতে জয় তুলে নেওয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত গোলের অভাবে ড্র মেনে নিতে হলো কাবরেরার দলকে। আগামী নভেম্বরে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে আবারও ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ভুল শুধরে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পাওয়ার আশা করবে লাল-সবুজ শিবির।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিএসসিসির রাজস্বে ভাটা, আদায় বাড়াতে ঈদের পর অভিযান
সারজিসের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তাসনিম জারা
ভারতকে কাঁপিয়েও গোল মিসের মহড়ায় ড্রয়ের আফসোস বাংলাদেশের
চুয়াডাঙ্গা শহরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, জরিমানা ২২ হাজার টাকা
এভারকেয়ারে নেওয়া হলো তামিম ইকবালকে
সাবেক আইনমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ চেয়ারম্যান মানিক গ্রেফতার
ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের গোপন সামরিক পরিকল্পনা ফাঁস হলো যেভাবে
জাতির উদ্দেশে ভাষণ: রমজানে দ্রব্যমূল্য কমেছে, জনগণ স্বস্তি পেয়েছে – ড. ইউনূস
গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছে: তারেক রহমান
৫৩ বছরেও দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান
অবৈধ স্যাটেলাইট পে-চ্যানেল বন্ধে বিটিআরসির নির্দেশ
ওয়াসিম হত্যা মামলায় নওফেল-নাসিরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বুধবার ভোরে সাভার-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
৯০ দিনের মধ্যে দেশে স্টারলিংক চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে যা বললেন তামিম ইকবাল
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জিএম সুবক্তগীন এর কর্মদক্ষতায় রেলের পূর্বাঞ্চলে বইছে সুবাতাস
ছায়ানটের সভাপতি সন্‌জীদা খাতুন মারা গেছেন
যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে তা ভালো বুঝি: ফখরুল