ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার, যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধসহ নানা নির্দেশনা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্দেশনাসমূহ:
১. সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
২. চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হবে।
৩. সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল বাড়ানো হবে।
৪. গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও শিল্প পুলিশ সমন্বিত ব্যবস্থা নেবে।
৫. ঈদের কেনাকাটায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মার্কেটগুলোতে পুলিশ মোতায়েন ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক।
৬. গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা হবে, অনিয়ম ও চাঁদাবাজি কঠোরভাবে দমন করা হবে।
৭. যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮. যমুনা ও পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজাগুলোতে দ্রুত টোল আদায়ে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
৯. যানজট প্রবণ ১৫৫টি স্পটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে।
১০. ঈদের আগে ও পরে সাত দিন প্রয়োজন ছাড়া পুলিশ মোটরযান থামাতে পারবে না।
১১. ঈদের তিন দিন আগে ও পরে নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ট্রাক ও লরি মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না।
১২. ঈদের আগে ও পরে পাঁচ দিন নদীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
১৩. দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও ডুবুরি দল প্রস্তুত থাকবে।
১৪. যানজট এড়াতে অকেজো যানবাহন দ্রুত সরিয়ে নিতে রেকার সার্ভিস প্রস্তুত রাখা হবে।
১৫. সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে, যা ৯৯৯ জরুরি সেবার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে।
