স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে স্বস্তিতে ঢাকা ছাড়ছেন ট্রেনযাত্রীরা

ট্রেনযাত্রীরা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছেন স্বস্তি নিয়ে। ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে কিছু ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছাড়লেও অন্যসব কিছু মোটামুটি ঠিক ছিল।
অন্যান্য বছরের ন্যায় তেমন কোনো ভিড় চোখে পড়েনি। ঈদযাত্রায় আগের মতো সেই চিরচেনা রূপ কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়নি।
এ বছর টিকিট কালোবাজারি মুক্ত করতে অনলাইনে শতভাগ বিক্রি ও ঈদে বিনা টিকিটের যাত্রীদের স্টেশনে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তে এসেছে এই পরিবর্তন। আবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে তিন দফা চেকিং শেষে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে ঢোকানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজশাহীগামী দিনের প্রথম ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ৩৫ মিনিট দেরিতে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করে। এ ট্রেনটি দেড় ঘণ্টা দেরিতে রাজশাহী পৌঁছাবে।
এদিকে, সোনার বাংলা ট্রেনটি প্রায় ৩ ঘণ্টা দেরি করেছে। সকাল ৭টায় চলার কথা থাকলেও সকাল ১০টার সময় ট্রেনটি ছেড়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। এ ছাড়া রংপুর এক্সপ্রেস ৪৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে। অন্য ট্রেনগুলো ছেড়েছে ৫-১০ মিনিট দেরিতে।
ট্রেনে কর্মরত কর্মীরা জানান, জীবনে বহু ঈদ দেখেছি। ঈদের আগের দিনগুলোতে আসা যাত্রীদের জায়গা দিতে পারতাম না। এবারে ঈদে সেই চিত্র নেই। যাত্রী স্বাভাবিক সময়ের মতো। ফলে মানুষ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারছেন।
মোশারফ হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, ট্রেনে এবার ভিন্ন চিত্র দেখলাম স্বস্তিতে উঠতে পেরেছি এবং স্বস্তিতে যেতে পারছি। কালোবাজারি বা অন্যান্য সমস্যা এবার অনেকটা মুক্ত।
সোনার বাংলা ট্রেনের যাত্রী নোমান নমি বলেন, ট্রেন কর্তৃপক্ষের এবার সিস্টেমটা খুব ভালো লেগেছে এজন্য স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পারছি।
কেএম/এমএমএ/
