গাবতলীতে কাউন্টারে গেলেই পাওয়া যাচ্ছে টিকিট

গাবতলীতে ঘর মুখে যাত্রীদের তেমন কোনো চাপ নেই। গাবতলী, শ্যামলী, কল্যাণপুর ও টেকনিক্যাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে দূরপাল্লার কাউন্টারে গেলেই ঈদযাত্রার টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। যাত্রীরা তাদের পছন্দের বাসের টিকিট কেটে যেতে পারছেন গন্তব্যে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলী শ্যামলী, কল্যাণপুর ও টেকনিক্যালে বাস কাউন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, বিগত বছরগুলোর মতো উপচে পড়া তেমন কোনো ভিড় নেই বললেই চলে।
কুষ্টিয়ার যাত্রী আমান হোসেন বলেন, ভেবেছিলাম টিকিট পাব না কিন্তু গাবতলীতে এসে দেখি চাহিদা মতো টিকিট নিতে পেরেছি। বিগত বছরের মতো গাবতলীতে এবার তেমন ভিড় নেই বললেই চলে।
কাউন্টারে এসে চলতি বাসে উঠে পেরেছেন ঝিনেদাহের যাত্রী মো. ইমরান। তিনি বলেন, গাবতলীতে এসেই টিকিট পাব ভাবিনি। চলতি বাসে উঠতে পেরেছি এটাই ভালো লেগেছে।
বগুড়ার যাত্রী নয়ন বলেন, এবারের ঈদযাত্রার খবর নিয়েছি, কোথাও কোনো সমস্যা নেই। গাবতলীও ফাঁকা। সিটও পাচ্ছেন যাত্রীরা এজন্য গাবতলী দিয়ে যাব।
কল্যাণপুরের যাত্রী সুজন বলেন, আমার বাড়ি নীলফামারী কাউন্টার এসেই টিকিট পেয়েছি। তবে চাহিদা মতো পাইনি তারপরও ঈদের সময় টিকিট পেয়েছি এটাই বড় কথা।
শ্যামলী কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন নাবিল পরিবহনের যাত্রী আলেয়া বেগম। তিনি বলেন, জানালার পাশে সিট চেয়েছিলাম কিন্তু পাইনি তবে ঈদের এই সময় একটি সিট পেয়েছি এটাই আমাদের বেশ ভালোলাগার বিষয়।
কল্যাণপুর গ্রামীণ ট্রাভেলসের টিকিট মাস্টার্স রমজান বলেন, অন্যান্যবারের সঙ্গে এবারের ঈদযাত্রা তুলনা করা যাচ্ছে না। কাউন্টারের অবস্থা দেখে ভাবার কোনো উপায় নেই যে ঈদে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। দুই-চারজন করে যাত্রী আসছেন। সবাই ডাকাডাকি করছেন। যাত্রীর যেখানে ভালো লাগছে সেই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট নিচ্ছেন। আমরা যাত্রীদের মাঝে মাঝে ডেকে বলছি আপনাদের টিকিট লাগলে আমাদের কাউন্টারে আসুন যাত্রীরা তাদের পছন্দের কাউন্টারে চলে যাচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না যে এবার ঈদের সময়টা চলছে।
গাবতলী হানিফ কাউন্টার মাস্টার বজলু বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে এই রোডের চাপ অনেকটা কমে গেছে। অন্যবারের মতো চাপ নাই। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় একটু বেশি মনে হচ্ছে।
ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার মিথুন বলেন, আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইনে বেশি ছিল। কাউন্টারেও আছে তবে ঈদ যাত্রার যে চাপ থাকে এই রুটে এই চাপ এবার নাই। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে অনেক চাপ কমে গেছে মনে হচ্ছে।
কেএম/এসএন
