ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এসব পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া মনজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাজধানীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়াও চুরি, ছিনতাই, পকেটমার, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা রোধে স্বার্বিক বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য পুলিশের সকল পযার্য়ের ইউনিটকে নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ প্রধান।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ঈদে জনসাধারণের চলাচল এবং শপিং মলগুলোতে কেনাকাটা নির্বিঘ্নে করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন এলাকায় বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের আগে এবং পরে নগরবাসীর নিরাপত্তায় কাজ করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা। এ ছাড়াও অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছোঁ মারা পার্টি, বিভিন্ন সড়কে ও মোড়ে মোড়ে কিংবা বিভিন্ন শপিং মলে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে নিয়োজিত রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। বিশেষ ব্যবস্থায় দায়িত্বে রয়েছেন নারী পুলিশের সদস্যরাও।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে ঈদের সময় ভালোভাবে তাদের গন্তব্যে যেতে পারে সেই জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরজুড়ে আমাদের ডিএমপির পোশাক পরা ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা কাজ করছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ঈদের এই সময়টাতে রাজধানীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন পয়েন্টে পকেটমার,অজ্ঞান পার্টি,ছিনতাইকারীদের ধরতে তৎপর রয়েছে ডিএমপি। এ ছাড়াও মার্কেটে পকেটমারসহ যাদেরকে সন্দেহ হচ্ছে তাদেরকেই তল্লাশি করা হচ্ছে। তা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মোটরসাইকেলে পাড়া মহল্লাতে আছে টহল টিম।
এদিকে ঈদের নিরাপত্তা নিয়ে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলছেন, ঈদের সময়ে ফাঁকা ঢাকায় রাত কিংবা দিনে সব সময় পুলিশের কড়া নিরাপত্তা থাকবে। শুধু ঢাকাতে নয়, বড় বড় শহরগুলোসহ গ্রামেও ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
আইজিপি বলেন, অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় ঢাকার বাসায় স্বর্ণালংকার, টাকা-পয়সা রেখে যান। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে একেবারে বাসা ফাঁকা রেখে যাওয়া উচিত না। সেক্ষেত্রে টাকা-পয়সা ও গহনা নিকট আত্মীয়-স্বজনের কাছে রেখে গেলে বা সঙ্গে নিয়ে গেলে ভালো হয়।
ঈদের সময় বিশেষ করে ঢাকাসহ সারাদেশের সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইজিপি। তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে রাজধানীতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পকেটমার,অজ্ঞান পার্টি,ছিনতাইকারী ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
এদিকে নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন,ঈদ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর থেকে ব্যাপক সংখ্যক যাত্রী ঈদ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন। তারা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন সেই জন্য নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের নৌ পুলিশ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক থেকে মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে এবং পকেটমার,অজ্ঞান পার্টি,ছিনতাইকারীদের ধরতে আমরা তৎপর।
আরইউ/এমএইচকে/এসআইএইচ
