দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ: বিবিএস

বাংলাদেশে দারিদ্র্যেরর হার কমে হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। ৬ বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্যেরর হার কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৬ সালের জরিপে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
একইসঙ্গে হতদরিদ্রের হারও কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৬ সালে ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। ৬ বছরে কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০২২ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ২০২২ সালের ১২ মাসে ১৪ হাজার ৪০০টি খানা থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে বিবিএস অডিটোরিয়ামে খানা আয় ও ব্যয় জরিপের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিবিএসে মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। এতে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়েক সেনসহ অন্যরা।
বিবিএসের জরিপে বলা হয়, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। যা পল্লীতে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ ও ১৪ দশিমক ৭ শতাংশ শহরে।
অন্যদিকে, অতিদারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যা পল্লী এলাকায় ৬ দশিমক ৫ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬ সালের জরিপে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। এটা শহরে ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ ও গ্রাম এলাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১০ সালে দারিদ্রের হার ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ।
২০২২ সালে পরিচালিত খানার আয় ও ব্যয় জরিপে বলা হয়েছে, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগি খানার শতকরা হার ৯৯ দশমিক ৩২ শতাংশ। একইভাবে ৯২ দশমিক ২১ শতাংশ খানা উন্নত টয়লেট সুবিধার ভোগ করছে, তবে এখনো দশমিক ৬৯ শতাংশ মানুষ খোলা জায়গায় পায়খানা করে। ৯৬ দশমিক ১ শতাংশ খানায় নিরাপদ খাবার পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশ। যা ২০১৬ সালে ছিল ৬৫দশমিক ৬ শতাংশ।
মহিউদ্দিন বলেন, অতীতের যেকোনো জরিপের চেয়ে এটা ভালো হয়েছে। কারণ এবার মন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই ভালোভাবে মনিটরিং করেছেন সার্ভের কাজ। দেশে বর্তমানে (২০২২) থানার গড় মাসিক ব্যয় ৩১ হাজার ৫০০ টাকা। যা ২০১৬ সালে ছিল ১৫ হাজার ৭১৫ টাকা।
জরিপে আরও বলা হয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক ব্যবস্থায় খানার অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ১৪ দশমিক ১ শতাংশ খানার অন্তত ০১ জন সদস্যের জরিপ পূর্ববর্তী ১২ মাসে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। যা ২০১৬ সাল ৭ দশমিক ৫ ও ২০১০ সাল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল। এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
ক্যালরি গ্রহণ ২৩৯৩ কিলোক্যালরি
জরিপে আরও বলা হয়েছে খানার খাদ্যপণ্য ক্রয় সংক্রান্ত ব্যয়ের তুলনায় খাদ্যদ্রব্য বহির্ভূত ভোগ্যপণ্য সম্পর্কিত ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দৈনিক জনপ্রতি ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ হচ্ছে ২৩৯৩ কিলোক্যালরি। যা ২০১৬ সালে ছিল ২২১০ দশমিক ৪ কিলোক্যালরি। ২০১০ সালে ছিল ২৩১৮ দশমিক ৩ কিলোক্যালরি।
জেডএ/এমএমএ/
