নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ওয়াশিংটনের সহযোগিতা চাইল ঢাকা

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটনের সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। আমরা বলেছি আমরাও তাই চাই। কিন্তু এ ব্যাপারে তোমাদের সহযোগিতা লাগবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে শ্রম ইস্যু, র্যাব, মুক্ত গণমাধ্যম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, র্যাবের কারণে আমাদের দেশে এখন সন্ত্রাস তেমন নেই। আমাদের দেশে বিরোধী দল গলা ফাটিয়ে বক্তব্য দিতে পারে। শুধু সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করলে আমরা শাস্তি দেই। আমাদের গণমাধ্যমে সরকারের সমলোচনা করা যায়।
রোহিঙ্গাদের চাকরি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি সেটা সম্ভব নয়। আমাদের লোকজনকেই আমরা চাকরি দিতে পারি না। তোমরা বরং কিছু রোহিঙ্গার দায়িত্ব নাও।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ নেই যুক্তরাষ্ট্রের এমন বক্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে পরিবেশ তৈরি হবে। তোমরা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করো।
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের কিছু মানুষ যাতে সুবিচার পায় এমন দাবি জানিয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরাও বলেছি তারা সুবিচার পাবেন। তবে এই দুই-চারজন মিলে বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের দেশ। এটাও তোমাদের মাথা রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চাওয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি তোমাদের জনগণও নিশ্চয়ই চায় না একটা খুনিকে তোমরা আশ্রয় দাও। কাজেই তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দাও।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি সফর করছেন। আগামী ১৩ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৪ এপ্রিল ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ড. মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ওই বৈঠক হয়েছিল।
আরইউ/এএস
