বিজিবির অভিযান: মার্চে ১১৩ কোটি টাকার পণ্য জব্দ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০২৩ সালের মার্চে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১১২ কোটি ৮৯ লাখ ৮ হাজার টাকা মূল্যের অস্ত্র, সোনা, রুপা, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্যসামগ্রী, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
জব্দ করা পণ্যদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ কেজি ৮৭৭ গ্রাম সোনা, ৬ কেজি ৪৩৩ গ্রাম রুপা, ৪ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৮টি প্রসাধনী সামগ্রী, ৫ হাজার ৭১১টি ইমিটেশন গহনা, ১৩ হাজার ১৭০ শাড়ি, ১ হাজার ৭০৬ থ্রিপিস, ১ হাজার ৮২ ঘনফুট কাঠ, ৫ হাজার ৭০৪ কেজি চা পাতা, ৯০ হাজার ৬৩৪ কেজি কয়লা, ৮৭১ কেজি কারেন্ট জাল, ৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৪টি পিকআপ, ১৩টি প্রাইভেটকার, ২৭টি সিএনজি ও ৬১টি মোটরসাইকেল উল্লেখযোগ্য।
আর উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি মর্টার শেল, ১টি ম্যাগাজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি।
এ ছাড়া, জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা, ৫ কেজি ৭৫৪ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ১৭ কেজি ৫৬৭ গ্রাম হেরোইন, ২১ হাজার ১৫৮ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৩৩৬ বোতল বিদেশি মদ, ৪১৫ লিটার বাংলা মদ, ২ হাজার ৬৯৬ ক্যান বিয়ার, ২ হাজার ৩০৮ কেজি গাঁজা, ২৫ হাজার ৭১৮টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ৪ হাজার ১৮৫টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৬০১ বোতল কফিডিলসহ নানা প্রকারের মাদক।
২০২৩ সালের মার্চে অভিযান চালিয়ে ৯২ একর জমিতে চাষ করা পপিক্ষেতও ধ্বংস করেছে বিজিবি।
এ সময় সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯১ জন চোরাকারবারি, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৭ জন বাংলাদেশি ও ৯ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিজিবি।
কেএম/এমএমএ/