জেসমিনকে গ্রেপ্তারে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে: আসক
নওগাঁর ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের সুপারিশ তুলে ধরে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলছে, নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে মারা যাওয়া সুলতানা জেসমিনকে গ্রেপ্তারে আইনের ‘বড় ধরনের ব্যত্যয়’ হয়েছে। একইসঙ্গে ওই নারীর বিরুদ্ধে ‘প্রতারণার’ যে অভিযোগের কথা র্যাব বলছে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আসক মনে করে, কমিশন গঠন হলে এই মৃত্যুতে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর লালমাটিয়ায় আসক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলে আসক। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবু আহমেদ ফয়জুল কবীর। এসময় উপস্থিত ছিলেন নীনা গোস্বামী, দিলীপ পাল।
এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন। এসময় তিনি বলেন, পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকদের বক্তব্য এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, তাকে (জেসমিন) আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার ব্যত্যয় ঘটেছে।
কোথায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে জানতে চাইলে নূর খান বলেন, পুরোটাই তো ব্যত্যয়। রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার এখতিয়ার কি আছে?
জেসমিনের বিরুদ্ধে যে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের কারণ রয়েছে বলেও আসকের পক্ষ থেকে বলা হয়।
জেসমিনের ছেলে শাহেদ হোসেন সৈকতকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কেন র্যাব ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছিল এবং তাকে কী ধরনের বার্তা দিয়েছিল তা খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেওয়া, তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের উপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।
আসক বলেছে, এবারই প্রথম এমন অভিযোগ উঠল, তা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায়শ নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। পূর্বের ঘটনাগুলোর আইনগত প্রতিকার না পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিচার না হওয়ার যে অপচর্চা বিদ্যমান রয়েছে, তা দূর করা অতীব জরুরি।
এনএইচবি/এসজি