শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘খুনিদের আশ্রয় না দিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে’

আত্মস্বীকৃত খুনিদের যেন কোনো দেশ আশ্রয় না দেয় সেজন্য জাতিসংঘে প্রস্তাব তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানীর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আত্মস্বীকৃত খুনীদের কোনো দেশ যেন আশ্রয় না দেয় সে বিষয়ে দাবি জানালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত কিছু খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে আমরা একজনকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। কিন্তু এখনো ৫ জন আত্মস্বীকৃত খুনি বিভিন্ন দেশে রয়ে গেছে।’

গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের মানুষের ত্যাগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে গণতন্ত্রের জন্যে, মানবাধিকারের জন্যে, ন্যায়বিচারের জন্যে, মানবিক মর্যাদার জন্যে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। পৃথিবীর অন্য কোথাও এত মানুষ ন্যায় বিচারের জন্যে, গণতন্ত্রের জন্যে, মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকারের জন্যে রক্ত দেয়নি।

ড. মোমেন ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষে জনগণের রায়কে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা প্রত্যাখ্যান করে গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। সুতরাং আমরা যুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের জন্যে। আমরা যুদ্ধ করেছি ন্যায় বিচারের জন্যে। আমরা যুদ্ধ করেছি মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে। আমরা যুদ্ধ করেছি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছরে ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি আদায় করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ডায়নামিক ও কারিশম্যাটিক নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এদেশে আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আবার কাজ শুরু করে। আর গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে আর্থসামাজিক সূচকগুলোতে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমরা অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি। তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্য একটা অভিশাপ। এই দারিদ্র্যকেও আমরা মোটামুটি অর্ধেকে নামিয়ে এনেছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা দেখেছি দুনিয়ায় যেখানেই সরকার স্থিতিশীল, যেখানে শান্তি বিরাজ করে সেখানে মানুষের মঙ্গল হয় ও উন্নয়ন হয়।’

ড. মোমেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, রুয়ান্ডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘এসব দেশে দীর্ঘদিন স্থিতিশীল সরকার থাকার কারণে অনেক উন্নয়ন করতে পেরেছে। যেসব অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নাই সেখানে উন্নত দেশও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’

ইরাক ও লিবিয়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব দেশের অবস্থা একসময় অনেক ভালো থাকলেও ঐ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা না থাকায় তারা এখন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। সুতরাং যেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নাই সেখানে মানুষের কল্যাণ হয় না, মানুষের বড় কষ্ট হয়।’

সবাইকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যদি আপনার পরিবারের উন্নয়ন চান, আপনারা যদি দেশের মঙ্গল চান, জনগণের কল্যাণ চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকে নজর দিতে হবে।’

ড. মোমেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কর্মীদের দেশে-বিদেশে যারা গুজব রটায় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান। ‘কিছু কিছু লোক দেশে-বিদেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ভঙ্গের জন্য বহু রকমের বানোয়াট গল্প তৈরি করেছে এবং অনেক ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে গুজব রটায়- বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে কয়েকটি বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে। প্রথমত দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার যে ঘোষণা দিয়েছেন আমরাও এ বিষয়ে সোচ্চার থাকব। দ্বিতীয়ত গুণগত শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন। তৃতীয়ত মানুষের চাকরি ও কর্মসংস্থান এবং চতুর্থত দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এগুলো যদি অর্জন করতে পারি তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটা বাস্তবায়নের পথেই কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য আমাদের স্লোগান হবে- শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক-সহ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

আরইউ/এসএন

Header Ad
Header Ad

সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সংগৃহীত

সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয় অভিযোগ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের। অনেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে বিএনপিকে চাঁদাবাজদের দল হিসেবে অপবাদ দেওয়ার নোংরা রাজনীতি বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের ইফতার মাহফিলে দলটির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

মির্জা আব্বাস বলেন, “আজকে এই সরকার সংস্কার সংস্কার করতে করতে মুখে ফেনা তুলে ফেলল। কিন্তু সংস্কার কী হল, এটা কিন্তু আমি এখনো দেখি নাই, আমার নজরে আসে নাই কী সংস্কার হইছে, আপনাদের নজরে আসছে কি না জানি না।”

তিনি বলেন, “আপনারা দেখবেন এখানে আপনাদের সামনে যে পোস্টার আছে এই পোস্টারের মধ্যে ১১ দফায় আছে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন। এটা আড়াই বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব বলেছেন। আজকে এই সরকার এর উপরে কাজ করতেছে। আমাদের ৩১ দফা নিয়ে যদি সরকার কাজ করা শুরু করতো তাহলে কোনো অবস্থাতেই সংস্কার সংস্কার করে মুখে ফেলা তুলতে হত না।”

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে ২০২২ সালে বিএনপির তরফে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “আড়াই বছর আগে তারেক রহমান সাহেব তার অন্যান্য সহকর্মীদের নিয়ে এই ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন। এই ৩১ দফা প্রণয়নে অনেক সময় লেগেছে। ৬২টি রাজনৈতিক দল এতে মতামত দিয়েছে। তাদের মতামত সন্নিবেশিত করে, দেশের জনগণের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা এখানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “আজকে যারা সংস্কারের জন্য মাঠে নেমেছেন, সংস্কারের কাজ করছেন, সবাই যার যার অবস্থানে, স্ব স্ব ক্ষেত্রে তারা অত্যন্ত জ্ঞানী-গুণী-বুদ্ধিমান। আমি তাদের সবাইকে সন্মান করি। কিন্তু সন্মানের সঙ্গে এটাও বলতে চাই, আপনাদের সঙ্গে তো এদেশের মাটি ও মানুষের কোনো সম্পর্ক নাই। ছিল না।

তিনি বলেন, “আপনি হঠাৎ করে এসে কী করে বুঝবেন.. এ দেশের মানুষ কী চায়? কী করে বুঝবেন এদেশের মানুষের মনে কথা? কী করে বুঝবেন ১৭ বছর আমরা যে রাস্তায় আন্দোলন করেছি, ১৭ বছর আমাদের নেতা-কর্মীরা যে কষ্ট সহ্য করেছে- এটা কীভাবে অনুভব করবেন? আমাদের মনে ব্যথা ও কষ্ট আপনারা কখনোই বুঝতে পারবেন না। তাই সংস্কার সংস্কার করে সময় নষ্ট করবেন না। যথা সম্ভব শিগগির নির্বাচনটা দেন।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমাদের অনেক ভাই আছেন, ঢাকায় আছেন যারা ইউটিউবে অনেক কথা বলেন। মাঝে মাঝে আমার নজরে পড়ে, তাদের মনে হয় নির্বাচনের কথা শুনলে মাথাটা খারাপ হয়ে যায়। কিছু কিছু রাজনৈতিক দলও আছে নির্বাচনের কথা শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। কারণ ওরা কখনো নির্বাচন করবেও না, করেও নাই।”

দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “নির্বাচন একটা দেশের মানুষকে স্থিরতা দিতে পারে, নির্বাচন একটা দেশকে স্থিতিশীল করতে পারে। দেশের মানুষের অস্থিরতা কমাতে পারে। কিন্তু এই বিষয়গুলো তারা বোঝার চেষ্টা করেন না। তারা শুধু বলেন বিএনপি শুধু নির্বাচন চায়, নির্বাচন চায়। এ দেশের মানুষের মনে যে অস্থিরতা কাজ করতেছে এটা কি আপনারা বোঝেন না।”

তিনি বলেন, “আমি খুব কঠিন ভাষায় বলতে চাই না, রোজার দিন। কঠিন ভাষায় বললে বলতাম, আরে ভাই ১৭ বছর যে আমরা জেল খাটলাম, ৫ হাজার লোক জান দিল, এত লোকের রক্ত গেল…৩০ হাজার লোক পঙ্গু হল…বাতাস খাওয়ার জন্য।

তিনি আরও বলেন, “এই ত্যাগ হয়েছে নির্বাচনের জন্য, কথা বলার জন্য, অধিকারের জন্য। আরে ভাই, আমি যদি ছেড়েও দেই, চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, নির্বাচন ছাড়া এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না। এই সরকার বলুক যে, নির্বাচনের দরকার নাই, আমরাই ক্ষমতায় থাকবো। দেখি বুকের পাঠা আছে কিনা, সাহস আছে কিনা।”

নির্বাচন নিয়ে অনেকেরই ভয় আছে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, “হ্যাঁ ভয় আছে, কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের ভয় আছে, নতুন রাজনৈতিক দলের ভয় আছে। অনেক পুরনো রাজনৈতিক দলের ভয় আছে। তারা নির্বাচনে ক্ষমতায় যেতে পারবে না।”

Header Ad
Header Ad

জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সৌহার্দ্যপূর্ণ এ বৈঠকে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারত্ব ও দক্ষতার প্রশংসা করেন। এছাড়াও শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গুতেরেস।

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন আন্তোনিও গুতেরেস। পরদিন শুক্রবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। শনিবার দুপুর ১টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আগামীকাল রোববার সকালে তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

হঠাৎ গাড়িতে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পারশা মাহজাবীন

পারশা মাহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার শিকার হলেন কণ্ঠ ও অভিনয়শিল্পী পারশা মাহজাবীন। শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালের কাছে তার উবার গাড়িতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। তবে সবার সৌভাগ্য, পারশা অক্ষত অবস্থায় গাড়ি থেকে বের হতে সক্ষম হন।

পারশা নিজেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি লিখেছেন, "কিছুক্ষণ আগে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে আমার উবারে আগুন ধরে যায়। ধোঁয়াতে আমার গলা এখনো জ্বলছে। গাড়ির দরজাও খুলতে পারিনি প্রথম কিছুক্ষণ। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিলো! কীভাবে যে বেঁচে গেছি!"

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে পারশা জানান, তিনি বসুন্ধরায় থাকেন এবং এই দিন তার বিজ্ঞাপন চিত্রের জিঙ্গেল ও নাটকের গানের রেকর্ডিং ছিল। রেকর্ডিং শেষে বাসা থেকে বের হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালের কাছে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়িতে আগুন লেগে যায়। পারশা বলেন, "গ্যাসের কারণে আমার চোখ আর গলা জ্বলতে থাকে। কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। গাড়িতে আমি একাই ছিলাম। প্রথমে দরজাও খুলতে পারছিলাম না, খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সত্যিই অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো, তবে আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।"

এর আগে পারশা দুর্ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যায়, তার গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে এবং কিছু মানুষ পানি ঢেলে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

পারশা মাহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে রাফাত মজুমদার রিংকুর ‘লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন’ নাটকের দ্বৈত গান ‘দুজন হেরে যাই’-এ কণ্ঠ দেন পারশা। তার তিন বছরের ক্যারিয়ার। এর মধ্যে ‘কপি পেস্ট’, ‘পুতুলের সংসার’, ‘যে প্রেম এসেছিল’সহ বেশ কয়েকটি নাটকে গান গেয়েছেন তিনি।

এছাড়াও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে ইউকেলেলে বাজিয়ে ‘আমি ভুলে যাই’ গান গেয়ে নজর কেড়েছিলেন সংগীতশিল্পী পারশা মাহজাবীন। এরপর তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। গত মাসে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’তেও দেখা গেছে তাকে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সংস্কারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা দৃশ্যমান নয়: মির্জা আব্বাস
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
হঠাৎ গাড়িতে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন পারশা মাহজাবীন
বাংলাদেশি ২৪ জেলেকে ফেরত দিলো আরাকান আর্মি
‘ধর্ষণ’ শব্দের বদলে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের
চুয়াডাঙ্গায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন ধর্ষক হিটু শেখ
স্ত্রী,সন্তানসহ ৯ সফরসঙ্গী নিয়ে ঢাকা আসছেন হামজা, বরণে প্রস্তুত বাফুফে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু
বিরামপুরে মাদকসহ ১৬ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ, আটক ১
প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ শিগগিরই
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব
গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
রাজশাহী স্টেশনে ধুমকেতু ও বাংলাবান্ধা ট্রেনের সংঘর্ষ
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল সরবরাহ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
দেশে তিন মাসেই কোটিপতি হয়েছেন ৫ হাজার
পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার টন আতপ চাল
বাংলাদেশের সংকটে পাশে থাকার ঘোষণা জাতিসংঘ মহাসচিবের
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা