‘বুদ্ধিজীবী-মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা মার্চের আগে’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার ব্যাপারে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছে। আগামী মার্চের আগে সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে সকাল ৮টার দিকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এমন কোনো পরিবার নেই যে তাদের আত্মত্যাগ নেই। কিন্তু হানাদারবাহিনীরা যখন বুঝতে পারে দেশ স্বাধীন হচ্ছিল, তখন দেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের এখনো কিছু লোক মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। একমাস আগেও একটি দলের সাধারণ সম্পাদক যখন বলেন, পাকিস্তান এর থেকেও ভালো ছিল অর্থাৎ তারা আজও বাংলাদেশকে মনে প্রাণে স্বাধীনভাবে মেনে নিতে পারে না। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্থানিরা আত্মসমর্পণ করলেও হানাদার বাহিনীরা তা করেনি।
অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতির দাবি স্বাধীনতা বিরোধীদের এদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার ব্যাপারে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ করছে। আগামী মার্চের আগে সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিশংসভাবে হত্যা করা হয়। পাকিস্তান যখন বুঝতে পারে তাদের পরাজয় নিশ্চিত, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটানো হয়েছিল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল জামায়াতে ইসলামী, আর তাদের সঙ্গে বিএনপি জোট করেছে। ১০ ডিসেম্বর কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, গুম হয়েছিল। এদিন থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সেই ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি সমাবেশের জন্য বেছে নিয়েছে। তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ ছাড়াও কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, খালিকুজ্জামান, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জেডএ/আরএ/
