কূটনীতিকদের প্রতি বন্ধুত্ব নষ্ট না করার আহ্বান কাদেরের

ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বন্ধুত্বটা নষ্ট করবেন না। আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। আমাদের অতীতের অনেক বেদনা আছে। তারপরও বন্ধুত্ব চাই। কারণ সবারই লেনদেন আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অথচ আমাদের আদালত নিয়ে কথা বলেন, আপনাদের ওখানে কী হচ্ছে? সবাই নিজেরটা আগে দেখেন।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত অভ্যর্থনা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কারও কথা, কারও ফরমায়েশ, কারও হস্তক্ষেপ শেখ হাসিনা শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করেন না।
বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলছেন ইলেকশনে আসতে হবে। অথচ আজ পর্যন্ত একটা খোঁজ নেয়নি। রেজাল্ট মেনে নেয় নাই। নির্বাচনী জালিয়াতি বাংলাদেশেই শুধু বলা হয় না, এ শব্দ এখন আমেরিকায়ও বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও মানুষ মারা গেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেখানে বাসচালক মারা গেছে, কংগ্রেস আক্রান্ত, ন্যান্সি পেলোসি কীভাবে লুকিয়েছিলেন এ দৃশ্য তারা দেখেছেন। অথচ বিদেশিরা এত বড় বড় কথা বলেন । বন্ধুত্ব নষ্ট না করতে বিদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় সপ্তাহে অন্তত দুটা ঘটনা ঘটছে। একেকটি ঘটনায় ৫ থেকে ১০ জন নিহত হচ্ছে। ১৯ শিশু গুলিতে মারা গেছে। পুলিশকে সেখানে জড়ানো হয়েছে, তারা যথাসময়ে নিরাপত্তা দেয়নি। সিকিউরিটি দিলে ঘটনা ঘটত না।
অভ্যর্থনা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় সদস্যদের উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একই ব্যক্তি আলাদা আলাদা কমিটিতে নাম লেখালে তা গ্রহণ করা হবে না। আওয়ামী লীগের লোকের অভাব নেই। বসন্তের কোকিল আওয়ামী লীগের দরকার নেই। কাজের লোক দরকার, আওয়ামী লীগ কাজের লোক চায়।
তিনি আরও জানান, এবারের সম্মেলনে ১৯ বিদেশি কূটনীতিককে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের মতো সংস্থার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এনএইচবি/এসজি
