‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তাকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে’

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভলস নয়েস।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
জুলিয়েটা বলস নয়েস বলেন, এ সপ্তাহে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের জীবনে বার্মা কর্তৃক সংঘটিত সহিংসতার প্রভাব অনুধাবনের জন্য আমি বাংলাদেশি কর্মকর্তা, অন্যান্য বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছি।
তিনি বলেন, সফরকালে আমাদের প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ও ভাসান চরে বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেছে। আমরা বিভিন্ন দেশ, এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি। আমেরিকার জনগণ ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের অন্যত্র রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দানকারী জনগোষ্ঠী তথা ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ১.৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
জুলিয়েটা বলস নয়েস বলেন, মানবাধিকার দিবস আমাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ৫ বছর ধরে যে সংকট সহ্য করেছে এর ফলে তাদের মৌলিক স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা মিয়ানমারের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি যাতে তাদের আচরণে পরিবর্তন আসে এবং তারা সহিংসতা বন্ধ করে ও রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যায় জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করি। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আমাদের ব্যাপক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ও পুনর্বাসন সহায়তাদানকারী অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে নাজুক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নিতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নিজ জনসমাজে শরণার্থীদের উদারভাবে স্বাগত জানানোর জন্য এবং আমাদের কাছে যেটা স্পষ্ট অর্থাৎ এই শরণার্থীদের জন্য দেশে ফিরে যাওয়া এখনো নিরাপদ নয়- সেটা অনুধাবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণকে সাধুবাদ জানায়। শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী বাংলাদেশিদের চাহিদা পূরণে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। কারণ সব মানুষেরই নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার আছে।
আরইউ/এসজি
